সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রাজনীতি বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র ভারত হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র। ভারত হাসলে এই উপমহাদেশ হাসবে, কাঁদলে কাঁদবে। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকলে, তারাও ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য হবে। উপমহাদেশের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস ও অবস্থা সেকথাই প্রমাণ করছে। সমগ্র উপমহাদেশকে এই সত্য স্মরণ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সুযোগে যদি ভারত সহ কোন একটি দেশের সরকার অন্য কোন দেশকে কাঁদাতে চায়, তার প্রভাব অনিবার্যভাবে সেই দেশেও যেমন পড়বে, তেমনই ভারতেও পড়বে। বৃহৎ শক্তি হিসেবে, এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই হবে নিয়ন্ত্রক এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো যে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল, তার অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত ধর্মনিরপেক্ষতাকে মোটামুটি গুরুত্ব দিত এবং তার পরিচর্যা করত। আজ ভারত সরকার সেই অবস্থায় নেই। তাই চারপাশটায় টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  ----------xx----------

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি বাংলাদেশ ভারতের এমন এক প্রতিবেশী, যে ভারত যেভাবে পথ দেখাবে, তারাও সেভাবেই চলবে। চলছেও তাই। আরও একটু পরিষ্কার করে বললে সেটা হবে এমন, ভারতের শাসক দল যে নীতিতে চলবে, বাংলাদেশেও সেই নীতি মাথাচাড়া দেবে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রবণতা।  ভারতে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ যখন শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ছিল, সেই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশ ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছে। এবং সেখানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল। সুতরাং এখানে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা শক্তিশালী হলে, ওখানেও তা হবে। হতে বাধ্য। এখানে ধর্মান্ধতা বাড়লে, ওখানেও বাড়বে। এখানে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে ওখানেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে। বড়দের দেখেই তো ছোটরা শেখে। তাই না? তাই দু দেশের সরকারেরই গুরুত্ব সহকারে সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তির এবং নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। এক জায়গায় তা ক্ষুন্ন হলে অন্য জায়গায় তার প্রতিক্রিয়া আসতে বাধ্য। এটা উভয় সরকারকে বুঝতে হবে।

ধর্মনিরপেক্ষতা কেন এবং কতটা জরুরী

ধর্মনিরপেক্ষতা কেন এবং কতটা জরুরী ভারতের মতো বহুজাতিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করার অপরিহার্য দর্শন হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। ধর্মনিরপেক্ষতা আধুনিক রাষ্ট্র দর্শনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটাকে বাদ দিলে আপনাকে প্রাচীন যুগে সরে যেতে হবে। যেখানে রাজনীতিকে কন্ট্রোল করার বিষয়ে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তির মধ্যে সীমাহীন সংঘাতের জন্ম দিয়েছিল। গৃহযুদ্ধ যেখানে রাজনীতির অপরিহার্য অঙ্গ ছিল। রাষ্ট্রনেতা আর ধর্ম নেতার মধ্যে এই দ্বন্দ্ব জীবন এবং সম্পদের অবলীলায় ধ্বংস ডেকে এনেছে। মানব সভ্যতা লক্ষ্য লক্ষ্য বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়েছিল। উন্নয়ন ছিল অধরা। সাধারণ মানুষের জীবন ছিল দাস ব্যবস্থার মোড়কে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা। আমাদের ভাবতে হবে, আমরা কি সেখানে ফিরে যেতে চাই। না উন্নত থেকে উন্নততর কোন রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় বেঁচে থাকতে চাই। গড়ে তুলতে চাই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কিন্তু প্রতি হিংসা নয়। যেখানে মানুষ থাকবেন, কিন্তু জাতি হিংসা নয়। পৃথিবীর উন্নত ও শক্তিশালী বহুজাতিক দেশগুলো এভাবেই শক্তিশালী হয়েছে। যারা একথা ভুলে যাচ্ছেন, তারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বলে দাবি করতে প...

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ শান্তির পক্ষে, ভালোবাসার পক্ষে। তবুও পৃথিবীতে শান্তি ও ভালোবাসা ‘বড়ই বাড়ন্ত’। কারণ, সিংহভাগ রাজনীতিক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় আসার জন্য এ-দুটোকে জিম্মি করে আর হিংসা ও ঘৃণার বেসাতি করে।

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ সরকার পাল্টায় কিন্তু সমাজ পাল্টায় না কেন? ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল আসলে একটি আরেকটির পরিপূরক। একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাই প্রকৃতপক্ষে কোন সরকারের দুর্নীতির বা সাধারণ জনগণের ওপর চালানো শোষণ বা নির্যাতনের কোন বিচার হয় না। বিচারের দাবিতে আন্দোলন হয়, শুধুমাত্র ক্ষমতায় ফেরার তাগিদে। ক্ষমতায় আসলে তারা বেমালুম চেপে যায় দুর্নীতি শাসন নির্যাতন সম্পর্কে সঠিক বিচারের প্রক্রিয়াকে। রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে অন্যায় অবিচার বা দুর্নীতি রোধ করার জন্য নয়, করে ক্ষমতায় আসার জন্য। ফলে সরকার পাল্টায়, কিন্তু সমাজ সংসার পাল্টায় না। অন্যায় অপরাধ দুর্নীতি কমে না, উল্টে আরও এক নতুন পর্বের সূচনা হয়। জনগণ সমাজ বদলের নেশায় অঘোরে শুধু জীবন দিয়ে যায়। বদলা নয়, বদল চাই। শুনতে দারুন ভালো লাগে। মানবিক মূল্যবোধে মোড়া এই স্লোগানের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ মন্ত্র যা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি ভুলে যাওয়া এবং নিজেকে আর একজন শোষকে পরিণত করার কার্যকরী উপায়।  বদলা শব্দের মধ্যে যে প্রতিহিংসা রয়েছে তাকে তো মান্যতা দেয়া ...

কারা কেন অশিক্ষিত বলে বিবেচিত হয়?

 Moti Lal Deb Nath ঠিকই, যিনি যেমন দেখবেন, এবং যেমন বুঝবেন, তেমনই বলবেন। এতে কোন দ্বিমত নেই। তা দোষেরও নয়। দোষের তখনই হয়, যখন কেউ অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনেন। আমি আপনার ভিতরটা যদি স্পস্ট করে বুঝতে পারতাম, ‘অশিক্ষিত' এবং অথবা দিয়ে 'জেনে বুঝে না বোঝার ভান’ - এভাবে শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করতাম না। আমি যাকে যেভাবে বুঝি, তাকে সেভাবেই সোজা সাপটা বলতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপনাকে ওই দুটোর কোনটাই বলিনি। কারণ, আমি এখনও বুঝিনি, কেন আপনি অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে এনে পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যকে অন্যদিকে নিয়ে গেলেন। বুঝিনি বলেই আগের মন্তব্যে দু-দুবার ‘অবাক হওয়ার’ কথা উল্লেখ করেছি। যদি বুঝতাম, তাহলে সরাসরি আপনাকে হয় অশিক্ষিত বলতাম, আর না হয় ‘না বোঝার ভান করছেন’ বলে অভিযোগ করতাম। কারণ, মারপ্যাঁচ করে কথা বলা, আমার স্বভাবের বিরুদ্ধ। আমি শুধু বলেছি, এভাবে যারা প্রসঙ্গ ছেড়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে যায়, তারা ওই দুটোর কোন একটার কারণে নিয়ে যান। সেই অপশন দুটো আপনার সামনে তুলে এনেছি মাত্র। আপনি ওই দুটোর কোনটার মধ্যে পড়েন, অথবা আদৌ পড়েন কি না, সেটা তো আমি জানি না। কারণ, জানাটা অতটা সহজ কাজ নয়। ওটা আপনিই...

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়?

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়? Does the Muslim vote get all TMC? যারা বলে মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়, তারা জেনে বুঝেই এই মিথ্যাটা বলে। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোটের সিংহভাগ কৌশলে বিজেপির পক্ষে নিয়ে যাওয়া। ---------xx-------- এটা একমত হ‌ওয়া গেল না । সব ভোট না গেলেও গত দুটি বিধানসভা এবং সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে একটা বড় অংশের ভোট‌ রাজ্যের শাসকদলের অনুকূলে গেছে । খুব যে ভালোবেসে গেছে তা হয়তো নয় , কিন্তু গেছে এটা সত্য । আগে এই ভোটটা বামেরা পেতো । এখন আর পায় না । আপনার কথা যদি সত্য হতো তাহলে অধীর চৌধুরী ভোটে হারার কথা নয় । এবার আপনি বলতে পারেন ভোট দিতে বাধ্য হয় । কেন বাধ্য হয় তার দুটো দিক আছে । প্রথমটা হলো পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারে মুসলিম জনমানসে একটা ভীতির সঞ্চার হয়েছে । আর দ্বিতীয়টা হলো রাজ্যের শাসকদল এমন একটা ইমেজের সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে যে তারাই হলো সংখ্যালঘুদের রক্ষাকর্তা। আর সংখ্যালঘুরাও ধর্মনিরপেক্ষ সংখ্যাগুরু জনগণের চেয়ে একটা রাজনৈতিক দলকেই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছে । এটার একটা বিরাট কুফল আছে । তবে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগবে । ------------- Moti Lal Deb Nath সাথি, আপনার ব্যাখ্যার উত্তর ...

ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য কী?

ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য কী? আলী হোসেন এক কথায়, ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য হল, দেশে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য শাসক নির্বাচন করা। এখন এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শাসক হিসাবে জনগণ কাকে, কেন, কীভাবে এবং কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করবেন - এপ্রশ্নগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী বিষয়। এই প্রশ্নের সদুত্তর জানা না থাকলে, জনগণের কাছে আধুনিক ভোট বা নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কী : তাই, এই নির্বাচন উপলক্ষে আগামীতে কোন্ দল কোন্ কোন্ পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আরও ভালোভাবে সমাজে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে, তার খতিয়ান মানুষের কাছে উপস্থাপন করার কথা। এটাই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক দায়িত্ব। আসলে এগুলোই আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি এবং তা মেনেই প্রত্যেকটি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলকে কাজ করতে হয়। এগুলো বাদ দিলে দেশ আধুনিক ও গণতান্ত্রিক - এ দাবি করা যায় না। বাদ দিলে, তার অর্থ দাঁড়ায়, দেশ মধ্যযুগীয়, কিংবা প্রাচীনযুগীয় মানসিকতা নিয়ে এগোতে চাইছে। বলা বাহুল্য, পিছন দিক...

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতির চর্চায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতি চর্চায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতি চর্চা - আলী হোসেন আলী হোসেন বিচার একটি যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। বিচারক কখনোই সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না, যদি না এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থা ও তার কর্মকর্তারা উপযুক্ত তথ্য সংগ্রহ এবং বিচারককে তা সরবরাহ করতে পারেন। আর বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে একটি শক্তির আধার; তা যার হাতে থাকে, তিনিই বিচারক। এই শক্তি ন্যায়বিচার তখনই দিতে পারে, যখন বিচারক নিরপেক্ষ থাকার সৎ সাহস দেখান এবং সাংবিধানিক আইন এবং তার প্রয়োগ বিষয়ে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। তবে তাঁর সফলতা নির্ভর করে তথ্য সংগ্রহকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং আইনজীবীরা কতটা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই তথ্য বিচারকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তার উপর। তাই বিচারক বা বিচার ব্যবস্থা যা বিধান দেয়, তা সব সময় সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত হবেই - এভাবে নিশ্চিত করা যায় না। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনো একটি পক্ষ যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে ন্যায় বিচার পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, বিচার ব্যবস্থা যদি বিচারকের...

দেশ বড়, না রাজনৈতিক দল বড়?

দেশের স্বার্থ বড়, না দলের স্বার্থ বড়? Is the interest of the country greater than the interest of the party? ভারতীয় রাজনীতিকদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তারা দেশ ও দেশের মানুষের চেয়ে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখে। তারা মনেই রাখে না, দেশের জন্য দল, দলের জন্য দেশ নয়। The biggest weakness of Indian politicians is that they see the interests of the party more than the country and the people of the country. They do not remember, the party for the country, not the country for the party. উৎস দেখুন

সভ্যতার আসল কারিগর ও ধ্বংসকারী কারা?

সভ্যতার আসল কারিগর ও ধ্বংসকারী কারা? Who are the real builders and destroyers of civilization? সভ্যতার যত উন্নয়ন, তা করে চলেছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। সঙ্গে থেকেছে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী। আর পৃথিবীজুড়ে তা ধ্বংস করে চলেছে রাষ্ট্রনেতা তথা রাজনৈতিক নেতারা, যুগ যুগ ধরে, যারা কোনদিন কোনো কায়িক পরিশ্রম করে না। কায়িক শ্রম ছাড়াই সভ্যতার এই সুফলগুলো দখল ও ভোগ করার তাগিদে তারাই বাধায় বিধ্বংসী লড়াই। মজার কথা দেখুন, এই লড়াইয়ে কিন্তু কোন রাষ্ট্রনেতা বা তার পরিবারের মানুষ মারা যায় না, মারা যায় সেই সাধারণ মানুষই, যারা এই সভ্যতাকে তিলে তিলে গতর খাঁটিয়ে গড়ে তুলেছে। কবে হবে এর পরিবর্তন! আদৌও হবে কোনদিন?

ইজরাইল ও প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান

 ইজরাইল ও প্যালেস্টাইন সমস্যার সমাধান কিভাবে সম্ভব? How to solve the problem of Israel and Palestine মানুষের মৃত্যুতে যারা আনন্দ খুঁজে পান, তারা আর যাই হোক, মানুষ নন। মানুষ নামের একটি জন্তু মাত্র। ◾Kono sustha manush ei Hamas r Israel er niriha manush hatya te moja pay na. Jara itihas khuje anondo pache tara asustha.. Arghya Bhattacharya যথাযথ বলেছেন। কিন্তু এই অজুহাতে ইসরাইলের আগ্রাসনকে যেন সমর্থন না করে ফেলি। মাথায় রাখতে হবে। সাথি।❤️ ◾Ali Hossain 2toi samathan jogyo noy. Arghya Bhattacharya প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করলে অন্যায় হবে। আন্তরজাতিক আইন লঙ্ঘন করা হবে। ◾Dada, itihas amader khub kharap. Ghatlei kada berobe. Keu 2004 ghatbe, keu 1976 ghatbe, keu 1945 ghatbe, kue 1700 ghatbe, keu 1500 ghatbe, keu 1100 ghatbe, keu 200 ghatbe keu abar kristhapurba ghatte thakbe. Ei ghata ghatir itihas besi ghatle samner din khub kharap sadharan sob dhormer garib manusher kache. Arghyza Bhattacharya আপনার কথার যুক্তি আছে। কিন্তু এই যুক্তি ইসরাইল যদি না মানে, পাইলস্টাইনও তো মানবে ন...

“আমি ঈশ্বরের বরপুত্র” - নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। আপনি কি দৈব রাজতন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন?

“আমি ঈশ্বরের বরপুত্র” - নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। আপনি কি দৈব রাজতন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন? পাঠকের মতামত ও তার উত্তর ১) একটা কথা জানতে চাইছি আশা করি উত্তর দেবেন - বহুত্ববাদ/ দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে যে এত কাঁদেন যেখানে মুসলমান সংখ্যবহুল হয়ে যায় সেখানে বহুতেবাদ থাকে নাহ রাষ্ট্রের প্রকৃতি ধর্ম নিরপেক্ষ থাকে ??? আছে তো আপনাদের ৫৭ টা দেশ কতগুলোয় বহুত্ববাদ অথবা রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধর্ম নিরপেক্ষ বলবেন একটু ? ভারতবর্ষ হিন্দু মেজরিটি বলেই আজ বহুত্ববাদ ও আছে ধর্ম নিরপেক্ষতাও আছে - যেটায় আপনাদের কোনো contribution নেই সেটা নিয়ে অভাব অভিযোগ করা বন্ধ করুন ---------- Gorrila Nripen সুপ্রিয় সাথি, বিনয়ের সঙ্গে আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, ৫৭ দেশ আমাদের মানে কী? আমার দেশ তো একটাই। আর সেটা ভারতবর্ষ। এখানে জন্মেছি, এখানেই আছি। আর আজীবন এখানেই থাকবো। কী? ভুল বললাম? আপনার বোধ হয় জানা নেই, হিন্দু কাদের বলে। হিন্দু কোন ধর্ম নয়। হিন্দু একটি জনগোষ্ঠীর নাম। সেখানে বহু ধর্মের (সনাতন, ইসলাম, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিষ্টান ইত্যাদি) মানুষ আছেন। তারা সবাই হিন্দু। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেটা জানেন এবং মানেন। আপনি তাঁর ভক্ত...

“আমি ঈশ্বরের বরপুত্র” - নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী

“আমি ঈশ্বরের বরপুত্র” - নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। ইতিহাসের পাতায় কোথায় কোথায় যেন দেখেছি এমন ‘অনিন্দ্য সুন্দর বাণী’? আজ থেকে প্রায় ৩৩০০ বছর আগে মিশরের ফারাও (সম্রাট) ছিলেন চতুর্থ আমেনহোটেপ। তার আমলে মিশরে বহু দেবতায় বিশ্বাস ছিল মানুষের। এই দেবতাদের মধ্যে ‘আমেন’ ছিলেন প্রধান। মানুষের নিয়ন্ত্রণ ছিল এই বহুত্ববাদী ধর্মের ধর্মগুরুদের হাতে। তাই সম্রাটকে নির্ভর করতে হত এই ধর্মগুরুর সমর্থন পাওয়ার ওপর। অর্থাৎ জনগনের ওপর সম্রাটের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে সম্রাট আমেনহোটেপ জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেন। ঘোষণা করেন, বহুত্ববাদ সমর্থনযোগ্য নয়। কারণ, ঈশ্বর একাধিক হতে পারেন না। এই যুক্তি দেখিয়ে আমুনের পরিবর্তে একমাত্র সূর্য দেবতা আটেন-এর উপাসনার করার সিদ্ধান্ত নিলেন এবং জনগণকে তার অনুসারী করে তোলার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ সম্রাট আমেনহোটেপ বহু-ঈশ্বরের পরিবর্তে একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠা ও এর মাধ্যমে জনগণের উপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আর এটা মাথায় রেখেই তিনি নিজের নতুন নাম গ্রহণ করেন। নাম নেন আখেনাটেন অর্থাৎ ঈশ্বর আ...

বেড়া দিয়ে দারিদ্র্য ঢেকে বড়লোক প্রমাণ করা যায় না

বেড়া দিয়ে দারিদ্র্য ঢেকে যদি বড়লোক প্রমাণ করতে হয়, বিদেশি ধনী দেশগুলোর কাছে, তার চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? Shyamal Podder মন্তব্য করেছেন : এটাতো সমাজের সর্বস্তরেই আমরা দেখতে পাই, এতে অস্বাভাবিক কিছুতো নাই। বাড়িতে অতিথি এলে ঘরদোর গুছিয়ে পরিপাটি রাখার এই যে চেষ্টা এটাতো খারাপ কিছু না। বৃহদ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র করলেই বা দোষ কিসের! কোন পরিবার কি নিজেদের দৈন্যতা অতিথির নিকট দেখাতে চায়? যার যার ক্ষমতার মধ্যেই লোকে অতিথির নিকট থেকে নিজেদের দৈন্যতা ঢাকতে চায় এবং এটা দোষের নয়। কোন বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরিতে অতিথি এলেও লোকে সত্যিটা ওপর কিছু মিথ্যের ঢাকনা দিয়ে রাখে তা না হলেতো মানুষের মন যে নান্দনিকতাপ্রিয় ঐরকম ছোটখাট মিথ্যের আড়ালে সত্যকে না ঢাকলে সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে মহাভারত থেকে অভয় বার্তা পাই যে ঐরকম করা দোষের নয়। বরঞ্চ ঐ ক্ষেত্রে বাস্তব সত্যিটাই অপ্রিয় সত্য হয়ে জটিলতার সৃষ্টি করে। ধন্যবাদ। আমার উত্তর : Shyamal Podder সবাই করলেই তা ঠিক — এটা আমার মতে অযৌক্তিক। লুকিয়ে রেখে যে সম্পর্ক তৈরি হয় তা পারিবারিক অশান্তির জন্ম দেয়। আমাদের দেশে একারণেই পারিবারিক হিংস...

স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নভঙ্গ করলো কারা?

স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নভঙ্গ করলো কারা? মেধা যখন অহংকার, উন্নাসিকতা আর ঔদ্ধত্যের জন্ম দেয়, তখন তা অমানবিক ও সৈরাচারী রূপ ধারণ করে। যাদবপুরে মেধা বিপথগামী হচ্ছে। মেধার ওপর যুক্তিবোধ, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানবিকতার পালিশ না পড়লে মেধায় জং পড়ে। ফলে সমাজের ওপর মেধার বিষক্রিয়া শুরু হয়। সাধারণ মানুষ সেই বিষক্রিয়ার শিকারও হয়। স্বপ্নদীপ সেই জংপড়া মেধার বিষক্রিয়ার শিকার। ধণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ধন-বৈষম্য ও তার দোসর বর্ণ-বৈষম্য মানুষকে অসামাজিক করে তোলে। অসম্ভব ব্যক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতার জন্ম হয় এই বৈষম্যের কারণে; যা নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে আপন করে ভাবার বা বিশ্বাস করার মানবিক মূল্যবোধগুলোর বিকাশের পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। ফলে মানবিক মূল্যবোধ নামের এই মূল্যবান মানবীয় গুণের বিকাশ ঘটে না মানুষের মধ্যে। মানুষ ধীরে ধীরে স্বৈরাচারী অমানুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করে। মেধার অহংকার এই অমানুষকে ভয়ংকর হিংস্র পশুতে পরিণত করে। ফলে স্বপ্নদ্বীপদের মত পিছিয়ে পড়া মেধাবীদের স্বপ্ন নির্দয়ভাবে ধর্ষিত হয়। একা বিচার ব্যবস্থার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ধন-বৈষম্য না কাটলে এ রোগ নির্মূল হওয়ার নয়। মানু...

ভারত কি সত্যিই গনতান্ত্রিক দেশ?

ভারত কি সত্যিই গনতান্ত্রিক দেশ? Is India a true democratic country? গণতন্ত্র নামক রাজনৈতিক দর্শনের জন্ম হয়েছে মানুষের মৃত্যুকে এড়িয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের উপায় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে বলে আমরা দাবি করি, সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ বলে গর্ব করি। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে দেখছি মানুষের মৃত্যু ছাড়া (কখনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কখনও অধিকার আদায়ের নামে খুনোখুনি) গণতন্ত্র কায়েম হয় না। তাহলে আমরা শিক্ষিত দাবি করি কোন যুক্তিতে? গণতান্ত্রিক দেশ বলেই বা গর্ব করি কোন মুখে? সবচেয়ে লজ্জাজনক (এবং বিপদ্জনক বটে) বিষয় হচ্ছে সরকার ও প্রশাসন দাঁড়িয়ে থেকে এটা হতে দিচ্ছে ( মনিপুর, হরিয়ানা সাম্প্রতিকতম উদাহরণ) এবং নাগরিক সমাজের বৃহত্তম অংশ যাঁরা নিজেদের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ বলে দাবি করেন, তাঁরা বিষয়টিকে চুপচাপ দেখে যাচ্ছেন; যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। নিজের ঘরে আগুন না লাগা অবধি কি আমাদের হুশ হবে না? প্রতিবেশীরা জ্বলছে, পুড়ছে দেখেও এমন নিরিকার আছি কীভাবে?

রাজনৈতিক অরাজগতার কারণ

রাজনৈতিক (মৃত্যুর) অরাজগতার কারণ  যে শিক্ষা রাজনৈতিক চেতনা আনে, সেই শিক্ষার প্রসার না ঘটলে এই রাজনৈতিক অরাজগতা কাটবে না। শিক্ষা ও উপার্জনের অভাব  - মূলত এই দুই অভাব একসঙ্গে সাধারণ মানুষকে রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতির বোড়ে হতে বাধ্য করে। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, জনগণের রাজনৈতিক চেতনতা-বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কী এবং কীভাবে তাকে প্রয়োগ করতে হবে রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য, সে সম্পর্কে অবহিত করা (রাজনৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা) রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে ধ্যান দেয় না। দেবেই বা কীভাবে? রাজনীতি করতে গেলে রাজনৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়। এই শিক্ষা আসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামক একটি বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা করার মধ্য দিয়ে। এর সঙ্গে প্রয়োজন বিশ্ব-ইতিহাস ও অর্থনীতি বিষয়ে সচতনতা। অর্থাৎ কেউ রাজনৈতিক নেতা হতে চাইলে তার ন্যূনতম শিক্ষা হওয়া উচিত এই সাবজেক্টগুলোসহ গ্রাজুয়েশন পাস করা। মনে রাখতে হবে, প্রাইভেট ...

গণতন্ত্রের নাম করেই গণতন্ত্রের গণধোলাই চলছে দেশে

গণতন্ত্রের গণধোলাই এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পরও আমরা গর্ব করে বলবো, বিশ্বের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ আমরা? মানুষই যদি মরবে, তবে নির্লজ্জের মত গণতন্ত্রের বড়াই করি কেন? আর এর সমস্ত দায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর। কারণ, এরা চায় বলেই এই মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। আসলে গণতন্ত্রের নাম করেই গণতন্ত্রের গণধোলাই চলছে দেশে।

গণতন্ত্রের আয়না

সংখ্যালঘুর মুখই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী আয়না। কোন দেশ কতটা গণতান্ত্রিক, তা বোঝা যায় সে দেশের সংখ্যালঘু মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা কতটা মজবুত, তা থেকে। কারণ, সংখ্যালঘুর মুখই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী আয়না। তাই এটাই গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য যাচাইয়ের সবচেয়ে বড় মানদণ্ড।  The face of the minority is the mirror of democracy বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন পাঠকের মতামত দেখুন ফেসবুকের পাতায়

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে