আমাকে এবং আমার লেখাকে যাঁরা পছন্দ করেন, তাদের কেউ কেউ আমাকে ভালোবেসে সাবধান করেছেন, যাতে এ ধরনের কোন ভিডিও অথবা আমি যে ধরনের লেখালেখি করি,তা আমার বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার যাঁরা আমাকে পছন্দ করেন না, এই ধরণের লেখার কারণেই, তারাও মাঝে মাঝে হুমকি দেন। ভয় দেখান। তেমনই একজন গতকাল তো আমাকে দেশদ্রোহী, ধর্মদ্রোহী, ইত্যাদি বলে গালাগালি দিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বিতর্কে ট্রেনে উঠে ব্লক করে দিলেন।
কিন্তু তবুও আমার লজ্জা হলো না। ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ দুনিয়ায় ভারতবর্ষের ইতিহাস যেভাবে ধর্ষিত হচ্ছে, তা নিজের চোখে দেখে শুনে কীভাবে চোখ বুজিয়ে থাকি বলুন তো? একজন ইতিহাসের ছাত্র এবং শিক্ষক হয়ে একাজ করা কতটা কঠিন বলুনতো?
ভয় যে একেবারে পাই না তা নয়। যতই হোক বীরপুরুষ তো নই আমি। কোন খুঁটির জোরও সেভাবে নেই, যাকে আঁকড়ে ধরে নিজের সলিল সমাধিকে আটকাতে পারি। কিন্তু ভয়টাকে সেভাবে বুকে গেঁথে নিতেও তো পারছিনা, কারণ, ওটা যে একটু কমই আছে।
ভেবে দেখলাম, ভয় করেই বা কি লাভ? এখন তবুও তো বলার সুযোগ কিছুটা পাচ্ছি, সত্য ইতিহাসটা বলার জন্য। এমন দিন তো আসতেও পারে, যে এটুকুও বলার সুযোগটা একসময় আর থাকবেনা। মৃত্যুভয়ে আমি নই, আমার কলমের কালি শুকিয়ে যাবে। অথবা অন্য কোন কিছু। বিরোধী স্বরকে জব্দ করার জন্য রাষ্ট্রশক্তি যে অস্ত্র গুলো ব্যবহার করে, তাও যদি সামনে এসে চোখ রাঙায়!
আসলে কী হতে পারে তা এখনই বলা খুব মুশকিল। ভেবে দেখলাম, হতেও তো পারে যে, সেদিন আর কিছুই লিখতে পারছি না। কিছুই দেখাতে পারছি না। তাই ভাবলাম, যতদিন সুযোগ আছে, বলি না মনের কথাগুলো, যা ইতিহাসের পাতায় অসহায়ের মতো আর্তনাদ করছে, তাকে দেখার কেউ নেই বলে। তাই বন্ধুদের সেই সাবধান বাণী, আর যারা পছন্দ করেন না তাদের হুমকি সত্ত্বেও এই সাহসী মেয়েটির ভিডিও প্রতিবেদন আপলোড করেই ফেললাম।
আশাকরি দেখবেন সবাই।
ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে ক্লিক করে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন