সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রসঙ্গ : প্রেমজি কেন পাকিস্থানে গেলেন না। বিপুল পালের বিশ্লেষণ ও কিছু প্রশ্ন

Bishal Paul বাহ! আপনি তো মনে হচ্ছে রিসার্চ করেছেন প্রেমজিকে নিয়ে। ভালো। আচ্ছা স্বাধীনতা তো সাত দশক পার করলো। অনেক মানুষই তো দেশের টাকা, দেশের ব্যাংকের টাকা লুট করে কেটে পড়লো। বিদেশে কালো টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে। এগুলো তো হামেশাই করা যায়? যায়না? এদের নিয়ে কোনদিন রিচার্জ করেছেন?  তারা কেটে করলো কেন?

যদি করেন একটু ব্যাখ্যা দিতেন সমৃদ্ধ হতাম আর কি!

আচ্ছা, প্রেমজি তাঁর ব্যবসা গুলো আস্তে আস্তে বিক্রি করে দিয়ে পাকিস্তান বা অন্য কোনো মুসলিম  সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কিংবা অন্য কোনো ধনী দেশে চলে যেতে পারতেন না? গিয়ে সেখানে ব্যবসা করতে পারতেন না? করলে ঠিক কতটা ক্ষতি হতো প্রেমজি?

প্রেমজি এখন পারেন না, অন্য জায়গায় চলে যেতে? গেলে কিভাবে কতটা লস হবে? বছরে যত টাকা তিনি দান করেন, তারচেয়েও বেশি লস হয়ে যেত?

একটু রিসার্চ করে দেখুন তো? কি কারণে তিনি তা করেন না?

আচ্ছা দেশের অন্যান্য ধনী ব্যক্তিরা রাম মন্দির নির্মাণে যত কোটি টাকা ডোনেশন দিয়েছেন, তেমন করে প্রেমজি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য এমন একটা পৃথিবী বিখ্যাত বড়ো মসজিদ তৈরি করে দিতে পারতেন না? আচ্ছা দিলেন না কেন? এটাও একটু রিসার্চ করে দেখবেন?

আচ্ছা আপনার রিসার্চ এর মধ্যে  এই হিসাব কি আছে, যে, ভারত থেকে কত মানুষ পশ্চিম এবং পূর্ব পাকিস্তানে চলে গেছিল? আর তারা কি সব গরিব মানুষ ছিল? এখানে যাদের কিছু ছিল না, তারাই বুঝি শুধু গেছিল? এটাও একটু রিসার্চ করে জানাবেন। খুব জানতে ইচ্ছে করে?

এগুলোর উত্তর পাওয়ার পর আপনাকে আরও কিছু প্রশ্ন করব। আশা করি আপনি সেসব প্রশ্নেরও উত্তর হামেশাই দিয়ে দিতে পারবেন। আপনি যে বিরাট  রিচার্জ করে ফেলেছেন, তাতে এটা তো আপনার ছেলের হাতের মোয়া। ঠিক বলিনি?

পাকিস্তানের না যাওয়ার যে কারণ আপনি উদঘাটন করেছেন সেটা কোনো ছোটখাটো রিচার্জ নয় কিন্তু! আর এমন রিসার্চ যখন করতে পেরেছেন, তখন আমি যে প্রশ্নগুলো করলাম এর উত্তর তো আপনি একঘন্টা রিচার্জ করেই বের করে ফেলতে পারবেন। তাই না?

প্লিজ একটু ঝটপট করে ফেলুন তো? অপেক্ষায় রইলাম।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন