সম্মান ও শ্রদ্ধা সবার জন্য নয়
অসম্মান করতে পারিনা কোন মানুষকে। তিনিও একজন মানুষ। তাই তিনি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। সম্মান করি। কিন্তু শ্রদ্ধা করতে গেলেই নানান প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়। কেন?
সম্মান এমন এক অনুভূতি বা আবেগ যা সকলে সকলকে জানাতে পারে। ভাগ করে নিতে পারে। সেখানে প্রধান শর্ত তাকে মানুষ হতে হয়। সম্মান বয়স, বিবেচনা বোধ, বিশেষ জ্ঞান, বিশেষ গুণ নিরপেক্ষ।
কিন্তু শ্রদ্ধা এসব নিরপেক্ষ নয়। যার মধ্যে এগুলো নেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না। একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকে সত্য ও সুন্দরের পূজারী হতে হয়। হিংসা দ্বেষ তিনি ছড়াতে পারেন না। উল্টে তিনি সত্য ও সুন্দরকে হাতিয়ার করে এই অগুনগুলোকে নিভিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। অগুনকে গুণে রূপান্তরিত করেন।
অনেক ভেবেছি। এগুলো কি তাঁর মধ্যে আছে? এখনও তেমন তথ্য আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। আসলে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি সব সময় সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকেন। পিছিয়ে থাকেন না। পিছিয়ে যেতে পারেন না।
কিন্তু আমাদের সম্মানীয় প্রধানমন্ত্রী সময় কে পিছন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন। তিনি যখন বলেন, “জৈবিক ভাবে আমার জন্ম হয়নি, আমি ঈশ্বরের দূত” - তখন জলের মতো পরিস্কার হয়ে যায় যে, তিনি সময় বা যুগের দাবিকে অস্বীকার করছেন এবং যুগকে পিছনদিকে নিয়ে যেতে চাইছেন।
এই ‘পিছন দিক’ কথার অর্থ হলো মধ্য বা প্রাচীন যুগ। যেখানে অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভর করে মানুষ চলতে বাধ্য হতেন। আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞান
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন