পারস্য উপসাগরীয় রাজাদের কাছে অর্থ ছাড়া কিছুই নেই: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব রাজা-বাদশাহদের কাছে অর্থ ছাড়া আর কিছুই নেই। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ সমর্থকদের এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সরকারের প্রধান মিত্রদের সম্পর্কে ট্রাম্পের এই অবমাননামূলক মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় মার্কিন পুঁজিপতিরা আরব রাজা-বাদশাহদের কোন্ চোখে দেখে থাকে। তাদের দৃষ্টিতে সৌদি আরব, কাতার ও আমিরাতের মত দেশগুলোর নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী নেই বললেই চলে এবং এই দেশগুলোর মানব-সম্পদের পরিমাণও খুব কম।
প্রশ্ন হল, আরব দেশগুলির এই হাল কেন?
গভীর পর্যবেক্ষণ শক্তি দিয়ে দেখলে, দেখা যায়, এই দেশগুলির শাসকরা বংশানুক্রমিক ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা ভোগ করার লালসায় ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে। ইসলাম ধর্মের নাম করে প্রকৃত ইসলামকে বিকৃত করে মানুষকে ধর্মান্ধ করার চক্রান্ত করে চলেছে যুগ-যুগ ধরে। ফলে যুক্তিবাদী মানুষের সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। আর এই মানুষের সংখ্যা যেখানে যত কমে সেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তির অগ্রগতি তত রুদ্ধ হয়ে যায়। যুক্তিবাদের জায়গা নেয় অন্ধবিশ্বাস। যার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রদর্শনের জন্মের পথে পাহাড় প্রমাণ বাধা সৃষ্টি হওয়া।
আর এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রদর্শনের চর্চা যেখানে হয় না, সেখানে মুক্ত চিন্তার কোন সুযোগ নেই। তাই বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদের, বিজ্ঞান নির্ভর প্রযুক্তির চর্চাও সেখানে হয় না। ফলে সবকিছুর জন্য তাদের হয় ইউরোপ কিম্বা আমেরিকার মত উন্নত দেশগুলির উপর নির্ভর করে চলতে হয়। প্রতিরক্ষা থেকে মাটির নিচের তরলসোনা তোলার প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই ওই দেশগুলির উপর নির্লজ্জভাবে নির্ভর করতে হয় আরব দেশগুলির।
আর সেই জন্যই ট্রাম্পের কথা শুনতে যত খারাপই লাগুক না কেন আরব দুনিয়াকে তা মুখবুজে শুনে যেতে হবে। কারণ, এই সত্যকে (পড়ুন, ট্রাম্পের মন্তব্যকে) অস্বীকার করার ক্ষমতা ওদের কারও নেই। এর জন্য কাউকে যদি দায়ী করতে হয়, তার দায় একান্তভাবেই আরব নেতাদের বংশানুক্রমিক ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার নির্লজ্জ লোভ।
উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন