সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিদ্যাসাগরের ইসলামোফোবিয়া বিষয়ে Krishanu Naskar ও আলী হোসেন

বিদ্যাসাগরের ইসলামোফোবিয়া বিষয়ে Krishanu Naskar ও আলী হোসেন

Ali Hossain সারিব হোসেন যিনি আমিনুল ইসলামের লেখা share করেছেন তিনি মোটেও বিদ‍্যাসাগরকে কলঙ্কমুক্ত করার চেষ্টা করেননি। তিনি চরম বিদ‍্যাসাগর বিদ্বেষী। তাঁর ঐ পোস্টে সায়ন ভট্টাচার্যের মন্তব্য ও তার উত্তরে সারিব হোসেনের মন্তব্য দেখলেই বুঝবেন। 
আর আমিনুল ইসলামও সত‍্যানুসন্ধানের পরিবর্তে কাদা ছুঁড়তেই বেশি আগ্রহী ছিলেন তা ওঁর লেখার ধরন দেখলেই বোঝা যায়। বিদ‍্যাসাগরকে কলঙ্কমুক্ত করতে চাইলে ওঁরা সত‍্য সন্ধান করতেন। অন্নদাশঙ্করের reference বিহীন উদ্ধৃতি তুলে এনে তার ভিত্তিতে বিদ‍্যাসাগরকে malign করার চেষ্টা করতেন না।

Krishanu Naskar দাদাভাই, আগে প্রশ্নটা ভালো করে বুঝতে হবে। তারপর তার উত্তর দিতে হবে। নাহলে আলোচনাটা অর্থহীন হয়ে যায়।

আপনি যখন কোন বিষয়ের ওপর সমালোচনা করবেন তখন সেই বিষয়টা যিনি আলোচনায় এনেছেন, তাঁর নাম উল্লেখ করেই করতে হয়। এটাই আধুনিক ইতিহাস চর্চার রীতি।

শিবাশীষ বাবু সেটা না করে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের সবাইকে টেনে এনেছেন। এবং মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়ার জন্য এই সম্প্রদায়ের সবাই বিদ্যাসাগরকে দায়ী করেছেন —এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন,
নিজেদের পূ্বপুরুষদের আয়নার সামনে না দাঁড় করিয়ে সব দোষ বিদ্যাসাগরের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলে হবে?
এটা কখনও বাস্তব সম্মত ভাবনা নয়। কারণ, সব মুসলমান এভাবে ভাবেন না। তাই এভাবে বলা যায় না। এটাই ছিল আমার মূল অভিযোগ।

আপনি আমার সব মন্তব্যগুলো না পড়েই আলোচনায় ঢুকে পড়েছেন। আলোচনার শুরুটা Anirban Choudhury মন্তব্যে আছে।

আপনি যেগুলো বললেন এবং যে উদ্দেশ্যে বললেন আমার আলোচনা ওগুলোকে কেন্দ্র করে নয়। এটা আগে ভালো করে বুঝুন।

এবার আপনার মন্তব্যে আসি...।

কারও লেখা পড়ে যদি আপনার মনে হয় যে ইনি বিদ্যাসাগরের চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করেছেন, এবং আপনার মতে যদি সেটা অমূলক হয়, এবং সে বিষয়ে যদি আপনার কাছে তথ্য থাকে, আপনি অবশ্যই তার প্রতিবাদ করবেন। এতে তো আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু এই আলোচনার সময় আপনাকে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টির নাম উল্লেখ করেই করতে হবে। এখানে আপনি কখনই ওই ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সেই সম্প্রদায়ের সবাইকে টেনে আনতে পারেন না, এবং সবাইকে সেই অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারেন না। এটা করলেই সেটা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টির ইতিহাসচর্চা বলে বিবেচিত হয়ে যায়। আধুনিক ইতিহাসচর্চা নৈর্ব্যক্তিক হতে হয়, সাম্প্রদায়িক নয়। শিবাশিষ বাবুর মূল লেখায় এই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমার মূল প্রশ্ন ছিল এই সীমাবদ্ধতাকে কেন্দ্র করেই। যে প্রশ্নের উত্তর উনি বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো টেনে আনছেন।

আপনাকে কি আমি বোঝাতে পারলাম?
--------------xx----------

Ali Hossain আপনি সম্ভবত আমার মূল লেখাটা পড়েননি যেখানে আমি অন্নদাশঙ্কর ও আহমেদ শরীফের বক্তব্যের বিরোধীতা করেছি। সেটা পড়লেই দেখতে পাবেন আমি সম্প্রদায়ের নিন্দা করেছি কিনা। 
আমি আলোচনা গোড়া থেকেই দেখেছি। আপনি এখন যেটা বলছেন যে আপনার মূল point অন‍্য সেটাই তাহলে বলা উচিত ছিল যখন আমি সারিব হোসেন বা আমিনুল ইসলামের লেখাটা দেখালাম। তা না করে আপনি ওঁদের defend করার চেষ্টা করলেন এ কথা বলে যে ওঁরা নাকি বিদ‍্যাসাগরকে "কলঙ্কমুক্ত" করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমার last মন্তব্যটা ছিল যে ওঁরা মোটেও সে চেষ্টা করেননি।

এখন আপনি যদি তাতে একমত হন তাহলে মিটে গেল। সেক্ষেত্রে ওটাই আপনার গোড়ার প্রশ্নের উত্তর যে "কারা বিদ‍্যাসাগরকে malign করতে চায়?" 
আপনি বলেছিলেন আপনার চোখে পড়েনি। তাই আমি দুটো example পেশ করেছি মাত্র।
----------xx---------

Krishanu Naskar আপনি ‘সম্প্রদায়ের নিন্দা’ করেছেন কখন বললাম? আগের কোনও লেখাই তো আপনাকে নিয়ে নয়! আপনি তো এইমাত্র ঢুকলেন।

আপনি শিবাশীষ বাবুকে তথ্য সরবরাহ করেছেন এবং উনি আমাকে সেটা দেখতে বলেছেন, তার বক্তব্যের সমর্থক তথ্য অথবা যুক্তি হিসাবে। সেটা পড়েছি, আমার মতামত দিয়েছি এবং যা বলার ওনাকেই বলেছি। ওখানে আপনি কোথায়?

বলেছি যে, ও লেখার বিষয় আলাদা। আমার প্রশ্নের উত্তর ওখানে নেই। প্রশ্নের উত্তর হিসাবে প্রাসঙ্গিক কোন তথ্যও নেই। প্রাসঙ্গিক তথ্য যেটুকু আছে, তা উনি নিজেই নিজের লেখায় উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, ওখানকার লেখার বিষয়টা আসলে কী, সেটাও ওই আলোচনায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছি। 

এখন, আমার দূর্ভাগ্য যে, আপনি সেটা হয় দেখেননি অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এবং দাবি করছেন, আপনার শেয়ার করা লেখা আমি পড়িনি। এবং আপনাকে ‘সম্প্রদায়ের নিন্দা করার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করছি!

আচ্ছা বলুন তো, কেউ কোন বিষয় না পড়লে, সে বিষয়ে অত কিছু কেউ তার লেখায় উল্লেখ করতে পারেন?

এর ঠিক আগে, আপনাকে মেনসন করে যে উত্তর দিয়েছি, সেখানেই আপনি প্রথম ঢুকলেন। এবং সেখানে আলাদা করে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। নিচের অংশে। উপরের অংশ তো শিবাশীষ বাবুর লেখার দুর্বলতা কোথায় সেটা জানালাম আপনাকে। আপনি ওনার হয়ে কিবোর্ড হাতে নিয়েছেন বলেই আপনাকে জানালাম মাত্র। ওটা আপনি নিজের ঘাড়ে নিচ্ছেন কেন?

মহা মুস্কিল, আমি বলি এক রকম, বোঝেন আর এক রকম, বলেন আরও এক রকম। কেন?

আর শুনুন, পুরো লেখা পড়লে আর বুঝলে, আপনি এখন যে প্রশ্নগুলো করলেন, ওগুলো করতেন না। কারণ, এর উত্তরও আগেই দিয়েছি। এবং ঠিক এই মন্তব্যের আগের মন্তব্যেও তা পুনরায় দিয়েছি। ওটা আমার প্রশ্নের বিষয়ই নয়।

এখন আমি বলছি, আপনি হয় আমার সব লেখা পড়েন নি, অথবা পড়েছেন কিন্তু চেপে যাচ্ছেন। আপনি যদি আমার পুরো লেখাটা পড়তেন, তবে :
১) আমি ‘আপনার লেখা পড়িনি’ বলে যে অভিযোগ করলেন, সেটা করতেন না। কারণ, আমার লেখায় ওই লেখার ভিতরের যে সমস্ত ঐতিহাসিক ও গবেষকদের উদ্ধৃতি দেওয়া আছে সেগুলো উল্লেখ করেই উত্তর দিয়েছি, সেটা আপনার নজরে আসত।
২) আর এখন পুনরায় এই অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলো তুলে শিবাশীষ বাবুর মূল লেখার দুর্বলতাকে স্বীকার না করে, তাকে ঘুরিয়ে দেওয়া অথবা, ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করতেন না।

আমি আপনার সঙ্গে একমত কিনা একথা আমাকে কেন জিজ্ঞাসা করছেন? প্রশ্ন তো আমি তুলেছি। এবং তা গুরুতর। আপনি আমার সাথে একমত কিনা বলুন? কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর মতামতকে সমগ্র সম্প্রদায়ের উপর চাপানো যায়? এটা কি আধুনিক ইতিহাস চর্চার বৈধ রীতি? এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে উল্টে আমাকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলছেন কেন?

‘কলঙ্ক মুক্ত’ নয়, বলেছি ‘দায় মুক্ত’ করার কথা। “মুসলমানদের সম্পর্কে হিন্দু উচ্চবর্ণের এলার্জি ছিল। ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর তা ছিল না।” — এ কথা যারা বললেন তারা বিদ্যাসাগরকে ‘কলঙ্ক যুক্ত’ করলেন, না ‘কলঙ্কমুক্ত’ করলেন? নিজের কাছেই প্রশ্ন করুন।

আবারও বলছি, ওই লেখার মধ্যে কলঙ্কিত করার কিছু নেই। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। বিদ্যাসাগরের মধ্যেও তা ছিল। তিনি অনেক কাজ করে স্মরণীয় হয়ে আছেন যেমন, অনেক কাজ তেমনি তিনি করে উঠতে পারেননি, কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে। একারণেই তাঁকে ঐতিহাসিকদের কাছে সমালোচিত হতে হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। একশ শতাংশ ত্রুটিমুক্ত কোন মানুষ বা মহামনব হতে পারেন না। এ নিয়ে সুস্থ বিতর্ক হতে পারে, কিন্তু তা কোন বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করে হতে পারে না। কেন পারে না, তা আগেই বলেছি।

এই সীমাবদ্ধতাগুলো বলা মানে তাঁকে কলঙ্কিত করা নয়। এটা আগে বুঝতে হবে। আপনাদের মত মেনে নিয়ে যদি তাঁকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলে ধরে নিই, তবে তার দায় আমিনুল ইসলামের নয়। তার দায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গােপাল হালদার, রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, কনক মুখোপাধ্যায়, অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্নদাশঙ্কর রায় প্রমুখ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের। আমিনুল ইসলাম এই বরেণ্য ব্যক্তিদের মতামতকে প্রবন্ধ আকারে সংকলিত করেছেন মাত্র। এটা যদি মানতে না পারেন, তবে আলোচনা করে লাভ নেই।

সবশেষে বলি, কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীকে ডিফেন্ড করা আমার কাজ নয়, আমার কাজ মিথ্যাকে রেজিস্ট করা, আর সত্যকে ডিফেন্ড  করে তাকে এগিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দেওয়া। শিবাশীষ বাবুর আলোচনায় অংশ নেওয়ার এটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।

Ali Hossain আপনি ঠিক এই কথা লিখেছেন আমাকে mention করে আপনার ১ম মন্তব্যে।

" এবার আপনার মন্তব্যে আসি...।

কারও লেখা পড়ে যদি আপনার মনে হয় যে ইনি বিদ্যাসাগরের চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করেছেন, এবং আপনার মতে যদি সেটা অমূলক হয়, এবং সে বিষয়ে যদি আপনার কাছে তথ্য থাকে, আপনি অবশ্যই তার প্রতিবাদ করবেন। এতে তো আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু এই আলোচনার সময় আপনাকে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তি সমষ্টির নাম উল্লেখ করেই করতে হবে। এখানে আপনি কখনই ওই ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সেই সম্প্রদায়ের সবাইকে টেনে আনতে পারেন না, এবং সবাইকে সেই অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারেন না। এটা করলেই সেটা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টির ইতিহাসচর্চা বলে বিবেচিত হয়ে যায়। আধুনিক ইতিহাসচর্চা নৈর্ব্যক্তিক হতে হয়, সাম্প্রদায়িক নয়। শিবাশিষ বাবুর মূল লেখায় এই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমার মূল প্রশ্ন ছিল এই সীমাবদ্ধতাকে কেন্দ্র করেই। যে প্রশ্নের উত্তর উনি বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয় টেনে আনছেন।"  

এখন বলছেন, 

"....আপনি ‘সম্প্রদায়ের নিন্দা’ করেছেন কখন বললাম?.....এবং সেখানে আলাদা করে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। নিচের অংশে।..."

ঐ নীচের অংশ বলে যেটা বলছেন সেটাই ঐ প্রথমে উদ্ধৃত অংশটা। সেখানেই আপনি সম্প্রদায়ের নিন্দা করার কথাটা বলেছেন। 
এটা পুরোপুরি পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য। হয় ঐ "...সেখানে আলাদা করে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। নিচের অংশে।..." এটা ভুল অথবা " এবার আপনার মন্তব্যে আসি...।......" এটা ভুল।
 আপনি অকারণে কথা গোলগোল ঘোরাচ্ছেন। আগে এটা বলুন 
1) "নিচের অংশের " উত্তরটাই আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখা কিনা? যদি হয় তাহলে আমাকেই আপনি সম্প্রদায় নিন্দার দায়ভাগী ধরছেন। 
2) ওটা যদি আমাকে উদ্দেশ্য করে না হয় তাহলে আমার প্রশ্নের উত্তর কই?

আগে এটার ফয়সালা হোক তারপর আমি দেখাচ্ছি যে আমিনুল ইসলামের প্রবন্ধ বুঝতে আপনি কেমন ভুল করেছেন। ওঁরা বিদ‍্যাসাগরকে দায়মুক্ত করতে চাননি যেটা আমি আমার প্রথম মন্তব্যে বলেছি।

আর যা লেখার সব এখানেই লিখুন। ঐ link খুলে আবার extra মতামত পড়তে পারবো না।

Krishanu Naskar 😄😄 আরে দাদাভাই, আপনি বাংলাটা আরও একবার পড়ুন। বোঝার চেষ্টা করুন। ওটা বোঝানোর জন্য ‘আপনি’ কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে। ওখানে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি আপনি নন । হায় রে আমার কপাল! এক কাজ করুন, ওখানে ‘আপনি’ শব্দটার জায়গায় ‘আমি’ আর ‘আপনার’ জায়গায় ‘আমার’ শব্দ বসিয়ে নিন। দেখুন এবার কী মানে দাঁড়ায়। বুঝতে পারেন কিনা? 😄😄😄😄

বড় লেখা কমেন্ট বক্সে সেভ হয় না। তাই এখানে পুরোটা দেওয়া যায়নি। একারণেই অনুরোধ করেছি লিঙ্কে গিয়ে দেখতে। না হলে তো এখানেই দেই। যাওয়া না যাওয়া আপনার মরজি। আমি কী আপনাকে জোর করতে পারি?😄😄

Ali Hossain তাহলে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলে যেটা বলছেন সেটা কোথায়? দেখতে তো পাচ্ছি না। পরিষ্কার বলুন আমাকে কি বলেছেন? 

আর বড় উত্তর দুটো ভাগে ভাগ করেই লেখা যায়। তাতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। নিজের blog এর link দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। আর আমিনুল ইসলামের লেখার বিষয়ে আপনার বক্তব্য যে ভুল তা আমি পরের মন্তব্যে দেখাচ্ছি।

Krishanu Naskar আপনি যেটা আপনি উদ্ধৃত করলেন সেটাই আমার উত্তর। আপনি তার মানে বুঝতে পারেননি। ভুল বুঝে নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে নিয়েছেন। আমি কী করতে পারি?

Ali Hossain আর এই রইল আমার মূল লেখার link

https://www.facebook.com/groups/1803711656387813/permalink/6724274644331465/?app=fbl


Krishanu Naskar 😄😄 যাহ বাবা! এটা তো এখন দিলেন! আগে কখন দিলেন? আপনার সব গুলিয়ে যাচ্ছে দেখছি। কখনও বাংলা বুঝতে পারছেন না, আবার কখনও অন্য কাউকে হয়তো লিংক দিয়েছেন, আর ভাবছেন আমাকে দিয়েছেন।

যাক গে। ছেড়ে দিন। আমি আর ফালতু সময় নষ্ট করতে চাচ্ছি না। যা বোঝার আমি বুঝেছি। আপনিও আমার সম্পর্কে কী বুঝেছেন সেটা নিয়ে আর ভাবছি না। আপনি আপনার বুঝ নিয়েই থাকুন। ভালো থাকুন। আনন্দে থাকুন। শুভকামনা রইল। আর আপনি যেটা দিয়েছিলেন সে লিঙ্কটা এটা
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=863159112052446&id=100050750964259&mibextid=Nif5oz


Ali Hossain আপনার উত্তর আপনাকে দেওয়া হয়েছে কিন্তু সম্ভবত বাংলা ভাষাটা ভালো বুঝতে পারেননি বলে উত্তর দেওয়া হয়ে গেছে সেটা বোঝেননি তাই আরেকবার লিখলাম অন‍্য কিছু না লিখে,

"সারিব হোসেনের ঐ post এ like এবং প্রশংসাসূচক মন্তব্যকারীদের সকলেই যদি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত হন এবং সেই সম্প্রদায়ভুক্ত একজনই যদি বিনা বিচারে অমন ভুল, মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত লেখা defend করার চেষ্টা করেন তাহলে ব‍্যক্তির পরিবর্তে সম্প্রদায়ের নামে অভিযোগ করা খুব ভুল কিছু বলে তো মনে হচ্ছে না।" 

এটা হলো আপনার প্রশ্নের উত্তর যে কেন ব‍্যক্তির বদলে সম্প্রদায় টেনে আনা হচ্ছে। 

আর রইল বাকি পাঠকের দেখা এবং বোঝা তো সেটাও দেখাই যাচ্ছে কার মন্তব্য পাঠক রা অধিক যুক্তিগ্রাহ্য এবং পছন্দসই মনে করছেন। 
🙏


Krishanu Naskar সব বুঝেছি। বুঝেছি বলেই বলছি, 

১) যে প্রশ্ন আমি করিনি, আপনি তেমন প্রশ্ন নিজে তৈরী করে, আমার প্রশ্ন হিসাবে ধরে নিয়ে, তার উত্তর দিচ্ছেন কেন? 

২) আপনি বাংলা বুঝলে, আমি যে প্রশ্ন তুলেছি শিবাশীষ বাবুর বিশেষ লেখার বিশেষ উদ্ধৃতিকে সামনে রেখে, আপনি তারই শুধু উত্তর দিতেন। যা জিজ্ঞাসা করিনি তার উত্তর দিয়ে ‘উত্তর দেওয়া হয়ে গেছে’ বলতেন না। অপ্রাসঙ্গিক কথা টেনে এনে ওটাকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করতেন না।

৩) সাবির হোসেন কোথায় কী বলেছেন, বাংলাদেশের কে কী বলেছেন, তাদের লেখায় কোথায় কী ভুল আছে, ইত্যাদি ইত্যাদি — এগুলো আমাকে শোনাতেন না।

৪) আপনি বাংলা বুঝলে, এটাও বুঝতেন, যা আমি আগেই বলেছি, কাউকে ডিফেন্ড করা আমার কাজ না। তবু আপনি বলছেন আমি ওদের ডিফেন্ড করছি — এটাও বলতেন না।

৫) তারা কোথায় কী লিখেছেন তা তো আমি জানি। তাহলে আমি কেন বোকার মত তাদের ডিফেন্ড করতে যাবো? এটাও আপনি বুঝতেন।

৬) যেটুকু আপনারা দিয়েছেন, সেটুকুই শুধু পড়েছি। আর তাতে আমি যে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছি, সেখানে সে প্রসঙ্গে কোন তথ্য নেই বললেই চলে। সেটা বারবার বলছি। আপনি বাংলা বুঝলে এই সোজা কথাটা সহজেই বুঝে যেতেন।

৭) এবং আপনি বাংলা বুঝলে আসল প্রশ্ন বাদ দিয়ে নিজের কল্পিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দাবি করতেন না, আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

৮) আপনি বাংলা বুঝলে, সাবির হোসেনদের বিষয়ে আমাকে বলতেন না। এ সব উত্তর আপনি তাদের দিতেন। আমাকে দিতেন না।

৯) আপনি বাংলা বুঝলে, আমার এই কথাটার মানেও বুঝতেন, যেখানে আমি বলেছি, কয়েকজন মানুষের ভাবনাকে সামনে রেখে (দেখে ও নিজের মত ভাবনা মিশিয়ে) সমগ্র সম্প্রদায়কে অভিযুক্ত করা যায় না। এই ভাবনার বাইরেও অনেক মানুষ আছেন।

সবশেষে বলি,  আপনি বাংলা বুঝলে, আমাকে আর অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে, প্রাসঙ্গিক বিষয়কে আড়াল করার চেষ্টা করবেন না। এবং আমি আশা রাখি এই আলোচনাটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে।
শুভরাত্রি।
-----------xx----------

Ali Hossain আলোচনা শেষ হয়নি। আপনি একে তো ক্রমাগত মিথ্যা তত্ত্ব প্রচারকদের defend করছেন তার ওপর আবার নিজে মিথ্যা বলছেন যে তা করেননি।

আপনি পরিষ্কার বলেছেন, 

"....তিনি (আমিনুল ইসলাম) যে সমস্ত লেখকের কাছ থেকে
তথ্য নিয়েছেন তাদের একজনও কোন মুসলিম ঐতিহাসিক নন। গোপাল হালদার, রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য, কনক মুখোপাধ্যায়, অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এরা কেউই মুসলিম নন। দায় যদি দিতেই হয় তবে তো এঁদের দিতে হবে! এঁদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে কেন? এটাই আমার প্রশ্ন ছিল।" 

এবং 

মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার বিষয়ে এখানে (যেটা আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, আর সাবির হোসেন শেয়ার করেছেন এবং কৃসানু বাবু আমাকে শেয়ার করেছেন) যেটুকু আছে তা তো অন্নদাশংকর রায়ের বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যেটা আপনার লেখাতেও আছে। এর দায় মুসলিমদের (আমিনুল বা সাবির হোসেনদের) দেওয়া যুক্তি যুক্ত নয়। কারণ, আমিনুল ইসলাম তাদের লেখা উধৃত করেছেন মাত্র।
মনে রাখতে হবে, এঁরা অন্নদাশংকর রায়ের মত কোন ‘আকর গ্রন্থ’ রচনা করেননি। তাই দায়টা তাদের নয়। উল্টে এরা তে৷ বিদ্যাসাগরকে দায় মুক্ত করেছেন এই বলে যে, “মুসলমানদের সম্পর্কে হিন্দু উচ্চবর্ণের এলার্জি ছিল।
ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর তা ছিল না।”

এবং 

"....‘কলঙ্ক মুক্ত’ নয়, বলেছি ‘দায় মুক্ত’ করার কথা। “মুসলমানদের সম্পর্কে হিন্দু উচ্চবর্ণের এলার্জি ছিল। ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর তা ছিল না।” — এ কথা যারা বললেন তারা বিদ্যাসাগরকে ‘কলঙ্ক যুক্ত’ করলেন, না ‘কলঙ্কমুক্ত’ করলেন? নিজের কাছেই প্রশ্ন করুন।"  

আর কাকে defend করা বলে? 

উল্টে আমি যখন দেখাচ্ছি যে আমিনুল ইসলাম কিভাবে ভুল ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিদ‍্যাসাগরকে malign করেছেন এবং সারিব হোসেন সেটি share করেছেন এবং তাতে যাঁরা like দিয়েছেন ও প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন তাঁরা সকলেই একটি বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত এবং ঐ লেখা defend যিনি করছেন তিনিও ঐ সম্প্রদায়েরই লোক তখন আপনি বলছেন এগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা!!! 

এখানে এটাই প্রাসঙ্গিক কারণ আপনি জানতে চেয়েছেন,

 ".... এঁদের কাছে প্রশ্ন করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে কেন? এটাই আমার প্রশ্ন ছিল।" 

পাছে অস্বীকার করেন তাই আপনার উদ্ধৃতি তুলে দিলাম। 

ঠিক এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আমার উত্তর ছিল, "...সারিব হোসেনের ঐ post এ like এবং প্রশংসাসূচক মন্তব্যকারীদের সকলেই যদি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত হন এবং সেই সম্প্রদায়ভুক্ত একজনই যদি বিনা বিচারে অমন ভুল, মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত লেখা defend করার চেষ্টা করেন তাহলে ব‍্যক্তির পরিবর্তে সম্প্রদায়ের নামে অভিযোগ করা খুব ভুল কিছু বলে তো মনে হচ্ছে না।" 

আর সারিব হোসেনকে ব‍্যক্তি বলে মনে হলে এই link টা দেখুন। ঐ একই পোস্ট share করা হয়েছে এমন একটি page থেকে যারা নিজেদের সম্প্রদায়ের প্রতিভূ বলে দাবী করেছেন। এই পোস্টেও like দিয়েছেন ঐ বিশেষ সম্প্রদায়ের ব‍্যক্তিরাই। এরকম আরো আছে। আপনাকে যদি প্রমাণ করতে হয় যে সম্প্রদায়ের সবাই এরকম নন তাহলে বরং ঐ page গুলোতে গিয়ে প্রতিবাদ করে দেখান। 

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=5979513958754809&id=1936186813087564&mibextid=Nif5oz

---------xx---------

যে কথাগুলো বলেছি, ওগুলোর অর্থ যদি আপনি বুঝতেন, তাহলে একই কথা বারবার বলতেন না। আমাকে বৃথা মিথ্যুক বলে অভিযুক্তও করতেন না। একটা কথা বুঝতে গেলে গোড়া থেকে পর্যায় ক্রমে পড়তে হয়, প্রেক্ষাপট ধরে ধরে বিচার করতে হয়। কোন্ কথার পরিপ্রেক্ষিতে কোন্ কথা বলা হয়েছে সেটাও বিবেচনায় আনতে হয়। তা না করলে কথার মানে পাল্টে যায়।

আপনি এটা বোঝেন না। তাই মূল বিষয় বাদ দিয়ে মাঝখান থেকে এক খামচা তুলে এনে বলছেন, এই তো আপনি ‘এই বলেছেন’। হ্যাঁ বলেছি তো। কিন্তু কোন প্রসঙ্গে বলেছি, কী উদ্দেশ্যে বলেছি সেটাও বলতে হয়। না হলে মানে পাটলে যায়, আপনি যেটা বোঝাচ্ছেন, ওটাই মনে হয়। এটা এক ধরণের চালাকি। আপনি না বুঝলেও আমি বুঝি। (তবে এও হতে পারে যে, আপনি সবই বুঝতে পারছেন। কিন্তু স্বীকার করছেন না।)

যদি না বোঝেন, তাহলে এই উদাহরণ দেই। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি বোঝা যাবে। একটা কথা প্রচলিত আছে মানুষের মধ্যে, তাহল, ‘আমি যদি না বুঝি তো বোঝায় কোন শালা।’ আপনি যদি এমন ধনুক ভাঙা পণ করে থাকেন, তবে এই উদাহরণও আপনাকে
বোঝাতে সক্ষম হবে না। যাই হোক উদাহরণটা দেখুন।

ধরুন, আপনাকে একটা লাঠি দিয়েছি। লাল রঙের। এই লাঠির কিছু অংশ দীর্ঘদিন রোদের মধ্যে থাকায় ক্রমশ রং নষ্ট হয়ে সাদা হয়ে গেছে। আপনার কাছে থাকা অবস্থায় কোনভাবে ওই লাঠিটা অসাবধানতা বশত ভেঙে গেছে।

দু’একদিন পর আমি লাঠিটা ফেরত চাওয়ায় আপনি একটা সাদা লাঠি কিনে এনে আমাকে দিলেন। আমি বললাম, আমার লাঠিটা তো সাদা ছিল না। লাল ছিল। আপনি বললেন, না আপনার লাঠি সাদাই ছিল। এই দেখুন তার ভাঙা অংশ — বলে আমার দেওয়া লাঠির সাদা অংশটা দেখালেন এবং প্রমাণ করতে চাইলেন আমার লাঠিটা সাদাই ছিল।

এখন সেই মুহূর্তে যারা ওই অংশটু দেখছেন, তাদের কাছে মনে হবে আপনিই ঠিক কথা বলছেন। কারণ, তাদের তো লাল লাঠির একটা অংশ সাদা হয়ে যাওয়ার কারণ বা প্রেক্ষাপট জানা নেই। তাই তারা ওটাকে সাদা বলেই জানবে।

আপনি আপনার উপরের লেখার মধ্যে দিয়ে এই চালাকিটাই করছেন। করুন। আমার তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ, আপনার আর আমার করা মন্তব্যগুলো পর্যায় ক্রমে সাজিয়ে রেখেছি এবং এখনও রাখছি, আমার ব্লগে। ফেসবুকের লিঙ্ক সহ। মানুষ দেখুক। দেখবেন ভবিষ্যতেও। তারাই বিচার করবেন, কে ঠিক, আর কে বেঠিক। তারা দেখবেন, আমি কী প্রশ্ন তুলেছি আর আপনারা কোন্ কৌশনে সেটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন একের পর এক অপ্রসঙ্গিক বিষয় এনে। আমাকে মিথ্যাবাদী ও ‘কাউকে ডিফেন্ড করছি’ বলে নিজেরাই মিথ্যাচার করেছেন। তাই না? অথবা, আপনি আমাকে যেভাবে ভাবছেন, সেটা বুঝবেন।

আজ যারা আপনার বন্ধু তারা আপনাকে ঠিক বলতে পারেন। আমার বন্ধুরা হায়তো আমাকে ঠিক বলতে পারেন। কিন্তু যারা আমার-আপনার কেউ নয়, তারা ঠিকটাকেই ঠিক বলবেন। তাদের জন্যই তোলা থাক বিষয়টা। কী বলেন?

অহেতুক বির্তক করে তো লাভ নেই। তাই না? মূল আলোচনা তো শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই।

আমি চাইলে আপনার এই লেখাটা এড়িয়ে যেতে পারতাম। বারবার শেষ করার কথা বলছি। কিন্তু আবার এই অহেতুক বিতর্ক নিয়ে আসতে হচ্ছে শুধুমাত্র এই কারণে যে, কোন মানুষ কোন কমেন্ট করলে তার উত্তর দেওয়াটা ভদ্রতা ও সৌজন্যের মধ্যে পড়ে। প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই ভদ্রতা ও সৌজন্যতাকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। কারণ, তাতে অপর পক্ষ অসম্মান বোধ করেন। তাই বার বার শেষ করার কথা বলেও ফিরে আসতে হচ্ছে।

আমার মনে হয় এবার আমাদের সত্যি সত্যিই এই বিতর্ক শেষ করা উচিৎ। কারণ, দুজনেরই মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে অহেতুক ও অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে। কারণ, এটা আমাদের আলোচ্য বিষয় ছিল না।

প্লিজ, অপরাধ নেবেন না। আমি কিন্তু আপনার আর কোন কমেন্টের উত্তর দেবো না। আর এই আলোচনাটা তো আপনার সঙ্গে আমার ছিল না। ছিল শিবাশীষ বাবুর। আপনি মাঝখান ঢুকে পড়েছেন। সৌজন্য ও ভদ্রতা বশত আপনাকে এতটা সময় দিলাম। ভালো থাকুন আনন্দে থাকুন। আপনার সারাদিন শুভ হোক।

মন্তব্যসমূহ

  1. Ali Hossain আপনি সম্ভবত আমার মূল লেখাটা পড়েননি যেখানে আমি অন্নদাশঙ্কর ও আহমেদ শরীফের বক্তব্যের বিরোধীতা করেছি। সেটা পড়লেই দেখতে পাবেন আমি সম্প্রদায়ের নিন্দা করেছি কিনা।
    আমি আলোচনা গোড়া থেকেই দেখেছি। আপনি এখন যেটা বলছেন যে আপনার মূল point অন‍্য সেটাই তাহলে বলা উচিত ছিল যখন আমি সারিব হোসেন বা আমিনুল ইসলামের লেখাটা দেখালাম। তা না করে আপনি ওঁদের defend করার চেষ্টা করলেন এ কথা বলে যে ওঁরা নাকি বিদ‍্যাসাগরকে "কলঙ্কমুক্ত" করেছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমার last মন্তব্যটা ছিল যে ওঁরা মোটেও সে চেষ্টা করেননি।

    এখন আপনি যদি তাতে একমত হন তাহলে মিটে গেল। সেক্ষেত্রে ওটাই আপনার গোড়ার প্রশ্নের উত্তর যে "কারা বিদ‍্যাসাগরকে malign করতে চায়?"
    আপনি বলেছিলেন আপনার চোখে পড়েনি। তাই আমি দুটো example পেশ করেছি মাত্র।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে