সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দূর আরবের স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে

দূর আরবের স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের কুটির হতে।

-- কাজী নজরুল ইসলাম।

কোন আক্কেলে নজরুল এই কথা লিখেছিলেন?

প্রশ্ন তুলেছেন ইভেন্ট হরাইজন


সম্মানীয় সাথি, যে ‘আক্কেল’ প্রাপ্তির কারণে কাজী নজরুল ইসলাম এই কথা বলেছিলেন, ওই ধরনের ‘আক্কেল’ প্রাপ্তি আপনার জীবনে যতদিন না ঘটবে, ততদিন আপনি বুঝবেন না যে, তিনি কেন এই কথা লিখেছিলেন। আর ওই ‘আক্কেল’ প্রাপ্তির অন্যতম কিছু প্রধান শর্ত হল :

১) কোনো লেখকের লেখার বক্তব্য বুঝতে গেলে, আপনাকে লেখকের ওই লেখার সময়কালে পিছিয়ে যেতে হবে। তবেই তা বোঝা যাবে।

২) সময়কে সম্পূর্ন অতিক্রম করা যায় না। পৃথিবীতে কেউ তা পারেননি। (আপনিও পারবেন না।) আর পারেন না বলে, তাঁর ভাবনার কোন গুরুত্ব নেই, এই ধরনের ভাবনা থেকে সরে আসতে হবে।

৩) লেখার প্রেক্ষাপট জানতে হবে। কারণ, প্রেক্ষাপট পাল্টে গেলে লেখার অর্থ পাল্টে যায়। কখনও কখনও তা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়।

৪) ‘আরব’ মানেই শুধু একটি বিশেষ ‘প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম’ (যা প্রশংসার সাথে সাথে, নানাভাবে সমালোচিত হয়ে আসছে) — এই সরল ভাবনা আমার আপনার চেতনায় পূর্ব থেকে গেঁথে থাকলে, তাকে সরাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম ছাড়াও আরবীয় সভ্যতা পৃথিবীকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেটা জানতে হবে।

সবশেষে মনে রাখতে হবে, পৃথিবীতে সম্পূর্ন ত্রুটিমুক্ত কোন তত্ত্ব বা দর্শন কখনও আসেনি, আসবেও না। তাই যার মধ্যে যতটুকু উন্নততর জীবন দর্শনের হদিস পাওয়া যাবে, ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে, বাকিটুকু এড়িয়ে, উন্নত অংশটুকু গ্রহণ করে, এগিয়ে যেতে হবে। বিজ্ঞান এভাবেই এগোয়।
---------xx--------

Goutam Ray শুধুমাত্র আরব প্রিয় সাধারণ মুসলমানদের কথা ভেবে লিখেছেন, কথাটা আংশিক সত্যি। কারণ, ইসলামী গান লেখা শুরু করেছিলেন, সম্ভবত আব্বাস উদ্দিনের অনুরোধে। এই অনুরোধের পটভূমির বিশ্লেষণ করলে, সেখানে সাধারণ মানুষের এই চাহিদার কথার স্বীকৃতি মেলে অনেকটাই।

কিন্তু মূলত এই কারণেই তিনি আলোচ্য গানটি লিখেছেন তা মোটেই নয়। আসলে তিনি ছিলেন মানব প্রেমের কবি। তার লেখার প্রতিটি ছত্রে রয়েছে মানুষের দুঃখ কষ্ট প্রেম ভালোবাসার কথা। ইসলামের ইতিহাসে মানব প্রেম তথা মানবমুক্তির যে আবেদন ছিল, নজরুল তা জানতেন। অর্থাৎ ইসলামের প্রাতিষ্ঠানিক রূপের বাইরে থাকা এই মানব প্রেমের কথা তিনি জানতেন। এটাও তার এ লেখার প্রেরণা। এই প্রেমের সূত্রেই এসেছে কামাল আতাতুর্কের কথাও। তাঁর কবিতায়।

অর্থাৎ আরব ভূমির কথা বললেও সে আরব আজকের আরব নয়, এখানে লক্ষ্য আসলে হজরত মহম্মদের মানব প্রেমের দর্শন। এই দর্শন সূত্রেই আরব ভূমি তার কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। এটাই এই গান লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য।

লেখার উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন