প্রসঙ্গ সুরা তওবা, অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝা যায় না - আলী হোসেন।
Sumanta Bose Majumder সাথি, আপনি হয় তো কোরআন পড়েছেন অথবা অংশটি কোথাও থেকে সংগ্রহ করেছেন।
তবে আমার ধারণা, অংশটি সংগ্ৰহ করা। আপনি পড়েন নি।
এই সুরাটির (অধ্যায়টির) নাম তওবা। এখানে ১২৯ টি বাক্য লেখা আছে। তার মধ্যে আপনি ৫ নং আয়াতটি (বাক্যটি) উল্লেখ করেছেন।
আপনি এককাজ করুন। পরের মুখে ঝাল না খেয়ে (যদি খেয়ে থাকেন) গিরিশ চন্দ্র সেনের অনুবাদ করা কোরানটি একবার পড়ুন। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার ভাবনাটার কোথায় অসঙ্গতি আছে।
১২৯ বাক্যের একটি প্রবন্ধ থেকে একটি বাক্য তুলে ধরলে কি ওই প্রবন্ধের মূল কথা বোঝা যায় ভাই!
ওই বাক্যটি কোন স্বাধীন ও সম্পূর্ণ বাক্য নয়। সুরা তওবার এই বাক্যের আগে পরে অনেক যদি, তবে, কিন্ত, পরন্তু আছে। সেগুলোকে বাদ দিয়ে ওই বাক্যটি অর্থহীন হয়ে পড়ে।
যেমন ধরুন, আমি বললাম ' ‛আমাকে কেউ মারতে এসো না। যদি আসো, আমি তোমাকে মারব‘।
এখন আপনি যদি আমার আগের বাক্যটির উল্লেখ না করে পরের বাক্যটি তুলে ধরেন তবে, সবাই আমাকে অপরাধী হিসাবে ভেবে নেবে। আপনি সেটাই করেছেন। অংশ দিয়ে সম্পূর্ণকে বোঝানোর চাতুরী করেছেন,যা আসলে অসত্য ও অসঙ্গত।
দ্বিতীয় কথা হল, সুরা তওবার আবির্ভাবের সময়টা ছিল মধ্য যুগের। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শেষে সন্ধি হয়। সন্ধির শর্ত ভাঙা ও ক্ষমাপ্রার্থী সম্পর্কে তওবা সুরাটি এসেছে। সেটা দিয়ে এখনকার বিষয় বিচার করা যায় না।
কারণ, গণতন্ত্রের জন্মই হয়নি তখন। তাই সেই সময়কার নিয়মকানুনকে দেখিয়ে এখনকার বিষয়টির বিচার করা যায় না। করলে নিজেকে মধ্যযুগীয় বলে পরিচয় দেওয়া হয়। আপনি যদি সেটাই করেন, তবে আপনি নিজেকে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক মানুষ বলে দাবি করতে পারবেন না।
আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার করতে পেরেছি। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভ কামনা রইলো।
প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন