সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধর্ষণ ও আমাদের অবস্থান

Biru Barman ধর্ষণ ধর্ষণই। সেটা এই রাজ্যে না ও রাজ্যে এটা বিচার করার মধ্যে রাজনীতি থাকে, মানবিকতা থাকে না। আপনি কি করে বুঝলেন এ রাজ্যের ধর্ষণের কেউ বিরোধিতা করেন না?

এ রাজ্যের ধর্ষণের বিরোধিতা করবেন। খুব ভালো কথা। নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলো সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তুললে তার বিরোধিতা করেন কী করে? আপনারাও তো উচিত প্রতিবাদে সামিল হওয়া। তবেই তো প্রমাণ হবে যে আপনি রাজনীতি করছেন না ধর্ষণ নিয়ে।

একটা অপরাধের প্রেক্ষিতে আরেকটা অপরাধকে সামনে এনে বিরোধিতা করলে সেটা অপরাধ ঢেকে দেয়ার চেষ্টারই সামিল হয়।

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক শাসকের ভালকে ভাল, আর মন্দকে মন্দ বলার সাহস থাকতে হয়। তবেই আপনি প্রকৃত নাগরিক হতে পারবেন। পক্ষপাতিত্ব করা আমাদের কাজ নয়, এটা আমাদের মনে রাখা উচিত।

রাজনীতির জন্য রাজনীতি রাজনীতিকরা করেন। সাধারণ মানুষও যদি তাই করে তাহলে রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এটা আমরা ভুলে যেতে বসেছি। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের এটা একটা বড় রোগ, যা মহামারির আকার নিয়েছে।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অন্যায়কে অন্যায় বলে সাহস তৈরি করুন। আপনার জন্য একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।

Biru Barman আমি মন্তব্য করার আগে তার ওয়ালটা ভালো করে দেখে নি। আপনাকে দেখেছি। দেখেছি বলেই মন্তব্য করেছি।

আমিই বা কখন বললাম যে আপনি 'ভিন রাজ্যের ধর্ষণের বিরোধিতা করেছেন'? অনুগ্রহ করে আর একবার আমার মতামতটা পড়ুন।

মাথা ঠান্ডা করে দেখুন, আমার বক্তব্য ছিল 'ধর্ষণের নিন্দা করা'কে আর একটা ধর্ষণের উদাহরণ টেনে 'নিন্দা করা'কে বিরোধিতা করা।

আর  বাংলার ধর্ষণের নিন্দা করে একটা উদাহরণ দিতে বলছেন? এবার আমি আপনাকে বলি, আমার ওয়াল ঘুরে আপনি কটা ভিন রাজ্যের ধর্ষণের বিষয় পোস্ট করেছি দেখাতে পারবেন? সম্ভবত পারবেন না। আমি এ বিষয়টা নিয়ে সাধারণত নিজের উদ্যোগে চর্চা করি না। এটা আমার একটা নিজস্ব চিন্তাভাবনা। আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে হতে পারে সেটা ভুল। কিন্তু আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে এটা নিয়ে ফেসবুকে চর্চা করায় আমার অনীহা আছে। আমি মনে করি ধর্ষণ একটা অর্থ-সামাজিক সমস্যা ও তার থেকে সৃষ্ট  একটি মানসিক ব্যাধি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে দাপাদাপি করলে ধর্ষণকারীর মনের উপর তার কোনো প্রভাব পড়েনা। কোন ফলও হয় না। উল্টে বহু মানুষ বিশেষ করে কিশোর বয়সের ছেলেমেয়েরা এই বিষয়টি নিয়ে অত্যধিক উৎসুক হয়ে ওঠে, এবং তার বিকৃত ও রসালো চর্চা শুরু হয়। একজন ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে চর্চা করার চেয়ে তার মানসিক রোগের এবং আর্থিক সমস্যার সমাধানের চেষ্টার বিষয়ে আলোকপাত করা বেশি করে জরুরি। আমার বক্তব্য শুনে আপনি হাসতে পারেন। কটাক্ষ করতে পারেন।  আবার উপেক্ষাও করতে পারেন। আমার আপত্তি নেই। আমি রেগে যাব না আপনার মত। আমি মনে করি  এগুলোও এক ধরনের  মানসিক সমস্যা। আমি আমার ভাবনাটাকে পরিষ্কার করলাম।

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। এবং অবশ্যই সাবধানে থাকুন।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন