সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রসঙ্গ : বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিসত্তা

এর মধ্যেও ভারত-বিরোধিতা খুঁজে পেলেন? কোন শব্দগুচ্ছ বা বাক্য আপনার কাছে ভারত-বিরোধী মনে হল?

আপনার দ্বিতীয় বক্তব্যটা ঠিকই আছে। Sanat Kar এটাকে ধরেই পোষ্টটি লিখেছেন।

উর্দুকে দ্বিতীয় ভাষা করার ব্যাপারটা ঠিক বোঝা গেল না। পৃথিবীর কোন ভাষাই ফেলনা নয়। মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ সমান কে বলেছিলেন নিশ্চয়ই জানেন? এটাকে মাথায় রেখে যে জাতি পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে গেল সেটাতো বাংলাভাষাকে ভালোবাসেন বলেই তো? নাকি অন্যকিছু মানে করতে চাইছেন?

উর্দু ভাষা দ্বিতীয় ভাষা হলে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের চাকরির সুবিধা হত!! কিভাবে একটু ব্যাখ্যা করবেন?

ভাষা কমিশন থেকে হিন্দি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়নি সে তো সবাই জানে। উনি তো ভাষা কমিশনকে দোষ দেননি। বর্তমান সরকার নতুন শিক্ষানীতি এনে হিন্দি কে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষার চেয়ে হিন্দি ভাষা কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সেটা কি বোঝাতে চেয়েছেন। এর মধ্যে বিরোধ কোথায় দেখলেন। ভারতবর্ষের প্রত্যেকটা ভাষা স্বতন্ত্র অস্তিত্ব থাকবে সেই ভাষাকে কেন্দ্র করে তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে রক্ষা করা হবে এটাই তো ভারতের ভারতীয় সংবিধানের স্বীকৃত লাইন। সেখান থেকে বাঙালিরা সরে যাচ্ছেন বলেই উনি কথাগুলো বলেছেন। এটাতো বাঙালি জাতি হিসেবে সম্মানের নয়।

আর এটা হিন্দুস্তান নয় এটা আপনাকে কে বলল? বাংলা ভাষা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির স্বপক্ষে বললেই বুঝি হিন্দুস্থানের বিরোধিতা করা হয়? কীভাবে?

শুধু টিপু সুলতান নয়, ভারতে জন্মানো বড় বড় কবি সাহিত্যিকরা (যাঁরা ধর্মে মুসলিম) এই দেশটাকে হিন্দুস্থানই বলেন। আর হিন্দুস্তান মানে হিন্দুর দেশ নয়। প্রত্যেক ভারতীয়ই হিন্দুস্থানী। আর এখানে বসবাসকারী প্রত্যেকটা মানুষই হিন্দু। আপনি বোধ হয় ভুলে যাচ্ছেন যে হিন্দু কোন ধর্মের নাম নয়, এটা একটা জাতির নাম। আর সেই জাতিকে বোঝানোর জন্যই আরবি এবং ফারসি ভাষার ঐতিহাসিকরা এ দেশটাকে হিন্দুস্থান এবং এ দেশের অধিবাসীদের হিন্দু বলে পরিচয় দিয়ে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিল। তাই এদেশের সব মানুষই নিজেদের হিন্দুস্থানী বলতে গর্ববোধ করে। একটা বিশেষ রাজনৈতিক দল হিন্দু শব্দটার পেটেন্ট নিতে চাইছেন। (তারা হিন্দি ভাষার জন্ম যে মুসলিমদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেটাও ভুলিয়ে দিতে চাইছে।) আর তাতে গা ভাসাচ্ছেন আম বাঙালি। তারই পরিণতি সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন সনৎ কর। এতে দোষের কী হল?

এ দেশের সংবিধানে সম্ভবত 15 ঠিক ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তারই একটা তো বাংলা ভাষা। তার ভূত ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা তো বাঙালির কর্তব্য এবং সাংবিধানিক অধিকার। এই বৈচিত্র্যকে মেনে নিয়েই তো ভারতবর্ষের ঐক্য নিশ্চিত করা গেছে। তাইতো বলা হয় 'বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য'ই হচ্ছে ভারতের বৈশিষ্ট্য।

আপনি কী বুঝে কী বলেন, মাঝে মাঝে বোঝা মুশকিল হয়ে যায়।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে