SIR কী সর্বজনীন ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে! পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন কর্মসূচি (SIR)-২০২৬ শুরু হতে চলেছে ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে।  সঙ্গে রাখবেন কোন্ নথি? সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিচয়পত্র ১ জুলাই ১৯৮৭-র আগে জারি হওয়া কোনও সরকারি নথি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া জন্ম সার্টিফিকেট পাসপোর্ট যে কোনও বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (সাল, তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে) স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট (জেলাশাসক বা সমতুল কারও দেওয়া) বনপালের সার্টিফিকেট কাস্ট সার্টিফিকেট এনআরসি অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ (যেখানে প্রযোজ্য) পারিবারিক রেজিস্টার (রাজ্য সরকার বা প্রশাসন প্রদত্ত) সরকার প্রদত্ত জমি বা বাড়ির নথি (দলিল বা পর্চা) মনে রাখতে হবে :  ২০০২ সালের জানুয়ারির ভোটার তালিকায় নাম থাকলে নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই। এখন প্রশ্ন হল : এই ডকুমেন্টসগুলো কাদের কাছে সহজলভ্য? মুষ্টিমেয় কিছু পয়সাওয়ালা লেখাপড়া জানা মানুষের কাছে। একটু চিন্তা করে দেখুন। লেখাপড়া না জানা গরিব মানুষের কাছে কোনগুলো সহজলভ্য? ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড। অন্যগুলোর মতো এগুলোও সরকার...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়   ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...