ধর্ম অপরিবর্তনীয়। ধর্মগুরু জগৎ ও জীবন সম্পর্কে যা বলে (আবিষ্কার করে) গেছেন তাকে যুগ যুগ ধরে মেনে নিতে হয়। বিরোধিতা করলেই প্রচন্ড রোষের কোপে পড়ে অনুসন্ধিৎসু মানুষ। কিন্তু বিজ্ঞান পরিবর্তন যোগ্য। একজন বিজ্ঞানি যা বলে গেছেন, হামেশাই তার বিরুদ্ধে বলা যায়। তাকে পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করা যায়। এখানেই বিজ্ঞান ধর্মের থেকে এগিয়ে।
একজন বিজ্ঞানি তার গবেষণা ও অধ্যবসায় দিয়ে, জগৎ ও জীবন সম্পর্কে যতটুকু আবিষ্কার করে যান, তা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। আরও অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা যায়। এই কাজ আবিষ্কারক বিজ্ঞানী তার অনুগামীদের দিয়ে যান। বলা ভালো, এতে কেউ কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না। কিন্তু ধর্মের ক্ষেত্রে সেটা ধর্মগুরুর স্বঘোষিত অনুগামীরা অন্য কাউকে করতে দেননা।
এখানেই ধর্ম বিজ্ঞানের চেয়ে পিছিয়ে গেছে। প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগুরু জগৎ ও জীবন সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য দিয়ে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে যেমন কিছু তথ্য যুগান্তকারী, তেমনি কিছু তথ্য একটি যুগের কাছে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। তা যুগ অতিক্রম করতে পারে নি।
কিন্তু এই সীমাবদ্ধতা ধর্মগুরুর স্বঘোষিত অনুগামীরা দূর করতে দেন না। ফলে ধর্ম দর্শন গতি হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে।
অথচ, দুটোরই জন্ম একই জিজ্ঞাসা থেকে। অর্থাৎ গর্ভগৃহ একই। জগৎ ও জীবনের অপার রহস্য ও বিস্ময়ই মানুষকে প্ররোচিত করেছে এর উৎস সন্ধানে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন