সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

রাজনীতি বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

SIR কী সর্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে!?

SIR কী সর্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে! পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচি (SIR)-২০২৬ শুরু হতে চলেছে ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে।  সঙ্গে রাখবেন কোন্ নথি? সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র ১ জুলাই ১৯৮৭-র আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া জন্ম সার্টিফিকেট পাসপোর্ট যে কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (সাল, তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে) স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট (জেলাশাসক বা সমতুল কারও দেওয়া) বনপালের সার্টিফিকেট কাস্ট সার্টিফিকেট এনআরসি অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ (যেখানে প্রযোজ্য) পারিবারিক রেজিস্টার (রাজ্য সরকার বা প্রশাসন প্রদত্ত) সরকার প্রদত্ত জমি বা বাড়ির নথি (দলিল বা পর্চা) মনে রাখতে হবে :  ২০০২ সালের জানুয়ারির ভোটার তালিকায় নাম থাকলে নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই। এখন প্রশ্ন হল : এই ডকুমেন্টসগুলো কাদের কাছে সহজলভ্য? মুষ্টিমেয় কিছু পয়সাওয়ালা লেখাপড়া জানা মানুষের কাছে। একটু চিন্তা করে দেখুন। লেখাপড়া না জানা গরিব মানুষের কাছে কোনগুলো সহজলভ্য? ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড। অন্যগুলোর মতো এগুলোও সরকার...

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমান ও কিছু প্রশ্ন

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমান এবং কিছু প্রশ্ন : Goutam Ray যে কেবল মানুষ হয়েই বাঁচতে চায়, তাঁর কাছে হিন্দু, মুসলমান, ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশী, ইউরোপীয়ান, আমেরিকান —এসব কথা খুব একটা গুরুত্ব পায় না। এ পৃথিবীটা এক সময় শুধু মানুষের ছিল। সঙ্গে অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ থাকতো পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে। স্বাধীনভাবেই। তারা এখনও অনেকটাই স্বাধীনভাবে বাঁচে। যদিও আমরা তাদের অসভ্য বলি। আর আমরা সভ্য হয়ে একদল মানুষ, অন্য দলকে পরাধীন করে রেখেছি, নানা অজুহাতে শোষণ করে চলেছি। দলে দলে শাসক নামক দস্যু সেজে সমগ্র পৃথিবীটা দখল করে ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছি। আর সাধারণ মানুষের পায়ে শিকল পরিয়ে দিয়েছি। এই যখন অবস্থা, তখন একজন সাধারন মানুষ হিসাবে—কে কোথায় গেল, কে কী খেলো— এসব ভেবে আদেও কি কোন লাভ আছে? এসব কন্ট্রোল করার মতো ক্ষমতাও কি আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের আছে? আমার মতে নেই। এসব ভাবনা দেশের শাসকের। তারাই যখন ভাবেনা, তখন আমরা চুনোপুটিরা এসব কঠিন কঠিন কথা ভেবে কী করব? তবুও, আপনার কথা মতো যদি আমি ভাবতে যাই, এমন এমন সব প্রশ্ন মাথায় আসে, যার কারণে সবকিছু ঘেঁটে ‘ঘ’ হয়ে যায়। প্রথম প্রশ্ন : লক্ষ...

নীতিহীন রাজনীতি ও নীতি রাজনীতি

 নীতিহীন রাজনীতি ও নীতি রাজনীতি : Unprincipled politics and ethical politics বর্তমান ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নীতিহীন রাজনীতির বাড়ন্ত। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় রাজনৈতিক দের মধ্যে কিছুটা হলেও নীতি রাজনীতির চর্চা ছিল। কিন্তু ৯০ এর দশকের পর, এর চূড়ান্ত অবনমন শুরু হয়। আজ তা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশ্বের কাছে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যে গর্ববোধ আমাদের উষ্ণতা প্রদান করত তা শেষের মুখে।  এই অবনবনের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভারতীয় জনগণের মধ্যে আধুনিক রাজনীতি সম্পর্কে অপ্রতুল উপলব্ধি। তারা বুঝতেই পারেন না, নীতিহীন রাজনীতি শুধুমাত্র কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থ গোষ্ঠীর মঙ্গল সাধন করে। কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নীতি ও আদর্শ যুক্ত নীতি রাজনীতি আপামর জনসাধারণের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। এই অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে চলেছে আমাদের দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলো। ‘নীতিহীন রাজনীতি’ শুধুমাত্র কিছু ক্ষুদ্র স্বার্থ-গোষ্ঠীর মঙ্গল করে। কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ও নীতি আদর্শ যুক্ত ‘নীতি রাজনীতি’ আপামর জনসাধারণের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমাদের দেশের অধিকাংশ অধিকাংশ জ...

মৌলবাদের সমর্থকদের উভয় সংকট

মৌলবাদের সমর্থকদের উভয় সংকট : Dual crisis of fundamentalist supporters সময় বড়ই নির্মম ও নির্মোহ। আফগানিস্তানের তালিবান আর ভারতের বিজেপি যে এক সারিতে অবস্থান করে তা সময়ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। আধুনিক শিক্ষা, রাজনীতি ও চিন্তা চেতনার সঙ্গে তুলনা করলে তারা যে এখনও প্রাচীন যুগের ধ্যান-ধারণাকে বহন করেন, তা জলের মতো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।  ভারতীয় তথাকথিত ধার্মিক মুসলমান ও তথাকথিত ধার্মিক হিন্দু সম্প্রদায় এই মুহূর্তে এক গভীর সংকটে পড়েছেন। কারণ— ১) কিছু মুসলিম আছেন, যারা প্রকাশ্যে সমর্থন না করলেও আফগান সরকারের নীতিকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করতেন না। এবং সেটা করতেন না এই ভেবে যে তারা ইসলাম ধর্মের সমার্থক ও রক্ষক। এই সমস্ত মুসলিম নিজের ধর্মকে প্রিয় ও পবিত্র ইসলাম মনে করেন। ইসলামের কিছু নীতি আদর্শ তাদের কাছে ইতিবাচক মানবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। দিকে সামনে রেখে। ২) অন্যদিকে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে এবং জোরেশোরে তালিবানদের বিরুদ্ধে গলা ফাটাতেন। এমন করতেন, যেন ভারতের সমস্ত মুসলমান তালেবান নীতিকে সমর্থন করে এবং এখানে তালিবানীর শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। স্বয়ং আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক সময় বল...

ধর্ম আর রাজনীতির পার্থক্য

ধর্ম আর রাজনীতির পার্থক্য: Alvito D Chuna না। মুসলিম কোন ধর্ম নয়। ধর্ম হল ইসলাম। এখানে এই পোস্টে ভোটের কথা বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কথা বলা হয়েছে। ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা। রাজনীতিতে হিন্দু মুসলমান হয় না। রাজনীতিতে বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস —এসব হয়। যদিও কিছু দল আমাদের বোকা ভেবে রাজনীতি আর ধর্ম এক করে দেখানোর চেষ্টা করছে।  প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষ এটা জানে। রাজনীতি হচ্ছে পলিটিক্স। সে সম্পর্কিত বিষয়ের নাম হচ্ছে পলিটিক্যাল সাইন্স বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান। যারা এটা পড়েছেন, তারা জানেন, রাজনীতি আর ধর্ম এক বইয়ের বিষয় থাকে না। এর জন্য আলাদা গ্রন্থ লাগে। দা প্রিন্স, অর্থশাস্ত্র —এগুলো রাজনীতির বই। বেদ, গীতা, বাইবেল, কোরআন —এগুলো ধর্মগ্রন্থ। ধর্মের বই। ধর্মের বইতে লেখা থাকে কীভাবে ধর্ম পালন করতে হয়। ঈশ্বরের অর্থাৎ আল্লাহ বা ভগবানকে পাওয়ার জন্য কী ধরনের আচার-আচরণ করতে হয়, কোন কোন নিয়ম মেনে চললে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। সুতরাং ধর্ম ঈশ্বর বিষয়ক বিষয়। অন্যদিকে, রাজনীতি হল রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়। রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, পরিচালনার আধুনিক নিয়ম-কানুন কী, সেসব কথা সেখানে ব...

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হল অসৎ রাজনীতিকরা

নিপীড়িত মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শত্রু হল অসৎ রাজনীতিকরা। এরা সাধারণ মানুষকে নানান প্রতিশ্রুতি দেয়, ক্ষমতায় আসে। তারপর বিশ্বাসঘাতকতা করে পুঁজিপতিদের দালাল হয়ে যায়।

যুদ্ধের প্রকৃত কারণ

যুদ্ধের প্রকৃত কারণ The real cause of the War পৃথিবীতে কোন যুদ্ধই সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্য হয়নি , এখনোও হয় না। অতীতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, শুধুমাত্র রাজনীতিকদের গদি দখল অথবা বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে। মজার কথা হল, এর পিছনে থাকে ‘পুঁজির কঙাল’দের সীমাহীন লোভ। তারাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কলকাঠি নাড়ে, রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে। দেশের অর্থনৈতিক নীতিকে পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য। এখন প্রশ্ন হল পুঁজিবাদ কী? পুঁজিবাদ হল এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে ব্যক্তির হাতে পুঁজির সীমাহীন সঞ্চয়কে স্বীকৃতি দেয়। পূর্ব শর্ত হিসেবে শুধুমাত্র কিছু কর প্রদানের বাধ্যবাধকতাকে সামনে রাখা হয়।

হিংসার আগুন, শুধু অন্যের নয়, নিজেকেও পোড়ায়

হিংসার আগুন, শুধু অন্যের নয়, নিজেকেও পোড়ায় The fire of jealousy burns not only others, but also oneself. দুটো কথা সমাজমাধ্যমে খুব জোরের সঙ্গেই প্রচার চলছে। একটি হল সন্ত্রাসবাদের লোকাল সাপোর্ট, এবং অন্যটি হল অধিকাংশ কাশ্মীরিই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদের সহায়ক। এর সমর্থনে সামনে আনা হচ্ছে বহু পুরনো কিছু ভিডিও ক্লিপ, যার স্থান কালের কোন উল্লেখ নেই। এখন লোকাল সাপোর্ট ছাড়া পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের মত কোন কাজ যে করা যায় না —একথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এটা বোঝার ও বোঝানোর জন্য বহু পুরনো কোন ভিডিও ক্লিপ সামনে আনার প্রয়োজন হয় কী? হয় না। এটা এমনিতেই বোঝা যায়। তাহলে প্রশ্ন হল, এই পুরনো ক্লিপগুলো প্রচারে আনা হচ্ছে কেন? আর গোটাকয়েক বাদে কাশ্মীরের প্রায় সবাই সন্ত্রাসবাদী, একথাও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিচুতলার কর্মীদের প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, এই অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, এমনকি গোয়েন্দা বিভাগও দাবি করেছে বলে আমি অন্তত শুনিনি। সরকারও সে দাবি করেনি। তাহলে আমরা এগুলো ছড়াবো কেন? ছড়ালে কার লাভ, কীভাবেই বা সেই লাভ হওয়া সম্ভব? আমি বা...

মূল শত্রুকে চেনা জরুরী

মূল শত্রুকে চেনা জরুরী একদিকে আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্স (ধনতান্ত্রিক দেশ)। অন্যদিকে সোভিয়েট ইউনিয়ন (সমাজতান্ত্রিক দেশ)। নীতি ও আদর্শগত দিক থেকে দুই মেরুর দুটি জোট। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে তারা যদি মূল শত্রুকে চিহ্ণিত করতে না পারতো এবং পরস্পরের কাছে না আসতো, হিটলারকে (ফ্যাসিবাদকে) থামানো যেত না। আজ বাঙালির সময় হয়েছে বিষয়টি ভেবে দেখার। -----------xx----------- লেখাটি উৎস ও প্রসঙ্গ জানুন ফেসবুকে

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র

ভারত উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র ভারত হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভরকেন্দ্র। ভারত হাসলে এই উপমহাদেশ হাসবে, কাঁদলে কাঁদবে। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকলে, তারাও ধর্মনিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য হবে। উপমহাদেশের অতীত ও বর্তমান ইতিহাস ও অবস্থা সেকথাই প্রমাণ করছে। সমগ্র উপমহাদেশকে এই সত্য স্মরণ রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই সুযোগে যদি ভারত সহ কোন একটি দেশের সরকার অন্য কোন দেশকে কাঁদাতে চায়, তার প্রভাব অনিবার্যভাবে সেই দেশেও যেমন পড়বে, তেমনই ভারতেও পড়বে। বৃহৎ শক্তি হিসেবে, এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাই হবে নিয়ন্ত্রক এবং অতীব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো যে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল, তার অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত ধর্মনিরপেক্ষতাকে মোটামুটি গুরুত্ব দিত এবং তার পরিচর্যা করত। আজ ভারত সরকার সেই অবস্থায় নেই। তাই চারপাশটায় টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  ----------xx----------

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ও তার ভিত্তি বাংলাদেশ ভারতের এমন এক প্রতিবেশী, যে ভারত যেভাবে পথ দেখাবে, তারাও সেভাবেই চলবে। চলছেও তাই। আরও একটু পরিষ্কার করে বললে সেটা হবে এমন, ভারতের শাসক দল যে নীতিতে চলবে, বাংলাদেশেও সেই নীতি মাথাচাড়া দেবে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রবণতা।  ভারতে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শ যখন শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে ছিল, সেই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশ ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং সফল হয়েছে। এবং সেখানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল। সুতরাং এখানে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা শক্তিশালী হলে, ওখানেও তা হবে। হতে বাধ্য। এখানে ধর্মান্ধতা বাড়লে, ওখানেও বাড়বে। এখানে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে ওখানেও সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে। বড়দের দেখেই তো ছোটরা শেখে। তাই না? তাই দু দেশের সরকারেরই গুরুত্ব সহকারে সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তির এবং নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। এক জায়গায় তা ক্ষুন্ন হলে অন্য জায়গায় তার প্রতিক্রিয়া আসতে বাধ্য। এটা উভয় সরকারকে বুঝতে হবে।

ধর্মনিরপেক্ষতা কেন এবং কতটা জরুরী

ধর্মনিরপেক্ষতা কেন এবং কতটা জরুরী ভারতের মতো বহুজাতিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করার অপরিহার্য দর্শন হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। ধর্মনিরপেক্ষতা আধুনিক রাষ্ট্র দর্শনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটাকে বাদ দিলে আপনাকে প্রাচীন যুগে সরে যেতে হবে। যেখানে রাজনীতিকে কন্ট্রোল করার বিষয়ে দুটো পরস্পর বিরোধী শক্তির মধ্যে সীমাহীন সংঘাতের জন্ম দিয়েছিল। গৃহযুদ্ধ যেখানে রাজনীতির অপরিহার্য অঙ্গ ছিল। রাষ্ট্রনেতা আর ধর্ম নেতার মধ্যে এই দ্বন্দ্ব জীবন এবং সম্পদের অবলীলায় ধ্বংস ডেকে এনেছে। মানব সভ্যতা লক্ষ্য লক্ষ্য বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়েছিল। উন্নয়ন ছিল অধরা। সাধারণ মানুষের জীবন ছিল দাস ব্যবস্থার মোড়কে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা। আমাদের ভাবতে হবে, আমরা কি সেখানে ফিরে যেতে চাই। না উন্নত থেকে উন্নততর কোন রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় বেঁচে থাকতে চাই। গড়ে তুলতে চাই একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ব্যবস্থা যেখানে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কিন্তু প্রতি হিংসা নয়। যেখানে মানুষ থাকবেন, কিন্তু জাতি হিংসা নয়। পৃথিবীর উন্নত ও শক্তিশালী বহুজাতিক দেশগুলো এভাবেই শক্তিশালী হয়েছে। যারা একথা ভুলে যাচ্ছেন, তারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বলে দাবি করতে প...

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ

পৃথিবীজুড়ে অশান্তির মূল কারণ পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষ শান্তির পক্ষে, ভালোবাসার পক্ষে। তবুও পৃথিবীতে শান্তি ও ভালোবাসা ‘বড়ই বাড়ন্ত’। কারণ, সিংহভাগ রাজনীতিক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অথবা ক্ষমতায় আসার জন্য এ-দুটোকে জিম্মি করে আর হিংসা ও ঘৃণার বেসাতি করে।

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ

ধনতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর স্বরূপ সরকার পাল্টায় কিন্তু সমাজ পাল্টায় না কেন? ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল আসলে একটি আরেকটির পরিপূরক। একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাই প্রকৃতপক্ষে কোন সরকারের দুর্নীতির বা সাধারণ জনগণের ওপর চালানো শোষণ বা নির্যাতনের কোন বিচার হয় না। বিচারের দাবিতে আন্দোলন হয়, শুধুমাত্র ক্ষমতায় ফেরার তাগিদে। ক্ষমতায় আসলে তারা বেমালুম চেপে যায় দুর্নীতি শাসন নির্যাতন সম্পর্কে সঠিক বিচারের প্রক্রিয়াকে। রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে অন্যায় অবিচার বা দুর্নীতি রোধ করার জন্য নয়, করে ক্ষমতায় আসার জন্য। ফলে সরকার পাল্টায়, কিন্তু সমাজ সংসার পাল্টায় না। অন্যায় অপরাধ দুর্নীতি কমে না, উল্টে আরও এক নতুন পর্বের সূচনা হয়। জনগণ সমাজ বদলের নেশায় অঘোরে শুধু জীবন দিয়ে যায়। বদলা নয়, বদল চাই। শুনতে দারুন ভালো লাগে। মানবিক মূল্যবোধে মোড়া এই স্লোগানের মধ্যে রয়েছে এক দারুণ মন্ত্র যা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি ভুলে যাওয়া এবং নিজেকে আর একজন শোষকে পরিণত করার কার্যকরী উপায়।  বদলা শব্দের মধ্যে যে প্রতিহিংসা রয়েছে তাকে তো মান্যতা দেয়া ...

রাজনৈতিক লড়াইয়ে মূল কারণ

রাজনৈতিক লড়াইয়ে মূল কারণ The main reason for the political Struggle “জগৎ জুড়ে যে লড়াইটা চলছে, তা আসলে ধনী দরিদ্রের লড়াই।” গণতান্ত্রিক দেশে ভোট হল এই লড়াইয়ের মাধ্যম বা হাতিয়ার। রাজনীতির সঙ্গে ধর্ম জুড়ে ধনিকশ্রেণী গরিব মানুষের এই লড়াইকে দুর্বল করে দেয়। গরিব মানুষ আসল লড়াই ভুলে ধর্মের লড়াই নিয়ে মেতে থাকে। এটা পুঁজিবাদীদের ষড়যন্ত্র। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

কারা কেন অশিক্ষিত বলে বিবেচিত হয়?

 Moti Lal Deb Nath ঠিকই, যিনি যেমন দেখবেন, এবং যেমন বুঝবেন, তেমনই বলবেন। এতে কোন দ্বিমত নেই। তা দোষেরও নয়। দোষের তখনই হয়, যখন কেউ অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনেন। আমি আপনার ভিতরটা যদি স্পস্ট করে বুঝতে পারতাম, ‘অশিক্ষিত' এবং অথবা দিয়ে 'জেনে বুঝে না বোঝার ভান’ - এভাবে শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করতাম না। আমি যাকে যেভাবে বুঝি, তাকে সেভাবেই সোজা সাপটা বলতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপনাকে ওই দুটোর কোনটাই বলিনি। কারণ, আমি এখনও বুঝিনি, কেন আপনি অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে এনে পোষ্টের মূল উদ্দেশ্যকে অন্যদিকে নিয়ে গেলেন। বুঝিনি বলেই আগের মন্তব্যে দু-দুবার ‘অবাক হওয়ার’ কথা উল্লেখ করেছি। যদি বুঝতাম, তাহলে সরাসরি আপনাকে হয় অশিক্ষিত বলতাম, আর না হয় ‘না বোঝার ভান করছেন’ বলে অভিযোগ করতাম। কারণ, মারপ্যাঁচ করে কথা বলা, আমার স্বভাবের বিরুদ্ধ। আমি শুধু বলেছি, এভাবে যারা প্রসঙ্গ ছেড়ে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে যায়, তারা ওই দুটোর কোন একটার কারণে নিয়ে যান। সেই অপশন দুটো আপনার সামনে তুলে এনেছি মাত্র। আপনি ওই দুটোর কোনটার মধ্যে পড়েন, অথবা আদৌ পড়েন কি না, সেটা তো আমি জানি না। কারণ, জানাটা অতটা সহজ কাজ নয়। ওটা আপনিই...

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়?

মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়? Does the Muslim vote get all TMC? যারা বলে মুসলিম ভোট সব তৃণমূল পায়, তারা জেনে বুঝেই এই মিথ্যাটা বলে। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোটের সিংহভাগ কৌশলে বিজেপির পক্ষে নিয়ে যাওয়া। ---------xx-------- এটা একমত হ‌ওয়া গেল না । সব ভোট না গেলেও গত দুটি বিধানসভা এবং সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে একটা বড় অংশের ভোট‌ রাজ্যের শাসকদলের অনুকূলে গেছে । খুব যে ভালোবেসে গেছে তা হয়তো নয় , কিন্তু গেছে এটা সত্য । আগে এই ভোটটা বামেরা পেতো । এখন আর পায় না । আপনার কথা যদি সত্য হতো তাহলে অধীর চৌধুরী ভোটে হারার কথা নয় । এবার আপনি বলতে পারেন ভোট দিতে বাধ্য হয় । কেন বাধ্য হয় তার দুটো দিক আছে । প্রথমটা হলো পক্ষপাতদুষ্ট প্রচারে মুসলিম জনমানসে একটা ভীতির সঞ্চার হয়েছে । আর দ্বিতীয়টা হলো রাজ্যের শাসকদল এমন একটা ইমেজের সৃষ্টি করতে সফল হয়েছে যে তারাই হলো সংখ্যালঘুদের রক্ষাকর্তা। আর সংখ্যালঘুরাও ধর্মনিরপেক্ষ সংখ্যাগুরু জনগণের চেয়ে একটা রাজনৈতিক দলকেই বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছে । এটার একটা বিরাট কুফল আছে । তবে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগবে । ------------- Moti Lal Deb Nath সাথি, আপনার ব্যাখ্যার উত্তর ...

ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য কী?

ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য কী? আলী হোসেন এক কথায়, ভোট বা নির্বাচনের উদ্দেশ্য হল, দেশে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য শাসক নির্বাচন করা। এখন এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শাসক হিসাবে জনগণ কাকে, কেন, কীভাবে এবং কিসের ভিত্তিতে নির্বাচন করবেন - এপ্রশ্নগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী বিষয়। এই প্রশ্নের সদুত্তর জানা না থাকলে, জনগণের কাছে আধুনিক ভোট বা নির্বাচন ব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কী : তাই, এই নির্বাচন উপলক্ষে আগামীতে কোন্ দল কোন্ কোন্ পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আরও ভালোভাবে সমাজে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে, তার খতিয়ান মানুষের কাছে উপস্থাপন করার কথা। এটাই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক দায়িত্ব। আসলে এগুলোই আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি এবং তা মেনেই প্রত্যেকটি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলকে কাজ করতে হয়। এগুলো বাদ দিলে দেশ আধুনিক ও গণতান্ত্রিক - এ দাবি করা যায় না। বাদ দিলে, তার অর্থ দাঁড়ায়, দেশ মধ্যযুগীয়, কিংবা প্রাচীনযুগীয় মানসিকতা নিয়ে এগোতে চাইছে। বলা বাহুল্য, পিছন দিক...

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতির চর্চায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতি চর্চায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি : নেতিবাচক রাজনীতি চর্চা - আলী হোসেন আলী হোসেন বিচার একটি যৌথ প্রচেষ্টার ফসল। বিচারক কখনোই সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না, যদি না এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংস্থা ও তার কর্মকর্তারা উপযুক্ত তথ্য সংগ্রহ এবং বিচারককে তা সরবরাহ করতে পারেন। আর বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে একটি শক্তির আধার; তা যার হাতে থাকে, তিনিই বিচারক। এই শক্তি ন্যায়বিচার তখনই দিতে পারে, যখন বিচারক নিরপেক্ষ থাকার সৎ সাহস দেখান এবং সাংবিধানিক আইন এবং তার প্রয়োগ বিষয়ে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। তবে তাঁর সফলতা নির্ভর করে তথ্য সংগ্রহকারী বিভিন্ন সংস্থা এবং আইনজীবীরা কতটা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেই তথ্য বিচারকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন, তার উপর। তাই বিচারক বা বিচার ব্যবস্থা যা বিধান দেয়, তা সব সময় সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত হবেই - এভাবে নিশ্চিত করা যায় না। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কোনো একটি পক্ষ যদি পক্ষপাতদুষ্ট হয়, তাহলে ন্যায় বিচার পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে, বিচার ব্যবস্থা যদি বিচারকের...

দেশ বড়, না রাজনৈতিক দল বড়?

দেশের স্বার্থ বড়, না দলের স্বার্থ বড়? Is the interest of the country greater than the interest of the party? ভারতীয় রাজনীতিকদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তারা দেশ ও দেশের মানুষের চেয়ে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখে। তারা মনেই রাখে না, দেশের জন্য দল, দলের জন্য দেশ নয়। The biggest weakness of Indian politicians is that they see the interests of the party more than the country and the people of the country. They do not remember, the party for the country, not the country for the party. উৎস দেখুন

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

ইতিহাস কী?

ইতিহাস কী? ইতিহাস হচ্ছে মানুষের তৃতীয় নয়ন। এই তৃতীয় নয়ন মানুষকে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বিষয়ে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে। এই পর্যবেক্ষণই জগত এবং জীবনের প্রকৃত সত্য উপলব্ধি করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। একজন মানুষ, জগত ও জীবন সম্পর্কে  প্রকৃত সত্য যতটা উপলব্ধি করতে পারেন, তিনি ততটাই শিক্ষিত বলে বিবেচিত হন। তাই ইতিহাস জানা এবং বোঝা ছাড়া একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারেন না। ইতিহাস কেন তৃতীয় নয়ন? একটা উদাহরণ নেওয়া যাক। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা ধরুন। আমরা এই ঘটনাকে যখন প্রত্যক্ষ করি, তখন দেখি দুটি ভিন্ন ধর্মের মানুষ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে উঠছে। আমরা খুব সহজেই এই ঘটনাকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিই এবং ধর্মকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। ধর্মীয় বিদ্বেষের ফল হিসেবে সেগুলোকে ব্যাখ্যা করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইতিহাসকে কার্যকারণ সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই দাঙ্গাগুলোর পিছনে ধর্মের চেয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য খুবই শক্তিশালী ভূমিকায় রয়েছে। অর্থাৎ মূলত, ...

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা? বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে