Goutam Ray আপনি হাতেনাতে প্রমাণ পেয়েও যদি এ ধরনের কথা বলেন, তো আমার কিছু বলার থাকে না। ওনার অসুস্থতা নিয়ে আমি আগের পোস্টে আমার বক্তব্য পরিষ্কার করা সত্ত্বেও আপনি এই অভিযোগ কীভাবে করছেন?
একজন অসুস্থ ব্যক্তির প্রতি যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের থাকা উচিত সেটা তো আমার আছেই। তাই বলে তার ধর্মান্ধতা ও রাজনৈতিক কাজে ধর্মের ব্যবহারকেও আমাকে সমর্থন করতে হবে? তিনি হিন্দু হোন বা মুসলমান হোন, বিজ্ঞান আর বিশ্বাস সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর জিনিস এটাকে তো স্বীকার করতেই হবে। আর না করলে মানুষ তাকে সমালোচনা করবেন। এটাই স্বাভাবিক। আপনাদের মত শিক্ষিত মানুষকে যদি এটা বারবার মনে করিয়ে দিয়ে হয়, সেটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
আমি সাধারন মানুষকে বিশ্বাসের কথা বলব, ধর্মের মাহাত্বের কথা বলবো, ঈশ্বরই সব কিছুর নিয়ন্ত্রণকারী বলে বোঝাবো, আর নিজে বিজ্ঞানের আশ্রয় নেব এটাকে ভন্ডামি বলে। সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কোন মুসলিম মৌলভী, কোন হিন্দু সাধু, বা কোন রাজনীতিবিদ সবার ক্ষেত্রেই এটা ভন্ডামি। বিজ্ঞান বিজ্ঞানই। বিশ্বাস বিশ্বাসই।
অধিকাংশ মানুষ, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন, এবং হাসপাতালে যান - একথা দিয়ে কি বোঝাতে চাইছেন, ধর্ম ও চিকিৎসা বিজ্ঞান এক অথবা পরস্পরের পরিপূরক? ওটা আপনার কাছে সত্য হতে পারে, আমার কাছে নয়। এখনও দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘরে, কারণ, তারা সচকক্ষে সেটাই দেখে। তাই বলে কি আপনিও বলবেন, অধিকাংশ মানুষ যখন ওটাই বিশ্বাস করে তখন ওটাই ঠিক। এবং আমাকে ওটাই বিশ্বাস করতে হবে? আর না করলে আমি সাম্প্রদায়িক? হাসলেন দাদা😀😀।
দুই নৌকায় পা দিয়ে চলার মানসিকতা আমার নেই। ঘোলেও আছি, অম্বলে ও আছি - এ ধরনের ভণ্ডামি আমার মধ্যে নেই বলে আমি এই ধরণের কথাগুলো বলি।
আপনি সত্য সাম্প্রদায়িক বলেন আর সুপ্ত বলেন, তা বলার অধিকার আপনার আছে। আবার সেটার পিছনে যুক্তি দেওয়ার দায় আপনাকেই নিতে হবে। আপনি প্ৰমাণ না দিয়ে বললে কেউ আপনাকে মারতে যাবেনা যেমন ঠিক, কিন্তু মেনেও নেবে না সেটাও বাস্তব।
সুতরাং, আপনি বলছেন বলুন। মানুষ শুনছেন এবং তাঁরা তাঁদের প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করছেন। খেয়াল করে দেখুন।
বাংলাদেশি বিতাড়নের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক দাদা!!! যারা এদেশের মানুষ না, তারা এদেশে থাকবেন না। এদেশে থাকার অধিকার তাদের থাকে নেই। যদি না দেশের মানুষ তাদের স্বীকৃতি দেয়, সংবিধান তাদের স্বীকৃতি দেয়। আর এই পোস্টটা সে সংক্রান্তও নয়। এনিয়ে কথা বলা, আর বলানোর চেষ্টা তাই বড়োই হাস্যকর।
এতোবার বলেছি, আমার মধ্যে সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নেই। থাকতে পারে না। যুক্তি দিয়েই সেটা প্রামাণও করেছি। তবুও আপনি সেই বাতিল রেকর্ড বাজিয়েই চলেছেন। আমি বারবার বলেছি, যে নীতি মানবতাবিরোধী, আমি তার বিরোধী। হিন্দু না মুসলিম, বৌদ্ধ না খ্রিস্টান, ধনী না ফকির তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
আমার মত যদি কেউ জোর করে বন্ধ করতে চান, চেষ্টা করতে পারেন। নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা না থাকলে পরাজয় স্বীকার করে নেব। কিন্তু কোনোদিনও যুক্তিহীন কথা মন থেকে মেনে নেবো না। আমি আবারো বলছি, দুই নৌকায় পা দিয়ে আমি চলি না। কারণ, সরকার পাল্টালে কোন পদ পেতে পারি বা বিশেষ সুবিধা পেতে পারি - এই ধান্দাবাজি রোগে আমি আক্রান্ত নই। এটা আমার আজন্ম লালিত অবস্থান।
শুনে রাখুন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অফার একসময় এসেছিল, এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অফারও অলরেডি এসেছে দুই বার। উভয়ই যথা নিয়মে রিজেক্ট করেছি। নিজের মতাদর্শের বাইরে গিয়ে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়ার শিক্ষা আমার মধ্যে জন্মায় নি। আর জন্মাদেও না এই আস্থা এখনও, চিন্তা করবেন না, অটুটই আছে।
কেউ ঈশ্বর বিশ্বাস করলে আমার কিছু তাতে যায় আসে না। না করলেও তা নিয়ে আমি ভাবি না। প্রত্যেকেরই তার নিজস্ব বিশ্বাস নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে। তেমনি আমার কোনো কিছুতে বিশ্বাস থাকবে কি থাকবে না সেটাও একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এক্ষেত্রে কেউ হস্তক্ষেপ করবে, আমি তা মানতে পারিনা। এটাকে আপনি সাম্প্রদায়িকতা বলেন, অমানবিক বলেন, আর যাই বলুন না কেন।
আমি মানি বর্তমান যুগ যুক্তিবাদের যুগ। বিজ্ঞানমনস্কতার যোগ। রাজনীতি এবং ধর্ম দুটো আলাদা ভাবে প্রবাহিত হওয়ার যুগ। এটাই যুগের ধর্ম।যারাই এর বিপক্ষে হাটবে, আমি তার বিপক্ষে বলবো। যিনি হাঁটছেন বিপক্ষে, তিনি হিন্দু হলেও বলবো, মুসলিম হলেও বলবো, ক্রিস্টান হলেও বলবো।
আমি শিক্ষিত মানুষ হিসেবে অন্ধ বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরতে পারিনা। কাউকে অন্ধত্বে বিশ্বাস করতে উৎসাহিত করতে পারিনা। তিনি যে ধর্মের মানুষই হোন না কেন।
ধর্মান্ধতা হিন্দু-মুসলিম উভয়ের মধ্যেই আছে। পৃথিবীর দিকে তাকান, যে দেশগুলো এই ধর্মান্ধতাকে অতিক্রম করতে পারেনি, তারা এখনো পশ্চিমী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত দেশগুলির দয়া দাক্ষিণের ওপর বেঁচে আছে। আমরাও তাই। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারাই আমাদের সহ সেই দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই সত্যকে কেউ স্বীকার করলো কী করলো না, তাতে সত্যের কিছু যায় আসে না। আমারও কিছু যায় আসে না। একথা আগে বলেছি, এখনও বলছি, ভবিষ্যতেও বলবো। যদি কেউ জোর করে আমার বলার অধিকার কেড়ে নেয়, কেবল সেদিনই তা বন্ধ থাকবে। যখনই আবার সেই অধিকার ফিরে পাবো, তখনই আবার বলব।
আপনার যদি ঈশ্বরে বিশ্বাস এবং বিজ্ঞানের বিশ্বাস দুটোই রাখার অধিকার থাকে, তাহলে আমার কেন একটিতে বিশ্বাস রাখার অধিকার থাকবে না? আর আমি যদি সেই বিশ্বাসের কথা বলি, কেন কেউ প্রশ্ন তুলবে? কেন আপনি সুপ্ত সাম্প্রদায়িক বলবেন?
বিজ্ঞান আর বিশ্বাস দুটো দুই মেরুর জিনিস। আমি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এদুটোকে কীভাবে একসঙ্গে স্বীকার করে নেব? যদি কেউ সেই স্বীকার করে নেয়ার জন্য বলে, আমি ব্যক্তিগতভাবে তা কেন মেনে নেব? আমি কেন তার সমালোচনা করতে পারবো না? কারও যদি মনে হয় আমি ভুল, তিনি যুক্তি দিয়ে আমাকে সেই ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করুন। এটাই তো গণতন্ত্র। পরমত যদি সহ্য করতে না পারি, তাহলে আমার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলা মানায়? আমি জানি, মানায় না।
পৃথিবীর যে যে দেশগুলো এই ধর্ম আর বিজ্ঞানকে এবং ধর্ম ও রাজনীতিকে মেলানোর চেষ্টা করেছে তারাই পিছিয়ে আছেন। চোখ খুলে দেখুন, দেখতে পাবেন।
ব্যক্তি অমিত শাহের বিরুদ্ধে আমার কোন ক্ষোভ নেই। শুধু শাহ কেন বিজেপির নেতার প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোন ক্ষোভ নেই। আমি তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে কোনো দিন আক্রমণও করি না। এগুলো রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিরোধী। তাই ওটা করার ক্ষেত্রে আমার রুচিতে বাধে। কিন্তু তাই বলে তাদের রাজনৈতিক দর্শনকে আমি সমালোচনা করতে পারবোনা? কেন পারব না? আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝান। আর সমালোচনা করলেই, আমি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাই? কোন যুক্তিতে?
সাম্প্রদায়িকতার লুকোনো-প্রকাশ্য বলে আমি কিছু ভাবিনা। মুসলমান সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ আমাকে বলে আমি মুসলমান না। আবার আপনি বলেন আমাকে সুপ্ত সাম্প্রদায়িক। তাহলে আসলে আমি কী? শুনলে বড্ড হাসি পায়, এই মানুষগুলোর ভাবনার দৈন্যতার কথা বিবেচনা করে।
যিনি সাম্প্রদায়িক, তিনি সাম্প্রদায়িকই। সুপ্ত বলে কিছু হয় না। তাই হয় আপনি আমাকে না বুঝে বলছেন, অথবা, আমাকে আপনি সম্পূর্ণ পড়েননি অথবা পড়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। আর না হলে আপনার মধ্যেই সাম্প্রদায়িকতা বিষবৃক্ষ মাথা তুলছে। বা আছে।
আচ্ছা বলতে পারেন, আর কতবার আপনাদের কাছে সাম্প্রদায়িকতার পরীক্ষা দিতে হবে আমাকে? আমার ফ্রেন্ডলিস্টে যত জন মানুষ আছেন, তার ভেতরে দুজন মানুষ আমাকে সাম্প্রদায়িক বলেন। একজন কালকে আমাকে ব্লক করেছেন। আর দ্বিতীয় জন আপনি।
একটা ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর দিন। সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে আপনারা দুজন মানুষই শুধু বোঝেন আর বাকিরা বোঝেন না? এটাকি খুব যুক্তিযুক্ত বক্তব্য?
আপনাদের দুজন মানুষকে আমি কখনোই ছোট মনের মানুষ বলে কল্পনা করিনি। প্রতিটা আলোচনায় ভদ্রতা বজায় রেখে, শালীনতা বজায় রেখে, সম্মান এবং মর্যাদা বজায় রেখে, শব্দচয়ন করেছি। আপনি বলতে পারেন আপনাকে কোনদিন আমি সাম্প্রদায়িক বলেছি? পারবেন না। যিনি কালকে আমাকে ব্লক করলেন তিনি বহুবার অশালীন ও অসাংবিধানিক কথা বলেছেন আমার সম্পর্কে। আমার ওয়ালটা ঘুরে একবার দেখুন। সেই সঙ্গে দেখুন তার পাল্টা উত্তরে আমি কখনও কোনও অশালীন শব্দ ব্যবহার করেছি? না করিনি নি। কারণ, শিক্ষিত মানুষেরা তা করেন না।
এর পরেও কেন আমাকে শুনতে হয়, আমি সাম্প্রদায়িক? আমি দেশদ্রোহী? আমি অন্য ধর্মকে অশ্রদ্ধা করি? কেন? পারবেন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে?
আমি যে কথাগুলো বলছি, সেই কথাগুলোই হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বলছেন। কই তাদের তো আপনি সাম্প্রদায়িক বলেন না? তাদের তো আপনারা দেশদ্রোহী বলেন না? তাহলে একই বক্তব্য উপস্থাপনের কারণেই আমাকে কেন আপনি বা আপনারা সাম্প্রদায়িক বলছেন? আশা করি আপনি প্রশ্নের উত্তরটা দেবেন। যদি না দিতে পারেন, তবে মানুন আর না মানুন, আপনার গায়ে সাম্প্রদায়িকতা ছাপ পড়ে যাবে যুক্তিবাদের কাঠগড়ার নিয়মেই।
Ali hossain, aapnaar lekhaa parlaam. aapnaar saathe shtavaag ekmat. aapnaar JIBAN DARSHAN-er prasangsaa karchi.
উত্তরমুছুনঅনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। সাথে থাকার জন্য একরাশ ভালোবাসা।♥️♥️♥️
মুছুন