এত অর্থহীন ও আবেগি পোস্ট করো কেন বাবা? এদেশের সব নাগরিকই তো নিজের দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশকে আপন ভাবে না। অন্য কোন দেশের নাগরিক ও তো নয়। তাহলে কাকে বেরিয়ে যেতে বলছ? বললেও তো কেউ যাবে না। কারণ কেউ তো নিজের দেশকে ছাড়া অন্য দেশকে ভালোবাসে না। কেনইবা বাসবে? তাতে কি তার কোনো লাভ আছে? যেমন ধরো কেউ কেউ আমেরিকার অর্থনীতি ( ধণতন্ত্র) কে পছন্দ করে। আবার কেউ কেউ চীনের অর্থনীতি ( সমাজতন্ত্র) কে পছন্দ করে। এর মানে কি এই যে, যারা ধনতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা আমেরিকার দালাল আর যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা চিনের দালাল? না, মোটেই তা নয়। এভাবে ভাগ করার অর্থ দাঁড়ায় যে, যিনি ভাগ করছেন, তিনি শিক্ষিত নন। যাদেরকে চিনের দালাল বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, তারা আসলে চীন দেশ কে নয়, চীনের অর্থনীতির প্রশংসা করে। তোমার প্রোফাইলে দেখলাম তুমি ইতিহাসের ছাত্র। অনুরোধ রইল ইতিহাসটা ভালো করে পড়ো, বুঝে বুঝে পড়ো এবং অবশ্যই শুধুমাত্র পাঠ্য বইয়ের উপরে বা সিলেবাস-এর উপরে নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখো না। তাহলেই বুঝতে পারবে আমার কথাগুলো। ভালো থেকো, মানুষের পাশে থেকো, ভালোবাসা নিও। প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...