আমার লেখাটা পড়ার আগে অনুগ্রহ করে Pintu Das বাবুর ইমেজ লিখনটি পড়ুন, যা এই লেখাটির নিচে শেয়ার করা হয়েছে।
আমার লেখা পিন্টু বাবুকে...........
সাথি পিন্টু বাবু, আপনার বিশ্লেষণ পড়ে বেশ মজা পেলাম। মতামত দিতে বলেছেন। তাই আমার মতামত আপনার জন্য....
১) সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু র প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়....... ইত্যাদি শ্রেণি হয় বলে কখনো শুনিনি।
২) সংখ্যাগুরুর বিপরীত শব্দ হল সংখ্যালঘু। যারা সংখ্যায় বেশি হয় তারা সংখ্যাগুরু বলে বিবেচিত হয়, বাকিরা সংখ্যালঘু বলে বিবেচিত হয়। আর সেই অর্থে হিন্দু ছাড়া বাকিরা সবাই সংখ্যালঘু। ভারত সরকার ও প্রাদেশিক সরকারগুলি সেটাই মানে।
৩) সংখ্যালঘু মানে শুধু মুসলমানকে বোঝায় এতথ্য আপনি কোথায় পেলেন? সরকার মুসলমানদের নয়, সংখ্যালঘুর উন্নয়নের চেষ্টা করছেন (যেটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে)
৪) তর্কের খাতিরে যদি ধরে নি সংখ্যাগুরুর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণি ইত্যাদি হয়, তাহলে সংখ্যালঘুরও তাহলে প্রথম,দ্বিতীয় ইত্যাদি হয়। তাহলে তাদের উন্নয়ননে সরকারের কোন মানডণ্ডের নিরখে উন্নয়নের কথা ভাবা উচিৎ?
৫) আপনি একটু জনাবেন প্লীজ জনসংখ্যার কত শতাংশ হলে তাকে প্রকৃত সংখ্যালঘু বলা যায় এবং তার উন্নয়ননে সরকারের হাত বাড়ানো ঊচীৎ?
৬) 'দ্বিতীয় সংখ্যাগুরু' হওয়ার কারণে যদি মুসলমানদের উন্নয়নের জন্য সরকারের কোন পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার না থাকে, তবে ' প্রথম সংখ্যাগুরু হিন্দুদের একটা অংশ 'এসসি' এবং ওবিসিরা কিভাবে বিশেষ শুবিধা পাবে?
আপনার অবগতির জন্য সবিনয়ে জানাই ধর্মের ভিত্ততে নয়, আর্থ সামাজিক দিক থেকে পিছয়ে থাকার কারণে সরকারকে বিশেষ বিশেষ জনগোষ্ঠীকে কিছু সুবিধা দেওয়ার অধিকার ভারতীয় সংবিধান দিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ এর একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।
24/06/2016
প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন