হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। তাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা যায় মাত্র। মানুষের সমান অধিকার কায়েম করার মধ্য দিয়েই আসে হিংসার সমাপ্তি। কারণ, অসাম্যই জন্ম দেয় হিংসার এবং অসাম্যই হিংসার একমাত্র কারণ। গতকাল নতুন করে কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা সেটাই প্রমাণ করে। এ দায় রাষ্ট্রশক্তিকেই (সরকারকে) নিতে হবে। কারণ, তারই একমাত্র দায় থাকে মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে সমাজ থেকে অসাম্য দূর করে একটি সুস্থ্য ও শোষণহীন সমাজ গড়ে তোলার। আর সেটা সেটা না করে, আলোচনা ও সমানাধিকারের প্রশ্নকে উপেক্ষা করে, হিংসা দিয়ে হিংসার মোকাবেলার রাস্তায় যারা হেঁটেছেন তারা এর দায় এড়াতে পারেন না। যারা বিভাজনের অস্ত্র ব্যবহার করে, অসাম্য জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায়, তারাই একমাত্র দায়বদ্ধ এর জন্য। বন্ধ হোক সাধারণ মানুষকে জিম্মি রেখে বিভাজনকারী রাজনীতিকদের রাজনৈতিক চালাকি। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...