সাফল্যের চাবি
যদি চলার আগে দেখি, আর বলার আগে ভাবি
আমি জানি সেটাই আমার, সফল হওয়ার চাবি।
বিদ্যা, বুদ্ধি আর পরিশ্রমের সমন্বয়ে আসে সাফল্য। এই সাফল্যের পিছনে বুদ্ধি ও পরিশ্রমের বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত থেকে যায়। ফলে সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে অনেকেই হেরে যায়। কেউ কেউ বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ে।
আসলে বুদ্ধি এখানে দুই ভাবে কাজ করে। একটা হল, কৌশল নির্ধারণে ও তাকে কাজে লাগানোয় দক্ষতা অর্জন করতে। দুই হল, কতটা পরিশ্রম করা দরকার, তা নির্ধারণেও সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে বিদ্যার তেমন কোন ভূমিকা নেই। এখানে অভিজ্ঞতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একজন মানুষ যখন তার অর্জিত বিদ্যার কারণে প্রশংসিত হয়, তখন তার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। এই আত্মবিশ্বাস মানুষকে কাজে অনুপ্রেরণা যোগায়। কিন্তু এই আত্মবিশ্বাস অতি উচ্চে উঠে গেলে, তা পতনের কারণ হয়ে ওঠে। বুদ্ধি এই জায়গায় গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা নেয়। বুদ্ধি বিচার বিশ্লেষণ করে বলে দেয়, এই আত্মবিশ্বাসের মধ্যে দুর্বলতা কোথায়। কীভাবে তা কাটিয়ে উঠতে হয়। এই দূর্বলতা ফাটিয়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ হল পরিশ্রম। বুদ্ধি একমাত্র এই উপলব্ধিতে সহায়তা করতে পারে। সুতরাং সাফল্য হল বিদ্যা, বুদ্ধি ও পরিশ্রমের যোগফল।
যেমন ধরুন, আপনি কোন একটা বিষয়ে দারুন রেজাল্ট করেছেন। আপনার চারপাশে থাকা আমজনতা প্রশংসায় পঞ্চমমুখ। এই ক্ষেত্রে আপনার যে অর্জন, তা আসলে আপনার জনপ্রিয়তা। সাফল্য নয়। আপনার সাফল্যের মূল্যায়ন তিনি করতে পারবেন, যাঁর বুদ্ধি সাফল্যের দীর্ঘ পথ (খানাখন্দ সহ) অতিক্রম করেছে। তিনি তাঁর দীর্ঘদিন ধরে অর্জিত বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বলে দিতে পারবেন জনপ্রিয়তার ফাঁকফোকর কোথায়?
সুতরাং আমজনতার প্রশংসা হল জনপ্রিয়তা, তা সাফল্যের বার্তা বহন করে না। বোদ্ধা মানুষের প্রশংসাই হল প্রকৃত অর্থে সাফল্যের ইঙ্গিত বহন করে। তাই মনে রাখতে হবে :
আমজনতার প্রশংসা হল জনপ্রিয়তা। আর বোদ্ধা মানুষের প্রশংসাই হল সাফল্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন