Mahafuzur Rahaman সাথি, সময় করে পড়েছেন এবং মতামত দিয়েছেন। তাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনলাইলে পড়ালে যেমন সকলের কাছে পৌঁছানো যাবে না, তেমন পরীক্ষায়ও সকলকে আনা যাবে না। সকল অভিভাবকদের সেই আর্থিক সামর্থ্য নেই। আমার ঘরের সন্তান তা দিতে পারলেও অধিকাংশ মানুষের ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
দ্বিতীয়ত, অনলাইনে পড়তে গেলে একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে টেকসেভি হতে হয় না, কিন্তু পরীক্ষা দিতে হলে টেকসেভি হতে হয়। এটা গরিব ও নিম্নবিত্ত এমনকি নিন্মম্মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে প্রায় সম্ভব।
এই টেকনোলজি সম্পর্কে সম্যক ধারণা যাদের আছে তারা আমার এই মতকে অস্বীকার করতে পারবেন না।
সুতরাং অনলাইনে পড়াশোনা করা গেলে পরীক্ষাও নেওয়া যায় - এই মতের সঙ্গে একমত হতে পারছি না।
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে কিছুটা সম্ভব হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও স্কুল স্তরে একেবারেই সম্ভব নয়। এই স্তরের অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা এর প্রধান অন্তরায়।
অফলাইনে হয় তো নেওয়া যেত। কিন্তু কোনো সরকারই সেই ঝুঁকি নেবে না। কারণ, তাতে সংক্রমন বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
যদিও এই বিষয়ে আমার লেখায় কোনও মন্তব্য আমি করি নি। কারণ, সংক্রমন বাড়ার বিষয়ে আগবাড়িয়ে ভাবার তেমন সুযোগ থাকে না। কিন্ত আমি পরীক্ষা নেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছি ভিন্ন কারণে। অনুগ্রহ করে আর একবার যদি পড়েন প্রবন্ধটি নিশ্চয় তার উপলব্ধি করতে পারবেন। এ বিশ্বাস আপনার প্রতি আমার আছে।
আমার ভাবনার মূল বিষয় হল : পড়ানোই যখন গেল না, তখন পরীক্ষা নেবেন কিভাবে এবং কোন যুক্তিতে? সরকার তো একপক্ষের কথা ভেবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে সামগ্রিক ভাবনাকে মাথায় রাখতে হয়। তাই পড়ানো গেলেও পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। না অনলাইনে, না অফলাইনে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন