সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক

Aptabul Islam Ahmed বিকল্প ব্যবস্থা ভাবতে বাধা নেই।

কিন্তু পড়ালেন না অথচ পরীক্ষা নেবেন কোন যুক্তিতে?

অবস্থাপন্ন মানুষের ছেলেমেয়েরা অনলাইনে প্রাইভেট টিউশন হয়তো পেয়েছেন। এবং এক্ষেত্রে প্রায় সবাই সিবিএসসি বা আইসিএসসি স্কুলের পড়ে। তাদের কোনো পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। পরের ক্লাসে উঠে পড়াশুনা করতে শুরু করেছে।

আর আমরা গরিব মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়েদের, যারা তেমন কোনো সুবিধাই পেলো না। নানা অজুহাতে অনলাইন ক্লাস নিতেও অস্বীকার করলাম। তাদেরই আবার কোন যুক্তিতে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছি?

Samim Saif Alam তুমি ঠিকই বলেছো। এটা নিয়ে নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পরীক্ষা নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে। অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা না দিয়ে পার পেয়ে যাবে। আর যারা সারা বছর পড়ার সুযোগ পেলো না সেই অভাবী ঘরের ছেলেমেয়েদের জোর করে পরীক্ষায় বসাচ্ছি। এরা কীভাবে ভালো রেজাল্ট করবে? একটা গোষ্ঠী কোনো পরীক্ষা না দিয়ে ভালো রেজাল্ট পাবে আর অভাবীরা পরীক্ষার যাঁতাকলে পড়ে বাজে রেজাল্ট করে পিছিয়ে পড়বে? এটা কতটা যৌক্তিক?

Samim Saif Alam তুমি ঠিকই বলেছো। এটা নিয়ে নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পরীক্ষা নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে। অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা না দিয়ে পার পেয়ে যাবে। আর যারা সারা বছর পড়ার সুযোগ পেলো না সেই অভাবী ঘরের ছেলেমেয়েদের জোর করে পরীক্ষায় বসাচ্ছি। এরা কীভাবে ভালো রেজাল্ট করবে? একটা গোষ্ঠী কোনো পরীক্ষা না দিয়ে ভালো রেজাল্ট পাবে আর অভাবীরা পরীক্ষার যাঁতাকলে পড়ে বাজে রেজাল্ট করে পিছিয়ে পড়বে? এটা কতটা যৌক্তিক?

Senjuti Saha তুমি সেই অল্প সংখ্যার মধ্যে পড়, যারা পড়ানোটা যেকোনো ভাবে চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। শিক্ষক হিসেবে এই দায় কোনো অজুহাতে এড়ানো যায় না বলে মানে। সামর্থ অনুযায়ী যতটা পারা যায় বিকল্প খুঁজে তাতে সামর্থ অর্জনের চেষ্টায় হাত লাগাতে চায়।

তাই তুমি ব্যতিক্রম।

তোমাদের কলেজ লেবেলে  তবু কিছু অনলাইন ক্লাস হয়েছে। কিন্তু স্কুল লেবেলে সেটাও তো হয় নি। একেবারে হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলে করার চেষ্টা হয়েছে মাত্র। আর তাতেও অধিকাংশই অংশ নিতে পারে নি আর্থিক দুরাবস্থার কারণে। এই অবস্থায় তাদের পরীক্ষায় বাসাবো কোন হিসাবকে বা বিবেচনাকে সামনে রেখে?

Historicise Link  তোমার ভাবনা অনেকটাই ঠিক। ক্ষতি হবে সন্দেহ নেই। কিন্তু করারও তো কিছু নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি তো আটকাতে আমরাও পারছি না। সরকারও বিভিন্ন ভুল পদক্ষেপের জন্য পারে নি। এটাও তেমনই একটা ক্ষতি, যাকে স্বীকার করা ছাড়া উপায় নেই।

পরীক্ষা নিলেও কোনোভাবেই ছেলেমেয়েদের ওপর সুবিচার করা হত না। কারণ, বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ছাড়া শিক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া, সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত নিম্নবিত্ত ও গরিব মানুষের সন্তানেরা পড়াশোনা করে। স্কুল তাদের কাছে একটা বড় ভরসা। উপযুক্ত প্রাইভেট টিউশন নিতে গেলে যে অর্থ দরকার হয় তাদের তা এমনিতেই থাকে না। তার ওপর অভিভাবকদের কর্মহীন হয়ে পড়া।

তাই সব বাবা-মা সন্তানের জন্য যথেষ্ট ভাবলেও বর্তমান পরিস্থিতি তাদের জন্য মোটেও অনুকূল নয়। এটা সবাই বুঝবেন না। বুঝবেন কেবল ভুক্তভোগীরাই।

আর শুধু আমাদের রাজ্যে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে এমন তো নয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে অধিকাংশ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অবজার্ভেশনও পরীক্ষা বন্ধের পক্ষে।

সুতরাং তর্কের জন্য তর্ক করাই যায়। তাতে যুক্তি থাকলেও বাস্তবতার কাছে অনেক সময় যুক্তিকে নতিস্বীকার করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতি সেরকমই।

সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয় হচ্ছে যারা পরীক্ষা বাতিলের বিরুদ্ধে পারলে বিপ্লব করে ফেলেন, তাদের ছেলেমেয়েরা অধিকাংশই দিল্লি বোর্ডে পড়ে। এবং তারা অনেক আগেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তখন তো এরা চুপচাপ ছিলেন বলেই মনে হলো। জানিনা এই দ্বিচারিতার কী যুক্তি এবং ব্যাখ্যা তাদের কাছে আছে।

কেন্দ্র সরকারের অবৈজ্ঞানিক নীতি ও সিদ্ধান্তের কারণে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আমাদের সবরকমের ক্ষতিকর পরিস্থিতিকে মেনে নিতে হচ্ছে। তাই ধৈর্য ধরো। 

নিশ্চয়ই সময় পাল্টাবে এবং আমরা আবারও ঘুরে দাঁড়াবো। ভালো থেকো।সাবধানে থেকো। মন দিয়ে, যতটা পারা যায়, পড়াশোনা করো। একরাশ শুভকামনা।

Historicise Link মাতালদের সঙ্গে ছাত্রদের তুলনা করা ঠিক নয়। মদের দোকান না খুললেও এরা খাবে। চোরা বাজার থেকে। মাঝখান থেকে সরকারের রেভেনিউ আদায় বন্ধ হবে। সরকার আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই তুলনা বৈধতার দাবি করতে পারে না। এমন তুলনা রাজনীতিকরা করেন। কিন্তু সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই তুলনা করতে পারি না।

দ্বিতীয়ত, তবে নির্বাচন নিশ্চয়ই দেরি করা যায়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা মাথায় রেখেও বলছি। তা সত্ত্বেও, সরকার নির্বাচন করবে। এটা খানিকট আমাদের দুর্ভাগ্য। আর বেশিরভাগটাই নাগরিক হিসেবে অযোগ্যতার ফল। আমরা এমন এক সরকার নির্বাচন করেছি যে অন্ধ,  কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং পুঁজিবাদের দালাল। এই সরকারের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে তাদের ক্ষমতার মূল্য অনেক বেশি। তাই আপাতত কিছুই করার নেই। অপেক্ষা করতে হবে ২০২৪ পর্যন্ত।

মনে হয় আমার আগের বক্তব্য বোঝায় তোমার একটু অসুবিধা হয়েছে। আমি কোনো সরকারের পক্ষ নিয়ে আমার পোস্ট কিংবা মতামত কোনোটাই রাখিনি। ওটা ছিল সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত বিবেচনা। যার ভিত্তি হচ্ছে যুক্তি ও মনোবিজ্ঞান। কোন সরকার কি বলছে সেটা আমার বিবেচনায় ছিল না, এখনও নেই। তাদের সমর্থন বা বিরোধিতা, কোনোটাই আমার লক্ষ্য নয়।

আশাকরি বোঝতে পেরেছি। ভালো থেকো। শুভরাত্রি।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে