সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রসঙ্গ ভারত বিদ্বেষ ও ধর্মীয় ভাবাবেগ

সি এস নীহার আপনার নোংরামিটা এবার বন্ধ করুন। প্লিজ। আপনি যে ধরনের কথাবার্তা বলেন এগুলোকে ভারতীয় সংবিধানে কী বলে আপনি জানেন? ভারতীয় সংবিধানটা একটু পড়ুন? আছেন তো ভন্ডধার্মিক সেজে। ধর্মের কিছুই তো মানেন না। ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়েন বলেও তো মনে হয় না। সবসময় তো মুসলমান আর ইসলামের বিরুদ্ধেই বলে যান একতরফা ভাবে। আবার ভয় পেয়ে ডিলিটও করে দেন। 

আপনার মাথাটা নষ্ট হয়ে গেছে। মাথাটা একটু দেখান। মানসিক সমস্যায় ভুগছেন আপনি। একটা রাজনৈতিক পোস্টকেে ধর্মীয় পোষ্ট বলে দিলেন। তার মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষও খুঁজে পেলেন!! বলিহারি আপনার দেশ ভক্তি। দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে দেশ ভক্তি দেখাচ্ছেন।😆😆🙏🙏

শুনুন  আপনার চেয়ে কম কথা আমি জানিনা। আবার ভদ্রতার মুখোশ পরেও থাকি না। উপযুক্ত জবাব দেয়ার ক্ষমতা রাখি আমি। আচ্ছা আপনি বাচ্চাদের মতো ভয় দেখান কেন? যুক্তি-তর্ক দিয়ে মতামত খন্ডন করার ক্ষমতা নেই তাই? চেষ্টা করুন বিশ্বাসে ভর না করে যুক্তি ও তথ্যের উপর ভর করার এবং বিজ্ঞানমনস্ক ভাবনা চিন্তার অধিকারী হওয়ার। দেখবেন আপনিও পারবেন। মানুষকে যুক্তি বুদ্ধি দিয়েই পরাস্ত করতে। তার জন্য হুমকি দেয়া দরকার হবে না।

আমার কথার মধ্যে ধর্মের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা কোথায় রয়েছে? শিক্ষিত দাবি করেন, ধর্ম আর ধর্মান্ধতার পার্থক্য বোঝেন না? আবার নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করেন? নির্লজ্জতার একটা সীমা থাকা উচিত দাদা।

মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী তোরে তোলার চেষ্টা করা, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করা মস্তবড় ভণ্ডামি। আপনি আর আপনার দলের নেতারা নিয়ম করে এই ভণ্ডামি করে চলেছেন। মুখ খুলেছেন কখনও তার বিরুদ্ধে? আমি সেই ভন্ডামির বিরুদ্ধেই বলেছি। এটাকে ধর্মের বিরুদ্ধে বলা বোঝায় না।

আচ্ছা, আপনি কি হিন্দু ধর্মের ঠেকা নিয়ে বসে আছেন? না এই ধর্মের একজন স্কলার? যে এ বিষয়ে একমাত্র আপনি যা বুঝবেন তা-ই সকলকে বলতে হবে, বুঝতে হবে?

আচ্ছা, বলুন তো ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারা অনুযায়ী আমি ভারতবিরোধী? ধর্মবিদ্বেষী?

ভিন্ন ধর্মের বিরুদ্ধে মানে কী? এখানে ধর্মের বিরুদ্ধে কী বলা হল? বলা হয়েছে রাজনীতিবিদদের ভন্ডামির বিরুদ্ধে।

প্রকৃত ভারত বিদ্বেষী হচ্ছেন আপনি। কারণ, ভারতকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন আপনি। মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ তৈরি করছেন আপনি। কুসংস্কারের সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে দিতে চাচ্ছেন আপনি।

কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? নিজেকে আগে সামলান। আপনার মত মানুষের কাছ থেকে দেশপ্রেম শিখতে চাই না। 

দেশপ্রেম মানে দেশকে ভালোবাসা। দেশের মানুষকে ভালোবাসা। তাদেরকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির আলোয় নিয়ে আসার চেষ্টায় হাত লাগানো। ধর্মীয় কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস থেকে মানুষকে মুক্ত করা। আমি সেই গুলোই করছি। করেন এসব আপনি? করেন আপনার দলের মানুষরা? মন্দির মসজিদে মানুষ যায়। কিসের জন্য যায়? উত্তর আছে আপনার কাছে? 

ধর্মীয় বিশ্বাস মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত। সেটাকে রাষ্ট্রীয় জীবনের সঙ্গে জুড়ে মানুষকে ধর্মীয় উন্মাদে পরিণত করা হয় যখন তখন তাকে কি ধর্ম বলে? 

যা বলেছি। বলবো। লিখেছি। আবারো লিখব। আপনার ক্ষমতা থাকলে আটকান।

ভারতের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় বৈচিত্র্যকে আমি সম্মান করি। ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে। আছে বলেই আমি আপনার মত সংবিধানবিরোধী কথা বলি না। সংবিধান যে অধিকারটুকু দিয়েছে সেই অধিকারটুকু মাথায় রেখেই যা বলার বলি।

বুঝলেন কিছু? বুঝন। বোঝার চেষ্টা করুন। মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন। যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা এগুলো লেখাপড়া না জানা অশিক্ষিত মানুষের জন্য সাজে। আপনার জন্য সাজে না।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন