সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী

স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী

Avishek Sarkar ভাই/দাদা, আপনার প্রফাইল লক করা কেন? আপনার পরিচয় জানতে দেন না কেন? এমন কিছু কি গোপন করার চেষ্টা করছেন যা প্রকাশ হলে অসুবিধায় পড়বেন?

আচ্ছা বাদ দিন। আপনি কীভাবে বুঝলেন যে, রূ প সা  মুসলমান, কিংবা তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন নি? আপনিও কি পোশাক দেখেই মানুষ চিনতে পারার মত ক্ষমতা রাখেন নাকি? যদি রাখেন, তবে আপনি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমকক্ষ। সেক্ষেত্রে কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই।

যদি তা না রাখেন, তবে কটা কথা বলি।
১) উনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ নিশ্চয়ই করেছেন। ওনার মতো করেই করেছেন। এক হাতে তালি বাজেনা, জানেন তো? তাই তালির শব্দে যখন কানের পর্দা ফাটার উপক্রম হয়, শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ দুই হাতের কারসাজির কথাটা সহজেই ধরতে পারেন। উনিও পেরেছেন। তাই প্রতিবাদটা সেভাবেই করেছেন।

২) বাংলাদেশে যেমন মৌলবাদী মুসলমান আছে, তেমনি এদেশেও মৌলবাদী হিন্দু আছে। জানেন তো? অথবা মানেন তো?

আপনি কি জানেন এই তালি দেওয়ার ক্ষেত্রে এরা একে অপরের পরিপূরক? বোধ হয় জানেন না। আপনার মন্তব্যগুলো পড়ে আমার তেমনই মনে হল। ক্ষমা করবেন যদি ভুল বুঝে থাকি।

আর যদি ঠিক বুঝে থাকি, তবে একটু ভাবুন আমার কথাগুলো। আর পারলে একটু কষ্ট করে আমার ওয়ালে গিয়ে দেখে আসুন ইসলাম ধর্ম ঠিক কী বলে। দুই দেশের মুসলিমদের বড় অংশ কী ভাবছে এই ঘটনার নিন্দা করছে তার কিছুটা আভাস নিশ্চয়ই পাবেন।

৩) আপনি কি জানেন, রাজনৈতিক ইন্ধন না থাকলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না? হয় জানেন না। নাহয় জেনে না জানার ভান করছেন। সেক্ষেত্রে আপনি কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের সুবিধা করার চেষ্টা করছেন। করুন। সেটা করার আপনার সাংবিধানিক অধিকার আছে। কিন্তু রূপসার মত ব্যক্তিত্বকে 'লজ্জা করা' র মত শব্দবন্ধ ব্যবহার করার অধিকার সংবিধান আপনাকে দেয় নি। যদি আপনি নিজেকে শিক্ষিত, সচেতন ও নিরপেক্ষ নাগরিক হিসেবে দাবি করেন, ওই দাবি আপনি নিজেও করতে পারবেন না।

৪) ধর্মীকের বেশ ধরে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি ও ব্যবসা করার লোক উপমহাদেশে খুবই বেশি এটা জানেন তো? আর এই প্রবণতা দুই ধর্মের মানুষের মধ্যেই আছে - একথা আপনার চৈতন্যে (চেতনায়) ধরা পড়ে তো? যদি পড়ে, তবে তার সাথে যোগ করে নিন একটা বাক্য। বাক্যটি হল : এরা কেউ সত্যিকারের হিন্দু বা ইসলাম ধর্মের প্রতিনিধি নন। এরা স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার শিক্ষিত মানুষের মানবিক অভিধান মতে তার অর্থ দাঁড়ায় ধর্ম-ব্যবসায়ী। আর এরা পরস্পরের ভাই। তাই তালিটা এরা মিলেমিশেই দেয়। আর তখনই দাঙ্গা বাঁধে। এরা কখনই প্রকৃত হিন্দু কিংবা প্রকৃত মুসলমানদের প্রতিনিধি নয়।

৫) তবে এক্ষেত্রে যেখানে যারা সংখ্যাগুরু তারাই সেখানে মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করে। বাংলাদেশে তারা মুসলিম মৌলবাদী আর ভারতে তারা হিন্দু মৌলবাদী।

তাই আপনি যদি নিরপেক্ষ, শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিক হন তবে এই দুই পক্ষকেই আপনাকে কাঠগড়ায় তুলতে হবে। রূপসা সেটাই করে থাকে বরাবর।

এবার আপনি ভাবুন আপনি ঠিক কী ভাবছেনএবং আমাদের জানান আমাদের ভ্রান্তি কোথায়?

ভালো থাকুন, আর অবশ্যই সব সময় মানুষের পাশে থাকুন। শুভ কামনা।

অসংখ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন