সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারায়ণকে আমি

[6/24, 5:32 PM] Narayan: জনাব আলী সাহেব, 3idiot সিনেমাতেও তো মনে হয় এমন কথাই বলা হয়েছে।
SSM যেদিন থেকে চালু হয়েছে এ কথাই বলে আসছে।
 দেশে সকল একই বয়সের শিশুর একই রকম বই বা সিলেবাস অনুসরণ করা উচিৎ ,তা কি হয়?
এটা খালি শিক্ষকদের শোনলে হবে না ,বেশি করে অভিভাবকদের শোনাতে হবে। 
আমার মনে হয় এটা fbএর পক্ষে উপযুক্ত 'খাদ্য'।

[6/24, 6:21 PM] Ali Hossain: আলীর সঙ্গে 'জনাব' আর 'সাহেব' জুড়তে হল কেন? তুমি না বলেছিলে এটা ন্যাকামির  জায়গা না!!!

প্রসঙ্গত বলি, আমিও তা-ই ভাবি। এবং মেনে চলি। আর মনে হয়, সবারই সেটা মেনে চলাই উচিৎ।

আমার নামের সঙ্গে কেউ এই ধরণের শব্দ জুড়লে আমার মনে হয় তিনি আমার সঙ্গে ন্যাকামি করছেন।

কারণ মানুষকে বিশেষ বিশেষ শব্দ বা বিশেষণ বসিয়ে সম্মোধন করাটা আমি পছন্দ করি না। আমি আমার নিজের নামের আগে মোহাম্মদ বসাই না। অন্যের নামে আগেও মোহাম্মদ বা শ্রী বসাই না। কোন জাতিগত বা সম্প্রদায়গত পরিচয় বহনকারী শব্দে আমার এলার্জি আছে। কারণ আমি সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করি। এটা তোমার বোধ হয় অজানা নয়।

সম্ভবত তোমার সামনেই একদিন আমাদের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষককে মহাশয়কে আমার অপছন্দের কথা জানিয়েছিলাম। এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম। তারপর থেকে তিনি কোন দিন এটা আর ব্যবহার করেনি।

যাই হোক, আশা করি কথাগুলো মনে রাখবে।

এবার তোমার মতামতের কথায় আসি।
১) সিনেমা ও এস এস এম বিষয়ে আমি একমত তোমার সঙ্গে।
২) কিন্তু শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সোনার বিষয় আমি একমত হতে পারছিনা। কারণ নাটক ও তার বিষয়বস্তু অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে তৈরী নয়। শিক্ষকদের মূল্যায়ন এর পদ্ধতি এবং তারা যে শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করেন তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাই এটা একান্তই শিক্ষকদের বিষয়। নাটকটা আর একবার দেখার অনুরোধ রাখছি।

অভিভাবকদের শোনাতে চাইলে আপত্তি নেই। সকলেই শুনতে পারেন, দেখতে পারেন।

৩) ফেসবুকের উপযুক্ত খাদ্য এই কথাটার কেন বলা হলো বুঝলাম না। যদি তোমার মনে হয়, তাহলে দিয়ে দাও। ফেসবুকে দিতে তো আপত্তির কথা আমার বক্তব্যের মধ্যে নেই। তাই না?

আমার ব্যক্তিগতভাবে নাটকটা থেকে শিক্ষকদের ও শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত  সকল মহলের শিক্ষা নেয়ার আছে বলে মনে হয়েছে। আর ভালো তো লেগেছেই। তাই এখানে দেয়া।

উৎস: বিএসভি অফিশিয়াল। আমার স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে