সম্মান ও শ্রদ্ধা সবার জন্য নয় অসম্মান করতে পারিনা কোন মানুষকে। তিনিও একজন মানুষ। তাই তিনি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। সম্মান করি। কিন্তু শ্রদ্ধা করতে গেলেই নানান প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়। কেন? সম্মান এমন এক অনুভূতি বা আবেগ যা সকলে সকলকে জানাতে পারে। ভাগ করে নিতে পারে। সেখানে প্রধান শর্ত তাকে মানুষ হতে হয়। সম্মান বয়স, বিবেচনা বোধ, বিশেষ জ্ঞান, বিশেষ গুণ নিরপেক্ষ। কিন্তু শ্রদ্ধা এসব নিরপেক্ষ নয়। যার মধ্যে এগুলো নেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না। একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে সত্য ও সুন্দরের পূজারী হতে হয়। হিংসা দ্বেষ তিনি ছড়াতে পারেন না। উল্টে তিনি সত্য ও সুন্দরকে হাতিয়ার করে এই অগুনগুলোকে নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অগুনকে গুণে রূপান্তরিত করেন। অনেক ভেবেছি। এগুলো কি তাঁর মধ্যে আছে? এখনও তেমন তথ্য আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। আসলে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি সব সময় সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকেন। পিছিয়ে থাকেন না। পিছিয়ে যেতে পারেন না। কিন্তু আমাদের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী সময় কে পিছন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন। তিনি যখন বলেন, “জৈবিক ভাবে আমার জন্ম হয়নি, আমি ঈশ্বরের দূত” - তখন জলের মতো পরিস্কার হয়...
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...