সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা ও বামপন্থীদের দায়িত্ব

দলিত অত্যাচারে এগিয়ে বিজেপিরই পাঁচ রাজ্য
 বলছে - 'জাতীয় ক্রাইম রিপোর্ট ব্যুরো'র প্রকাশিত রিপোর্ট।

১) প্রথম মন্তব্য :
Tapas Das দুটো তিনটি বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় আসছে।

১) হিন্দু মুসলমান বিভাজন তৃণমূল কীভাবে করছে, ব্যাখ্যা করলে বুঝতে পারতাম। বিভাজনের দৃষ্টান্ত চোখে পড়ছে না।

২) বামপন্থীরা শক্তিশালী হওয়ার আগে তৃণমূল যদি সরে, তবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি অপ্রাসঙ্গিক নয়, গুরুতর প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। তৃণমূলের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য বামপন্থীদের শক্তিশালী হতে হবে। আর এটা সম্ভব কেবল তখন যখন বামপন্থীরা  তাদের হারিয়ে ফেলা জায়গা বা ভোটারদের নিজের দিকে আনতে পারবে। মনে রাখতে হবে, বামপন্থী ভোট তৃণমূলে যায়নি, বিজেপিতে গিয়েছে। তৃণমূল সরকারের আছে। তাই তার নিজস্ব ভোট বামপন্থীরা কখনোই নিজের দিকে টানতে পারবে না। এটা কল্পনা করাও অসম্ভব।

এক্ষেত্রে বামপন্থীদের অন্ধ তৃণমূল বিরোধিতার চেয়ে সক্রিয় বিজেপি বিরোধিতা খুব জরুরী। এটা যদি বামপন্থীরা করতে পারে তবেই তৃণমূল হারবে এবং বামপন্থীরা সেই শূন্যস্থান গ্রহণ করবে। কেবলমাত্র তখনই সম্ভব বিজেপি এরাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক হওয়া।

বামপন্থীরা যদি সে কাজ করতে না পারে, এবং দলিত ভোট যদি বিজেপির পক্ষে যায়, এবং তৃণমূল হারে , তাহলে বিজেপি প্রাসঙ্গিকতা হারাবে না, বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা আরো বেড়ে যাবে।

৩) আর নিম্নবর্ণের হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষত দলিত যারা, তারা এদেশের নাগরিক নয়, এই মিথ্যা প্রচার করে তাদেরকে নতুন করে নাগরিকত্ব দেয়ার টোপ দেখিয়ে তাদের দলে টানছে বিজেপি। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারণে তারা এই টোপ আসল ভেবে গিলছে। এছাড়া রয়েছে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক বিভাজন। আর এতেই বিজেপির এত বাড়বাড়ন্ত।

তবে আমার পর্যবেক্ষণ শেষ পর্যন্ত এই টোপ সবাই গিলবে না। এবং বিজেপির আশা পূরণ হবে না।

২) দ্বিতীয় মন্তব্য :

Tapas Das আক্রমণ দুটোকেই করতে হবে। বামপন্থীরা তাই করে। কিন্তু বামপন্থীরা কখনো বলে না যে আগে বিজেপি আসুক তারপরে দেখা যাবে।

গত ইলেকশনের সময় এরকম ভাবনা ছিল বামপন্থীদের মধ্যে। তারই খেসারত হিসেবে 40% থেকে নেমে 7 শতাংশ-এ এসেছে।

জানিনা মহ: সেলিম কী এমন বলেছেন বা আদেও বলেছেন কিনা। তবে যদি বলে থাকেন, আমার পর্যবেক্ষণ বলছে, তিনি ভুল বলেছেন। যারা বামপন্থী তারা যে সবাই বামপন্থাকে অনুসরণ করে রাজনীতি করছেন, তা অনেক সময় নাও হতে পারে। আর বড় লিডার হলেই যে তিনি ভুল করবেন না, বা ভুল করতে পারেন না, এর কোন গ্যারান্টি নেই।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আমার কোনো দুর্বলতা নেই। তৃণমূল কেন, কোন দলের প্রতিই আমার কোন দুর্বলতা নেই। দুর্বলতা আছে পন্থার প্রতি। আমি বামপন্থী এবং বামপন্থা যারা অনুসরণ করে তাদেরকে সমর্থন করি। সেটা কোন দল আমার কাছে ম্যাটার করে না।

অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী, গ্রাম সড়ক যোজনা চালু করেন, তখন একজন বামপন্থী হওয়া সত্বেও এই নীতিকে সমর্থন করেছিলাম।

কংগ্রেসের শুরু করা ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রোগ্রাম যখন মোদি এগিয়ে নিয়ে যাবার ঘোষণা করেন, তাকেও সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু নোট বাতিলের পরবর্তী সময় যে সিদ্ধান্ত যেভাবে নেয়া হয়েছিল, তাড়াহুড়ো করে নেয়া হয়েছিল এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল অর্থাৎ এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করতে গেলে যেভাবে করা উচিত ছিল তা করেনি তখনও তার বিরোধিতা করতে আমি দ্বিধা করি নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মচারীদের মাইনা ডিজিটাল মাধ্যমে দেয়ার ঘোষণা যখন করেছিলেন, আমার অসংখ্য বামপন্থী বন্ধু তার নানা দোষ-ত্রুটি দেখিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। আমি একটি বামপন্থী সংগঠনের মিটিংয়ে বসে বলেছিলাম, বামপন্থীদের এই অবস্থান ভুল। আজ সেটা প্রমাণ হয়েছে। এখন প্রায় প্রত্যেকেই মাসের 1 তারিখের মধ্যে বেতনটা পাচ্ছেন। বামপন্থী বলে এই সত্যকে অস্বীকার করা বা মিথ্যা বলা যায় না।

তৃণমূল দলের মধ্যে অনেক ভুলভাল লোক আছে। সেটা অন্য দলের মধ্যেও আছে। কিন্তু দলের ঘোষিত নীতি মোটেই বিজেপির মত ভয়ঙ্কর নয়।

তৃণমূল বামপন্থী নয়, তাই তাকে সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু বর্তমান সরকার বর্তমান পরিস্থিতিতে যে নীতি গ্রহণ করছে তা বামপন্থাই নামান্তর।

আমার এই অবস্থানের কারণে আপনি যদি আমাকে বলেন আমি তৃণমূলের প্রতি দুর্বল, একান্তই সেটা আপনার ভাবনা। আমি আমার অবস্থান সব সময় পরিষ্কার রাখি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলি, রেখে ঢেকে বলিনা। আমার চোখে বিজেপির থেকে তৃণমূল অনেক ভালো। এবং তৃণমূলের চেয়ে অনেক অনেক ভাল বামপন্থীরা, কারণ, বামপন্থীদের মধ্যে প্রকৃত শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।

আমার এই ভাবনার বাইরে যদি বামপন্থীরা ভাবেন, আমার ধারণা আগামী দিনে বামপন্থীরা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এবং বিজেপি আরো শক্তিশালী হবে। আমি চাই আমি ভুল প্রমাণিত হই। কিন্তু দেখবেন সময় আসলে আমার ভাবনার সারবত্তা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আমি মনেপ্রাণে চাই, বামপন্থীরাই ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু সেটা কীভাবে আসবে, কোন পরিস্থিতিতে আসবে বা আসা সম্ভব, তা আমার আগের মন্তব্যেই পরিষ্কার করে দিয়েছি। না বুঝে থাকলে আর একবার পড়ে নিন।

দাঙ্গাবাজ মানসিকতা সব দলের সমর্থকদের মধ্যে আছে। তাদের সংখ্যা কম। কিন্তু এই অল্প সংখ্যাই ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়, যখন সেই দলের বড় বড় লিডাররা প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িক বিষ ছাড়ানোর চেষ্টা করে। বিজেপি ছাড়া ভারতের কোন রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে সাম্প্রদায়িকতা এইভাবে ছাড়ায় না। তাই তাকে কখনোই একচুল জায়গা বামপন্থীরা অন্তত ছাড়তে পারে না। যদি ছাড়ার কথা বলে, তবে সে ওপরে ওপরে বামপন্থী ভিতরে রামপন্থী।

বামপন্থার এটাই প্রচলিত কৌশল  বা নীতি যে, দুটো শত্রুকে একসঙ্গে আক্রমণ করলে তাদের কাউকেই রোখা যায় না। এক্ষেত্রে আগে প্রধান শত্রুকে আক্রমণ করতে হয়। তারপর পরিস্থিতি বদলালে কম ভয়ঙ্কর শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়। আপনার রণকৌশল এর উল্টো। এই উল্টো রণকৌশল নেয়ার কারণেই বামপন্থীরা চল্লিশ থেকে নেমে 7 আর বিজেপি ঠিক তার উল্টো অবস্থানে এসে পৌঁছেছে।

প্রকৃতপক্ষে সিপিমের লড়াইটা এখন রাজ্যে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। পরিস্থিতি যা বলছে তা হল, এখন কোনোভাবেই তা সম্ভব নয়। তাহলে এখন তাকে লড়তে হবে দ্বিতীয় হবার লড়াই। কে সেই দ্বিতীয় পক্ষ? নিশ্চয়ই তৃণমূল নয়। দ্বিতীয় হওয়ার পক্ষে তার প্রধান শত্রু হওয়া উচিত বিজেপি। কারণ, তারাই এখন এই পজিশন দখল করে রেখেছে। তাই তার বিরুদ্ধে বামপন্থী তথা সিপিএমকে বেশি সক্রিয় হতে হবে। এই মুহূর্তে বামপন্থীরা যদি দ্বিতীয় স্থানে থাকতো, তাহলেই কেবল তাদেরকে তৃণমূল এবং বিজেপি দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে আক্রমণে নামতে হতো।

তাছাড়া নীতিগতভাবে, তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি বামপন্থীদের বড় শত্রু। অন্যদিকে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে নীতিগত তেমন পার্থক্য নেই, কৌশলগত পার্থক্য আছে। তাই তারা মুখে যে লড়াই করুক না কেন, ভিতরে ভিতরে কিছুটা হলেও তাদের মধ্যে সখ্যতা আছে। তাই এই দ্বিমুখী আক্রমণের সামনে দাঁড়িয়ে বিশেষ রণকৌশল অবলম্বন করা ছাড়া বামপন্থীদের কোন উপায় নেই। এবং সেই বিশেষ রণকৌশলটাই হচ্ছে প্রধান শত্রুকে খুজে বের করা এবং তাকেই আক্রমণ করে নিজের ভোটব্যাংকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনা। তারপর সেই ভোটব্যাংকে কাজে লাগিয়ে অন্য শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া। যে রণকৌশল নিজের ভোটব্যাঙ্ক অন্যের হাতে তুলে দেয়, সেই রণকৌশল ব্যর্থ হতে বাধ্য।

এপ্রসঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি জোটের কথা ভেবে দেখুন। জোট করা সত্বেও একরত্তি জমি ছাড়ে নি তারা। কারণ, তলায় তলায় চোরা স্রোত তৈরি হতে দেয় নি। তাই তৃণমূল জমি হারায় নি। অন্যদিকে বামপন্থীরা বিজেপির সঙ্গে জোট করেনি। অথচ তলায় তলায় চোরাস্রোতকে প্রশ্রয় দেয়ার কারণে এবং ভুল রণকৌশলের কারণে (যা এখন আপনি বলছেন) বিরোধীদলের তকমাটাও হারিয়ে ফেলেছে। সম্পূর্ণ সিপিএমের ভুল রণকৌশলের কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।

অপেক্ষা করুন মিলিয়ে নেবেন আমার মতামত কতটা অর্থহীন অথবা তাৎপর্যপূর্ণ।

ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।



প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে