সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

২০২১ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঈশ্বরকে (সৃষ্টিকর্তাকে) পাওয়ার উপায়

ঈশ্বরকে (সৃষ্টিকর্তাকে) পাওয়ার উপায় - আলী হোসেন  সৃষ্টিকর্তাকে পাওয়ার জন্য (খুশি করার জন্য) তার নামে প্রার্থনার প্রয়োজন হয় না; প্রয়োজন হয় তাঁর সৃষ্টিকে ভালোবাসার। আর সৃষ্টিকর্তার সেরা সৃষ্টি হলো মানুষ। যে মানুষ এটাই বোঝেনা, সে আর যাই হোক, ধার্মিক নয়। দেখুন Your Quote এ

ধর্মান্ধতা কী?

ধর্মান্ধতা কী? - আলী হোসেন  ধর্মান্ধতা, এক ধরণের মানসিক রোগ বা বিকার । এর জন্ম হয় কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষুদ্রস্বার্থকে খুব সহজেই চরিতার্থ করার আগ্রাসী ও অনৈতিক মানসিকতা থেকে। এবং প্রকট হয় দীর্ঘ চেষ্টার পরও যখন তা সফল হয় না। সূত্র : ১) Your Quote-এ দেখতে এখানে ক্লিক করুন । ২) ফেসবুক-এ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝা যায় না।

প্রসঙ্গ সুরা তওবা, অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝা যায় না - আলী হোসেন।  Sumanta Bose Majumder সাথি, আপনি হয় তো কোরআন পড়েছেন অথবা অংশটি কোথাও থেকে সংগ্রহ করেছেন। তবে আমার ধারণা, অংশটি সংগ্ৰহ করা। আপনি পড়েন নি। এই সুরাটির (অধ্যায়টির) নাম তওবা। এখানে ১২৯ টি বাক্য লেখা আছে। তার মধ্যে আপনি ৫ নং আয়াতটি (বাক্যটি) উল্লেখ করেছেন। আপনি এককাজ করুন। পরের মুখে ঝাল না খেয়ে (যদি খেয়ে থাকেন) গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদ করা কোরানটি একবার পড়ুন। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ভাবনাটার কোথায় অসঙ্গতি আছে। ১২৯ বাক্যের একটি প্রবন্ধ থেকে একটি বাক্য তুলে ধরলে কি ওই প্রবন্ধের মূল কথা বোঝা যায় ভাই! ওই বাক্যটি কোন স্বাধীন ও সম্পূর্ণ বাক্য নয়। সুরা তওবার এই বাক্যের আগে পরে অনেক যদি, তবে, কিন্ত, পরন্তু আছে। সেগুলোকে বাদ দিয়ে ওই বাক্যটি অর্থহীন হয়ে পড়ে। যেমন ধরুন, আমি বললাম ' ‛আমাকে কেউ মারতে এসো না। যদি আসো, আমি তোমাকে মারব‘। এখন আপনি যদি আমার আগের বাক্যটির উল্লেখ না করে পরের বাক্যটি তুলে ধরেন তবে, সবাই আমাকে অপরাধী হিসাবে ভেবে নেবে। আপনি সেটাই করেছেন। অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝানোর চাতুরী করেছেন,যা আসলে অসত্য ও অসঙ্গত।

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী Avishek Sarkar ভাই/দাদা, আপনার প্রফাইল লক করা কেন? আপনার পরিচয় জানতে দেন না কেন? এমন কিছু কি গোপন করার চেষ্টা করছেন যা প্রকাশ হলে অসুবিধায় পড়বেন? আচ্ছা বাদ দিন। আপনি কীভাবে বুঝলেন যে, রূ প সা  মুসলমান, কিংবা তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন নি? আপনিও কি পোশাক দেখেই মানুষ চিনতে পারার মত ক্ষমতা রাখেন নাকি? যদি রাখেন, তবে আপনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমকক্ষ। সেক্ষেত্রে কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই। যদি তা না রাখেন, তবে কটা কথা বলি। ১) উনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করেছেন। ওনার মতো করেই করেছেন। এক হাতে তালি বাজেনা, জানেন তো? তাই তালির শব্দে যখন কানের পর্দা ফাটার উপক্রম হয়, শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ দুই হাতের কারসাজির কথাটা সহজেই ধরতে পারেন। উনিও পেরেছেন। তাই প্রতিবাদটা সেভাবেই করেছেন। ২) বাংলাদেশে যেমন মৌলবাদী মুসলমান আছে, তেমনি এদেশেও মৌলবাদী হিন্দু আছে। জানেন তো? অথবা মানেন তো? আপনি কি জানেন এই তালি দেওয়ার ক্ষেত্রে এরা একে অপরের পরিপূরক? বোধ হয় জানেন না। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আমার তেমনই মনে হল। ক্ষমা করবেন য

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ইসলাম ও মৌলবাদ

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ইসলাম ও মৌলবাদ, কুমিল্লার দাঙ্গা ২০২১ - আলী হোসেন।  বাংলাদেশ ও ভারত দুটো প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের সংখ্যাগুরু মৌলবাদীর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু ধর্ম-দর্শনে। একদল নিজেদেরকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বলে দাবি করে এবং অন্যটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে। দুটো দলই মূলত তাদের ধর্ম নিয়ে যথাক্রমে ব্যবসা ও রাজনীতি করছে। আর এর কারণে মরতে হয়, ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয়, উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষের। এরা ধর্মের কথা বলে মানুষকে উত্তেজিত করে। কিন্তু নিজের ধর্মের মানুষ, যারা অন্য দেশে সংখ্যালঘু, তাদের কথা মোটেই ভাবে না। উভয় সম্প্রদায়ই বিপরীত সম্প্রদায়ের ধর্ম বিষয়ে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দেয় এবং উত্তেজনা ছড়ায়। নিজ ধর্মের প্রতি প্রেম সধর্মীয়দের জন্য দরদ দেখাতে গিয়ে যে পরোক্ষভাবে নিজের ধর্মকে অসম্মান ও  সধর্মীয়দের বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তা এই সব ধর্মান্ধ মানুষরা বোঝে না। আর বোঝে না বলেই এদের এই নির্বুদ্ধিতার সুযোগ নেয় মৌলবাদী সমাজ। অথচ উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মগ্রন্থে এ ধরনের বিদ্বেষ-বিভেদমূলক কোন কিছু আছে বলে আমি এখনো কিছু খুঁজে পাইনি। উল্টে সহাবস্থান ও সহমর্মিতার কথাই লক্ষ্য করেছি

প্রসঙ্গ : প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা।

Somen Sengupta পারতাম যদি তো দিয়েই দিতাম। তাই না? সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষ হতে গেলে তো কমিউনিস্ট হতে হবে। তা কি হজম হতো আমাদের? অথবা, তাহলে তো নেতাজির নেতৃত্ব মেনে নিতে হতো। পেরেছিলাম কি তা? আসলে আপনার প্রশ্নটা ঠিক পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন হয়ে উঠতে পারেনি। কারণ প্রশ্ন হল সেটাই, যার সুনির্দিষ্ট একটি উত্তর আছে। কিন্তু আপনার প্রশ্নের সে ধরণের কোন উত্তর হয় না। উল্টে আরও কিছু প্রশ্নের জন্ম দেয়। যার কিছু আমিই করে বসেছি আপনাকে।😀😀 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

প্রেম নয়, মোহ

যে প্রেম আপনকে পর করতে শেখায়,সে-প্রেম প্রেম নয়,মোহ। তাই প্রেম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিৎ নয়। দেখুন ফেসবুকে দেখুন YourQuote এ

ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষতা : সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর

সৌম্য বসুর বক্তব্য ও তার উত্তর এটা যেমন সত্যি। এর উল্টো দিকটাও সত্যি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা তা-ই বলছে।  আমি যখন মুসলিম হয়ে মুসলিম সমাজের সমালোচনা করছি তখন হিন্দু বন্ধুদের কাছ থেকে প্রশংসার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। মুসলিমদের অনেকেই মৌন ব্রত পালন করেছেন। দু-একজন অসন্তোষ প্রকাশও করেন। আবার, আর এস এস বিজেপির সমালোচনা করলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুদের অধিকাংশ মৌন ব্রত পালন করছেন। এইদিকটা আপনার আলোচনায় ধরা পড়েনি। সুতরাং আপনার ভাবনায় সীমাবদ্ধতা আছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। আসামের ঘটনা নিয়ে আমি একটা কবিতা লিখেছি। সম্ভবত গতকাল। একটু ঘুরে আসুন ওয়ালে। বুঝতে পারবেন। আর পিছনের দিকে গিয়ে দেখুন ঠিক উল্টো ছবি। আসলে সমাজে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রবণতা আছে। বললে সবার কথা বলাটা খুবই প্রয়োজন। না হলে মানুষ আপনাকে ভুল বুঝবেন। কোন সমালোচনা করার সময় এ বিষয়ে সতর্ক থাকাটা প্রত্যেক প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের জন্য জরুরি। ---------------- 🔳 প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ৩

Musiar Rahaman প্রকৃত শিক্ষাই একমাত্র মানুষকে সঠিক পথ দেখতে পারে। কারণ, জগৎ ও জীবনের জটিল ও কঠিন পথের সূলুকসন্ধান একমাত্র শিক্ষার আলোতেই পাওয়া যায়। আর শিক্ষার এই আলোর মাধ্যমেই আসে আত্মপলব্ধি। তখনই মানুষ জেনে ফেলে জগৎ ও জীবনের প্রকৃত সত্য। এই সত্য যারা উপলব্ধি করে তারা সৎ হওয়ার চেষ্টা না করে পারে না।

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ২

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। ---------------- মহ অনির্বাণ ইসলাম : যুক্তির বাঁধনটা বড়ই শক্ত। মোড়কও। মানুষ চিরন্তন বলে সব তত্ত্বকে নির্দ্বিধায় মেনে নেয় নি। নিতে চায়ও না। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়, এমন সব তত্ত্বকে মানুষ তার চিন্তা-চেতনায় ও প্রকৃতির গর্ভে থাকা শিক্ষার আলোয় বিজারিত করে নিত্য-নতুন তত্ত্বের জন্ম দিয়েছে। প্রকৃতির নিয়ম যে যুক্তির আগলে বাঁধা, সেই আগল থেকে খসিয়ে নেওয়া সুতো দিয়েই বুনে নিয়েছে প্রকৃতিকে বেঁধে ফেলার নতুন তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক কৌশল। এমনই এক কৌশলের নাম শিক্ষা। আমার ধারণা ছিল, এই শিক্ষাই মানুষকে একদিন যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা অকল্যাণকর সত্যকে, যা আমাদের কাছে তত্বের রূপ ধারণ করে রয়েছে, তাকে অতিক্রম করে নতুন তত্বের জন্ম দিতে সক্ষম করে তুলবে। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া একটি তত্ত্ব দিয়েই অন্য  অকল্যাণকর তত্ত্বকে কল্যাণকর মোড়কে রূপান্তরিত করে নেবে। পাল্টে যাবে আমার ধারণা। সংখ্যালঘুরাই হয়ে উঠবে সংখ্যাগুরু। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ বিশ্ব

সৎ ও সত্যবাদীরা সংখ্যালঘু - ১

সৎ ও সত্যবাদীরা আজীবন সংখ্যালঘু। ছোট্টবেলা থেকে বয়ে বেড়ানো এই ধারণা থেকে এখনও বের হতে পারলাম না। Ayesha Khatun আসলে এই সত্য পাল্টানোর চাবিকাঠি তো কারও একার হাতে থাকে না। সমষ্টির হাতের ও মনের ছোঁয়ায় এর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তাই আমার একার হাতেও তা নেই। তাই তুমি ঠিক। কিন্তু আশা করতাম, মানুষ যত শিক্ষার আলোয় আসবে, ততই সৎ ও সত্যের আবর্তে ঢুকে পড়বে। ফলে এক সময় আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে। ছোটবেলার অদূরদৃষ্টির পরিণাম হিসাবে এই ধারণা বাতিল এর খাতায় জমা হবে। কিন্তু এখন দেখছি আমি আসলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে ‛জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা‛র আবর্ত থেকে এখনও বের হতে পারি নি। তবে এ বিশ্বাস এখনও আমি হারাই নি যে, সংখ্যায় সংখ্যালঘু হলেও এরাই জগতের সত্যিকারের সত্য উপলব্ধিতে শক্তিশালী ও অগ্রণী বাহিনী।. .......... এবিষয়ে অন্যান্য মতামত এখানে মূল পোস্ট দেখুন ফেসবুক  এ। এবং দেখুন YourQuote এ।

দেশভাগের যন্ত্রনা ও বুদ্ধিজীবী

এপার বাংলার কোন সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবী এই প্রথম (আমার জানা মতে) প্রকাশ্যে আনলেন এবং  বিষয়টি স্বীকার করলেন। এই সত্য কথনের সাহসই সৌমিত্র দস্তিদারকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

দেশভাগের যন্ত্রনা

দেশভাগ। যন্ত্রণা শুধু ওপার বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের নয়, এপার বাংলার মুসলমানদেরও সমানভাবে কাতর করেছিল। এই সহজ সত্যটা উপলব্ধি করার জন্য বিশেষ তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন হয় না। সাধারণ যুক্তি বুদ্ধিতেই তা উপলব্ধ হয়। রাজনীতির জটিল ও কুটিল চক্রান্তে এই সত্য দীর্ঘ সাত দশক ধরে চাপা পড়ে আছে। দুটি সম্প্রদায়ের মানুষ তাই পাশাপাশি বাস করেও পরস্পর পরস্পরকে সন্দেহের চোখে দেখে। একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের কাছে এটা যে কত বড় লজ্জার এবং কষ্টের তা বুঝিয়ে বলা মুশকিল। কেন এই পরিস্থিতি? কারণ, ইতিহাস তো বটেই, সাহিত্য, সিনেমা, নাটক সহ এপার বাংলার কোনও সাংস্কৃতিক মঞ্চে এর একরত্তি ছোঁয়া পড়েনি। সেখানে মঞ্চস্থ হয়েছে স্বাধীনতা-উত্তর ও পূর্বের সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনায় মোড়া একই মুদ্রার বাছাই করা পিঠের ছবি নিয়ে তৈরি পান্ডুলিপির বাছাই করা পর্ব। অন্য পিঠে থাকা চিত্রগুলি পান্ডুলিপি হওয়ার মর্যাদা লাভ করেনি আজও। ফলে অন্য পর্বগুলি তরুণ প্রজন্মের কাছে এসে পৌঁছায়নি। এই একপেশে চালচিত্র দেখে দেখে বড় হওয়া প্রজন্মের একজন জ্বলছে ঘৃণার আগুনে, অন্যজন সীমাহীন গ্লানির অতলে ডুকছে অসহায় ভাবে। এই কারণেই এপার বাংলার

দেশ বেচে দিলপুঁজিপতিদের হাতে

মুসলমান আর কাগুজে বাঘ পাকিস্তানের ভয় দেখিয়েই পুরো দেশটা বেঁচে দিল পুঁজিপতিদের কাছে। আমরা এমন শিক্ষিত যে বুঝতেই পারলাম না। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

কেউ কাউকে ভোলে না

জগতে কেউ কাউকে ভোলে না, শুধু প্রয়োজন ফুরালে এড়িয়ে চলে। এবং এড়িয়ে চলতে চলতে একসময় আড়ালে চলে যায়।

মুসলিম আইডেন্টিটি কি কেবল টুপি?

টুপি ছাড়া কি মুসলিম সম্প্রদায়ের আইডেন্টিটি ক্রাইসিস তৈরি হয়? এটাকে বাদ রেখেও এই প্রচ্ছদ আঁকা যেত না? মুসলিম সম্প্রদায়ের কতজন টুপি পড়েন? টুপি যাঁরা ধর্মপ্রাণ, তাঁরা নামাজ পড়ার সময় কেবল টুপি পড়েন। শতকরা একজনেরও কম যাঁরা দিনের অধিকাংশ সময় এটা পরে থাকেন। টুপি দিয়ে বাঙালি মুসলিমকে সামগ্রিকভাবে ধরা যায় না। 🔴 বিশ্বজিৎ পন্ডার লেখা প্রবন্ধ সংকলনের ( স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা ছোটোগল্পে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম-মানস ) প্রচ্ছদ সম্পর্কে মন্তব্য।

ট্যাব দিলেই হয় না, সময় মতো দিতে হয়

সুপ্রিয় সাথি, প্রথমেই অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই এত বড় একটা লেখা সময় দিয়ে পড়া ও সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি প্রাসঙ্গিক কথা। ১) সরকার ট্যাব দিয়েছে। ঠিক। কিন্তু প্রশ্ন হলো কখন দিয়েছে? দিলেই হয় না, সময় মতো দিতে হয়, এবং তা ব্যবহার করে তারা পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা সেটাও বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় এবং সময় মত ব্যবস্থা নিতে হয়। কিন্তু তা করা হয় নি। তাই রাজ্য সরকার সময়মত মনোযোগী না হওয়ার কথা আমার লেখাতেই উল্লেখ করেছি। ২) দ্বিতীয়ত, অনলাইনে পড়তে গেলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে টেকসেভি হতে হয় না, কিন্তু পরীক্ষা দিতে হলে টেকসেভি হতে হয়। এটা গরিব ও নিম্নবিত্ত এমনকি নিন্মম্মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এই টেকনোলজি সম্পর্কে সম্যক ধারণা যাদের আছে তারা আমার এই মতকে অস্বীকার করতে পারবেন না। সুতরাং অনলাইনে পড়াশোনা করা গেলে পরীক্ষাও নেওয়া যায় - এই মতের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কিছুটা সম্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও স্কুল স্তরে একেবারেই সম্ভব নয়। এই স্তরের অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা এর প্রধান অন্তরায়। ৩) অফলাইনে হয় তো নেওয়া যেত। কিন্তু কোনো সরকারই সেই ঝুঁকি নেবে ন

অনলাইনে পড়াশোনা গেলেও পরীক্ষা নেওয়া যায় না।

Mahafuzur Rahaman সাথি, সময় করে পড়েছেন এবং মতামত দিয়েছেন। তাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। অনলাইলে পড়ালে যেমন সকলের কাছে পৌঁছানো যাবে না, তেমন পরীক্ষায়ও সকলকে আনা যাবে না। সকল অভিভাবকদের সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই। আমার ঘরের সন্তান তা দিতে পারলেও অধিকাংশ মানুষের ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, অনলাইনে পড়তে গেলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে টেকসেভি হতে হয় না, কিন্তু পরীক্ষা দিতে হলে টেকসেভি হতে হয়। এটা গরিব ও নিম্নবিত্ত এমনকি নিন্মম্মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে প্রায় সম্ভব। এই টেকনোলজি সম্পর্কে সম্যক ধারণা যাদের আছে তারা আমার এই মতকে অস্বীকার করতে পারবেন না। সুতরাং অনলাইনে পড়াশোনা করা গেলে পরীক্ষাও নেওয়া যায় - এই মতের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কিছুটা সম্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও স্কুল স্তরে একেবারেই সম্ভব নয়। এই স্তরের অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা এর প্রধান অন্তরায়। অফলাইনে হয় তো নেওয়া যেত। কিন্তু কোনো সরকারই সেই ঝুঁকি নেবে না। কারণ, তাতে সংক্রমন বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। যদিও এই বিষয়ে আমার লেখায় কোনও মন্তব্য আমি করি নি। কারণ, সংক্রমন বাড়ার বিষয়ে আগবাড়িয়ে ভ

যুক্তি ছাড়া মুক্তি নাই

Ziya Hasan প্রথমটা ততটা যথাযথ নয়, দ্বিতীয়টা যতটা মনে হয়। কারণ, যুক্তিতে মেলায় মুক্তি বিশ্বাসে বহুদূর। যুক্তি-তর্কই জগতের চালিকাশক্তি। বিশ্বস কেবল বিশ্বাসীদের মনের জোর বাড়ায় মাত্র, এছাড়া আর কোনো শক্তি এর নেই। সুতরাং মন খুলে দ্বিধা ভুলে তর্ক করা চাই, যুক্তি-তর্ক ছাড়া কিন্তু চিন্তার মুক্তি নাই। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

গণতন্ত্র ও বিজেপির রাষ্ট্রভাবনার সম্পর্ক

"বিক্ষোভ দমনের তাড়নায় রাষ্ট্রের মনে সংবিধানস্বীকৃত প্রতিবাদের অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তফাত যেন কিছুটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। এই মানসিকতা যদি প্রাধান্য পায়, তা হবে গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখের দিন।" -- বিচারপতি অনুপ ভস্তানি ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুল বিজেপি কি এসব কথা বোঝে না? না, তাদের বোঝার ইচ্ছা আছে? অথবা বলা ভালো, বোঝার দরকার আছে বলে কি তারা মনে করে? এটাই হলো লাখ টাকার প্রশ্ন। ওরা বোঝে, শুধুই রাজনৈতিক ক্ষমতা। আর বোঝে, তা অর্জন ও ধরে রাখতে গেলে দরকার পুঁজির দালালি। কারণ, গরিবের ভোট টাকা দিয়ে সহজেই কেনা যায় - এ সত্য ওরা জানে, এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করে। আর কেউ কেউ জানে, সেই টাকার যোগান দেয় পুঁজির মালিকরা। তাই তারা গণতন্ত্র বা গরিবের কথা নয়, ভাববে পুঁজির মালিকদের কথা। এবং একথা না বোঝাটা হলো মস্তবড় বোকামি। পুঁজির মালিকদের সৌভাগ্য, এই সত্যটি অধিকাংশ সাধারণ মানুষই জানেন না এবং বোঝেনও না। ২০২০-২১ (আর্থিক বছরে) করোনা অতিমারী যেখানে বিশ্বের একাধিক দেশ সহ ভারতের জিডিপি'কেও তলানিতে টেনে নামিয়ে দিয়েছে, সেখানে একই সময়ে নিজের সম্পত্তির পরিমাণ ৩.১৪ লক্ষ কোটি টাক

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে