মৌলবাদী কারা?
মৌলবাদের কোন দেশ হয় না
সাথি Goutam Ray আমার কাছে মানুষের একটিই পরিচয় আর তা হল, সে শুধুমাত্র মানুষ। সেখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান... —এসবের কিছুই নেই। ধর্মীয় পরিচয় ধুরন্ধর রাজনীতিকদের (যাদের সিংহভাগ স্বৈরশাসক) তৈরি করা ও তাদের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া একটি কৃত্রিম সত্তা। যতদিন না আপনি নিজে এবং পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এই চাপিয়ে দেওয়া পরিচয় সম্পর্কে সচেতন করতে পারবেন এবং এই পরিচয়ের বাইরে মনুষ্যত্বের সার্বিক পরিচয়ের আঙিনায় জড়ো করতে পারবেন, ততদিন মুক্তি নেই। তাই মানুষ আর মানবতার পক্ষে আমার কণ্ঠ কখনও বন্ধ হয় না। সে পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক। আমি আমার লেখার মাধ্যমে তা প্রকাশও করি। সময় পেলে। সবকিছু আমি ফেসবুকে লিখিনা। আমার নিজস্ব ব্লগ আছে। চাইলে সেখানে উঁকি (https://alirkotha.blogspot.com) দিতে পারেন।সমস্যা কোথায় জানেন? এই চেষ্টা যুগ যুগ ধরে কিছু মানুষ করে চলেছেন। কিন্তু কেউই সম্পূর্ণ সফল হতে পারেননি। এই না পারার পিছনেও রয়েছে পরবর্তীকালের রাজনৈতিকদের ক্ষমতালিপ্সা। এটা করতে গিয়েই যীশু খ্রীষ্ট ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন, হযরত মুহাম্মদ বিষ প্রয়োগের শিকার হয়েছেন, শ্রী চৈতন্যদেব নিখোঁজ হয়েছেন, শ্রীকৃষ্ণ
আপনি বাংলাদেশের ‘হিন্দু’দের কথা ভাবছেন? আমি বাংলাদেশের ‘মানুষে’র কথা ভাবছি। কারণ, আপনি দেখছেন সেখানে শুধু ‘হিন্দু’ মরছেন। আমি দেখছি সেখানে হিন্দু মুসলিম উভয় ধর্মের ‘মনুষ’ মরছেন। কারণ, পুরোটাই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জটিল লড়াই। যিনি যেমন চোখ এবং দেখার ক্ষমতা অর্জন করেন, তিনি তেমনি তো দেখবেন। তাই না?
তবে আমি কামনা করছি, আমার দেশের মতো কোনো বিভেদপন্থী শক্তি যেন সেদেশের ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছাতে না পারে। এবং এক্ষেত্রে সমস্ত দায়িত্ব সেদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উপরেই বর্তায়। সেখানে আমার আপনার মত মানুষের কিছুই করার নেই। কারণ সেখানে আমাদের ভোটাধিকার নেই। বা অন্য কোন বৈধ উপায় নেই, যার মাধ্যমে সেই পরিবর্তনে সক্রিয় অংশ নিতে পারি।
আমার দেশের বিষয়ে অন্য কোন দেশ নাক গলালে যেমন আমার খারাপ লাগবে, তেমনি অন্য দেশের বিষয়ে আমি নাক গলাতে পারি না। আপনি লিখেছেন, “মৌলবাদের দেশ হয় না”। এই প্রথম আপনার মুখ থেকে এমন মূল্যবান ভাবনা সরাসরি জানার সৌভাগ্য হলো আমার। ধন্যবাদ আপনাকে। তবে যেটা লিখলে আরো খুশি হতাম, তা হল, মৌলবাদের কোন ধর্মও হয় না। লিও টলস্টয় কী লিখেছেন দেখুন, “সকলে যদি নিজের নিজের বিশ্বাস নিয়ে লড়াই করে, তাহলে কোন যুদ্ধই হওয়ার কথা নয়।” বিশ্বাস করি, এই বক্তব্যের সারকথা বোঝার মত সক্ষমতা আপনার আছে। মৌলবাদ তখনই জন্মায়, যখন কেউ নিজের বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, একপক্ষ আরেক পক্ষকে নিজের কব্জায় রাখতে চায়। আমরা ভুলে যাই, ভারতীয় সংস্কৃতির নাম করে যখন বিশেষ কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠী নিজের বিশ্বাসকে রাষ্ট্রশক্তির প্রশ্রয়ে অন্য অসংখ্য গোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দিতে চায়, তখনও জন্ম নেয় মৌলবাদ। আমাদের অজ্ঞানতার কারণে অথবা দুরভিসন্ধির বশবর্তী হয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিবাদী প্রতিপক্ষকে শুধুমাত্র মৌলবাদী বলে দাগিয়ে দেই। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই পরিস্থিতি বিদ্যমান। সুতরাং মৌলবাদকে খতম করতে হলে, অন্যের বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে হবে। ধর্মের নামে কোন গোষ্ঠীকে কাঠগড়ায় তুললে, এবং তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
ফেসবুকে মানুষকে হিন্দু মুসলমানের ভাগ করে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাকে শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাজ নয় বলে মনে করি। তাই এমন ভাবে কথা বলি না, বা এমন বিষয় নিয়ে মতামত দেই না, যা মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে, অবিশ্বাস তৈরি করে। সংগত কারণেই এগুলো এড়িয়ে চলি।
ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয়। সেই বিশ্বাস থেকে কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান, কেউ খ্রিস্টান, কেউ বা ঈশ্বরে অবিশ্বাসী। হতেই পারেন। তাই সেখানেও নাক গলানোর কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।
আপনি বাংলাদেশের ‘হিন্দু’দের কথা ভাবছেন? আমি বাংলাদেশের ‘মানুষে’র কথা ভাবছি। কারণ, আপনি দেখছেন সেখানে শুধু ‘হিন্দু’ মরছেন। আমি দেখছি সেখানে হিন্দু মুসলিম উভয় ধর্মের ‘মনুষ’ মরছেন। কারণ, পুরোটাই রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জটিল লড়াই। যিনি যেমন চোখ এবং দেখার ক্ষমতা অর্জন করেন, তিনি তেমনি তো দেখবেন। তাই না?
তবে আমি কামনা করছি, আমার দেশের মতো কোনো বিভেদপন্থী শক্তি যেন সেদেশের ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছাতে না পারে। এবং এক্ষেত্রে সমস্ত দায়িত্ব সেদেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উপরেই বর্তায়। সেখানে আমার আপনার মত মানুষের কিছুই করার নেই। কারণ সেখানে আমাদের ভোটাধিকার নেই। বা অন্য কোন বৈধ উপায় নেই, যার মাধ্যমে সেই পরিবর্তনে সক্রিয় অংশ নিতে পারি।
আমার দেশের বিষয়ে অন্য কোন দেশ নাক গলালে যেমন আমার খারাপ লাগবে, তেমনি অন্য দেশের বিষয়ে আমি নাক গলাতে পারি না। আপনি লিখেছেন, “মৌলবাদের দেশ হয় না”। এই প্রথম আপনার মুখ থেকে এমন মূল্যবান ভাবনা সরাসরি জানার সৌভাগ্য হলো আমার। ধন্যবাদ আপনাকে। তবে যেটা লিখলে আরো খুশি হতাম, তা হল, মৌলবাদের কোন ধর্মও হয় না। লিও টলস্টয় কী লিখেছেন দেখুন, “সকলে যদি নিজের নিজের বিশ্বাস নিয়ে লড়াই করে, তাহলে কোন যুদ্ধই হওয়ার কথা নয়।” বিশ্বাস করি, এই বক্তব্যের সারকথা বোঝার মত সক্ষমতা আপনার আছে। মৌলবাদ তখনই জন্মায়, যখন কেউ নিজের বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, একপক্ষ আরেক পক্ষকে নিজের কব্জায় রাখতে চায়। আমরা ভুলে যাই, ভারতীয় সংস্কৃতির নাম করে যখন বিশেষ কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠী নিজের বিশ্বাসকে রাষ্ট্রশক্তির প্রশ্রয়ে অন্য অসংখ্য গোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দিতে চায়, তখনও জন্ম নেয় মৌলবাদ। আমাদের অজ্ঞানতার কারণে অথবা দুরভিসন্ধির বশবর্তী হয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিবাদী প্রতিপক্ষকে শুধুমাত্র মৌলবাদী বলে দাগিয়ে দেই। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই পরিস্থিতি বিদ্যমান। সুতরাং মৌলবাদকে খতম করতে হলে, অন্যের বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে হবে। ধর্মের নামে কোন গোষ্ঠীকে কাঠগড়ায় তুললে, এবং তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
ফেসবুকে মানুষকে হিন্দু মুসলমানের ভাগ করে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাকে শিক্ষিত ও সচেতন মানুষের কাজ নয় বলে মনে করি। তাই এমন ভাবে কথা বলি না, বা এমন বিষয় নিয়ে মতামত দেই না, যা মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে, অবিশ্বাস তৈরি করে। সংগত কারণেই এগুলো এড়িয়ে চলি।
ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয়। সেই বিশ্বাস থেকে কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান, কেউ খ্রিস্টান, কেউ বা ঈশ্বরে অবিশ্বাসী। হতেই পারেন। তাই সেখানেও নাক গলানোর কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন