সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রসঙ্গ : অমিত শাহ ও তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিতর্ক

প্রসঙ্গ : অমিত শাহ ও তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিতর্ক

“মাননীয় অমিতজিকে অসুস্থ হয়ে যদি বার বার হসপিটালেই যেতে হয়? তাহলে মন্দির বানিয়ে কী লাভ হল?
জনগণকে বোকা বানানোর জন্য!
ভেবেই চলেছি। আপনি ভাবছেন?”

Rita Basu ব্যাটারি থাকা পর্যন্ত ঘড়ি যেমন চলতে থাকে। মানুষের চিন্তাও তেমন মৃত্যুর শেষ ক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকবে। তাই চিন্তা না করে থাকা সম্ভব না।

আপনি তো ফিলোসফির টিচার। সুতরাং আপনিও জানেন জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি হৃদপিণ্ড যেমন বিরামহীন ভাবে চলে, তেমনি মানুষের চিন্তাও একই সময় কাল ধরেই প্রতিক্ষণ চালু থাকে। সুতরাং চিন্তা মুক্ত থাকা কারো পক্ষেই সম্ভব না। আপনিও তা পারবেন না, আমিও পারবো না। ঠিক বললাম তো ম্যাডাম?😀

তবে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটা খুব জরুরি। আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার। আর ভয়টাও ছোটবেলা থেকে আমার কম। তাই দুশ্চিন্তাও আমার মধ্যে টপ করে আসে না।

তবে আমি খুব সচেতন থাকার চেষ্টা করি, আমার পোস্টে এসে কেউ যাতে অযাচিত কোন মন্তব্য না করেন। করলে তাকে প্রথম যুক্তি ও তথ্য দিয়ে  বোঝানোর চেষ্টা করি। তাতেও না কাজ হলে সাবধান করি। 

আপনার প্রথম মন্তব্য থেকে বুঝলাম যে, কেউ কোন ভদ্রলোককে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছে। একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষকে কেউ যদি অপমান অপদস্থ করে, সেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আর আমার ওয়ালে এসে সেটা করার অনুমতি আমি কাউকে দিই না। কেউ করলে তাকে ছাড় দেয়ার ইচ্ছাটাও শূন্য মানের।

আর এই ওয়ালটা যেহেতু আমার নামের, তাই এখানে কোনো অঘটন ঘটলে তার দায় আমার ঘাঁড়ে আসবে।  তাই জেনে-বুঝে আমি সেটা কাউকে করতে দেবো না।

কিন্তু তন্নতন্ন করে খুঁজেও আমি কাউকে এমন কাজ করতে দেখলাম না। তাই জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য হলাম। কারণ, চোখ এড়িয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। এবং আমার ক্ষেত্রে যে সেটা কখনোই হবে না এমনটা দম্ভ করে বলা যায় না

আপনার দ্বিতীয় মন্তব্য-এ যে ইঙ্গিতটা দিয়েছেন তাতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপদস্থ করা হয়েছে বলে আপনার কথায় আমার মনে হল।

কিন্তু তেমন কথা হতো আমার নজরে এলো না। 

প্রসঙ্গত বলে রাখি আপনাকে, আজকের যে বিতর্ক উঠেছে সেটা সিএস নিহার আমাকে কিছু অপমানজনক কথাবার্তা বলেছেন। এমন কী হুমকিও দিয়েছে। উনি একাধিকবার এ কাজটা করেছেন। কিন্তু আমি বিশেষ গুরুত্ব কোনদিন দিইনি। আজকের দিনও আমি এটাকে বিশেষ পাত্তা দেয় নি। তাই ভদ্র ভাবে একজন শিক্ষিত মানুষের যেভাবে তার প্রতিবাদ করা উচিত সেটা আমি যেমন করেছি, তেমনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডের কয়েকজন মানুষ (তাদের কেউ কেউ লেখক ও সম্পাদক) নিহার বাবুর বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন। পুরো বিতর্কটা কেন্দ্রীভূত ছিল সি এস নিহার বলে একজন ব্যক্তির বক্তব্য।

অর্থাৎ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন নেহার বাবু এবং আমি। সেখানে ব্যক্তি অমিত শাহ ছিলেন না। তাই তাকে অপদস্ত করার বিষয়টি ওঠার কথা নয়।

অপদস্ত করা হয়েছে আমাকে এবং যিনি করেছেন তিনি একজন কবি। নাম নিহার চক্রবর্তী, যিনি প্রতিমাসে একবার করে তিনি তার নাম পাল্টান।

কিন্তু আপনার মন্তব্যে তার তো উল্লেখ বা ইঙ্গিত নেই। তাহলে কেন  অপদস্থ কথাটা উঠলো সেটাই ভাবছি। (চিন্তা বা দুশ্চিন্তা আমি করি না।) খুব সহজে দুশ্চিন্তা আমাকে গ্রাস করে না।

তাহলে কে কার দ্বারা অপদস্ত হলো বলে আপনি মন্তব্য করেছেন এটা ভাবনা হিসেবে মাথায় থেকেই যাচ্ছে। চিন্তা বা দুশ্চিন্তা নয়।

আপনি নাম উল্লেখ করলে আমার ভাবনাটাও মুছে যেত। এই আর কী!

তৃতীয় যে সম্ভাবনাটা বাকি রইল, সেটা হচ্ছে আমি আর আমার পোস্ট। আপনি কি এই পোস্টটাকে পরোক্ষে কাঠ গড়ায় তুলছেন? আমি জানি না এবং নিশ্চিতও নয়ই যে আপনি ওই পোস্টটাকেই কাটগারায় তুলছেন কিনা।

আশা করি ভাবনার বিষয়টি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমার এই পোস্টটা ব্যক্তি অমিত শাহ এর বিরুদ্ধে নয়। তার অসুস্থতাও নয়। বিষয়টা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরার জন্য পোস্টটি করা হয়েছে, যেখানে শ্লেষাত্মক বাক্য বিন্যাস ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ উপরে যা দেখা যাচ্ছে সেটা আসল সত্য নয়। ভিতরের একটা অর্থ আছে। সেই বিষয়টাই পোস্টের বিষয়বস্তু।

আর সেই বিষয়টা হচ্ছে এই যে, বর্তমান শাসকদলটি প্রতিনিয়ত মানুষের মধ্যে ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস ঢুকিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু নিজেদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের আশ্রয় নিচ্ছেন। বক্তব্যটা এই ভন্ডামীর বিরুদ্ধে। তার দলের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষজন অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারের প্রচার করছেন সাধারণ মানুষের কাছে। ধর্মই মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে তুলে ধরছেন। গোমূত্র খেলে, ভাবিজির পাঁপড় খেলে, শরীরে কাদা মেখে শাঁখ বাজালে রোগ সারবে বলছেন আর নিজের দলের মানুষদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাহায্য নিচ্ছেন, এই ভন্ডামীর বিরুদ্ধেই এই পোস্টটা। পোস্ট অসুস্থ অমিত শাহ এর বিরুদ্ধে নয়।

আমি আগের দিনও স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম রোগগ্রস্ত মানুষকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ বা ঘৃণা পোষণ করা বা মৃত্যু কামনা করা অমানবিক। তিনি যত দোষই করে থাকুন না কেন। 

তাহলে অপদস্থ হলেন কে? করলেনই বা কে? উত্তরটা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত ভাবনাটা আমার চেতনায় থেকেই যাবে। আশা করি বোঝাতে পেরেছি আপনাকে? যদি কোন অসুবিধা না থাকে আপনি বিষয়টি ক্লিয়ার করলে ভালো লাগবে।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন এবং অবশ্যই সাবধানে থাকুন। শুভরাত্রি।

-----------

সি এস নীহার আপনার নোংরামিটা এবার বন্ধ করুন। প্লিজ। আপনি যে ধরনের কথাবার্তা বলেন এগুলোকে ভারতীয় সংবিধানে কী বলে আপনি জানেন? ভারতীয় সংবিধানটা একটু পড়ুন? আছেন তো ভন্ডধার্মিক সেজে। ধর্মের কিছুই তো মানেন না। ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়েন বলেও তো মনে হয় না। সবসময় তো মুসলমান আর ইসলামের বিরুদ্ধেই বলে যান একতরফা ভাবে। আবার ভয় পেয়ে ডিলিটও করে দেন।

আপনার মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে। মাথাটা একটু দেখান। মানসিক সমস্যায় ভুগছেন আপনি। একটা রাজনৈতিক পোস্টকেে ধর্মীয় পোষ্ট বলে দিলেন। তার মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষও খুঁজে পেলেন!! বলিহারি আপনার দেশ ভক্তি। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে দেশ ভক্তি দেখাচ্ছেন।😆😆🙏🙏

শুনুন আপনার চেয়ে কম কথা আমি জানিনা। আবার ভদ্রতার মুখোশ পরেও থাকি না। উপযুক্ত জবাব দেয়ার ক্ষমতা রাখি আমি। আচ্ছা আপনি বাচ্চাদের মতো ভয় দেখান কেন? যুক্তি-তর্ক দিয়ে মতামত খন্ডন করার ক্ষমতা নেই তাই? চেষ্টা করুন বিশ্বাসে ভর না করে যুক্তি ও তথ্যের উপর ভর করার এবং বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনা চিন্তার অধিকারী হওয়ার। দেখবেন আপনিও পারবেন। মানুষকে যুক্তি বুদ্ধি দিয়েই পরাস্ত করতে। তার জন্য হুমকি দেয়া দরকার হবে না।

আমার কথার মধ্যে ধর্মের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা কোথায় রয়েছে? শিক্ষিত দাবি করেন, ধর্ম আর ধর্মান্ধতার পার্থক্য বোঝেন না? আবার নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করেন? নির্লজ্জতার একটা সীমা থাকা উচিত দাদা।

মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী তোরে তোলার চেষ্টা করা, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করা মস্তবড় ভণ্ডামি। আপনি আর আপনার দলের নেতারা নিয়ম করে এই ভণ্ডামি করে চলেছেন। মুখ খুলেছেন কখনও তার বিরুদ্ধে? আমি সেই ভন্ডামির বিরুদ্ধেই বলেছি। এটাকে ধর্মের বিরুদ্ধে বলা বোঝায় না।

আচ্ছা, আপনি কি হিন্দু ধর্মের ঠেকা নিয়ে বসে আছেন? না এই ধর্মের একজন স্কলার? যে এ বিষয়ে একমাত্র আপনি যা বুঝবেন তা-ই সকলকে বলতে হবে, বুঝতে হবে?

আচ্ছা, বলুন তো ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারা অনুযায়ী আমি ভারতবিরোধী? ধর্মবিদ্বেষী?

ভিন্ন ধর্মের বিরুদ্ধে মানে কী? এখানে ধর্মের বিরুদ্ধে কী বলা হল? বলা হয়েছে রাজনীতিবিদদের ভন্ডামির বিরুদ্ধে।

প্রকৃত ভারত বিদ্বেষী হচ্ছেন আপনি। ভারতকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন আপনি। মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ তৈরি করছেন আপনি। কুসংস্কারের সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে দিতে চাচ্ছেন আপনি।

কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? নিজেকে আগে সামলান। আপনার মত মানুষের কাছ থেকে দেশপ্রেম শিখতে চাই না।

দেশপ্রেম মানে দেশকে ভালোবাসা। দেশের মানুষকে ভালোবাসা। তাদেরকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির আলোয় নিয়ে আসার চেষ্টায় হাত লাগানো। ধর্মীয় কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস থেকে মানুষকে মুক্ত করা। আমি সেই গুলোই করছি। করেন এসব আপনি? করেন আপনার দলের মানুষরা? মন্দির মসজিদে মানুষ যায়। কিসের জন্য যায়? উত্তর আছে আপনার কাছে?

ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত। সেটাকে রাষ্ট্রীয় জীবনের সঙ্গে জুড়ে মানুষকে ধর্মীয় উন্মাদে পরিণত করা হয় যখন তখন তাকে কি ধর্ম বলে?

যা বলেছি। বলবো। লিখেছি। আবারো লিখব। আপনার ক্ষমতা থাকলে আটকান।

ভারতের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে আমি সম্মান করি। ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে। আছে বলেই আমি আপনার মত সংবিধানবিরোধী কথা বলি না। সংবিধান যে অধিকারটুকু দিয়েছে সেই অধিকারটুকু মাথায় রেখেই যা বলার বলি।

বুঝলেন কিছু? বুঝন। বোঝার চেষ্টা করুন। মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন। যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা এগুলো লেখাপড়া না জানা অশিক্ষিত মানুষের জন্য সাজে। আপনার জন্য সাজে না।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন