১) পশ্চিমবঙ্গ খুব শিগগিরই আরেকটা বাংলাদেশ হয়ে যাবে। ২) বিজেপি ছাড়া আর সব দলই মুসলিমদের তোষণ করে। ৩) মুসলিম শাসকরা ভারতীয় হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করেছে।
আজ গ্রাম ও শহর বাংলার অলিতে-গলিতে গেলে তথ্যগুলো জানে না এমন মানুষ খুঁজে পাবেন না। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে বিজেপির আইটি সেল খুব সুনিপুনভাবে গরিব ও মধ্যবিত্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মনে প্রায় গেঁথে ফেলেছে এই তথ্য। ফলে বিজেপি জনসমর্থন বাড়ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই তথ্য কতটা সত্য, তানিয়ে মুখ খুলেছেন না বাম-ডান অবিজেপি কোন দলের নেতাকর্মী। আর এরই ফসল তুলছে বিজেপি। এভাবে চলতে দিলে বাম দলগুলোর মাথা তুলে দাঁড়ানোর জায়গাটুকু আর থাকবে না একথা জলের মতো পরিষ্কার।
আসুন দেখে নেই, সত্যটা আসলে কী!!
বাপ্পাদিত্য সাউ, আপনার ঘরে যদি কেউ চুরি করে, দায়টা কার বেশি, আপনার না চোরের।
অভাবের কারণে চোর তো চুরি করবেই। আর আপনার দায়িত্ব কী? চোরের উপর দোষ চাপিয়ে নিজেকে দায়িত্ব মুক্ত করা?
আমার মনে হয় চটি জুতোর দোষ না দিয়ে নিজের ঘরের ফাঁকফোকরগুলো মেরামত করা খুব জরুরী। কারণ আমাদের চুরি যাওয়া মালগুলোর প্রায় সবই বিজেপির পকেটে ঢুকেছে, চটি জুতোর ঘরে ঢোকেনি।😀
বাপ্পাদিত্য সাউ আপনার ঘরে যদি কেউ চুরি করে, দায়টা কার বেশি আপনার না চোরের।
অভাবের কারণে চোর তো চুরি করবেই। আর আপনার দায়িত্ব কী? চোরের উপর দোষ চাপিয়ে নিজেকে দায়িত্ব মুক্ত করা?
আমার মনে হয় চটি জুতোর দোষ না দিয়ে নিজের ঘরের ফাঁকফোকরগুলো মেরামত করা খুব জরুরী। কারণ আমাদের চুরি যাওয়া মালগুলোর প্রায় সবই বিজেপির পকেটে ঢুকেছে, চটি জুতোর ঘরে ঢোকেনি।😀
Goutam Ray চোর চুরি করেছে বলে রেগে গিয়ে নিজের ঘরে আগুন কেউ দেয়? দিয়ে অন্য ঘরে আশ্রয় নেয়? কি জানি? আমার মাথায় আসেনা। এ কেমন যুক্তি!!
আরেকটা বিষয় মাথায় রাখুন। যদিও এ কথাটা আমি আগের মন্তব্যেই উল্লেখ করেছি। আপনি হয় পড়েননি, নাহলে ইচ্ছাকৃত এড়িয়ে যাচ্ছে।
কথাটা হচ্ছে, আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতিকে হিন্দু-মুসলমান এভাবে ভাগ করতে চাই না। কারণ এভাবে ভাগ করা যায় না। প্রকৃত শিক্ষিত মানুষেরা এটা বোঝে।
আমি হিন্দু মুসলমান কথাটা উল্লেখ করেছি তাপস বাবু যেহেতু একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের অর্থাৎ মুসলমান সম্প্রদায়ের তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন বলে। তৃণমূলের নিজস্ব একটা মুসলিম ভোট ব্যাংক আগাগোড়াই ছিল, যেটা আদতে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক। তৃণমূল হওয়ার পর সেগুলো এখানে চলে এসেছে। আর বামফ্রন্টের সমর্থকদের একটা অংশ তারা রুট রুলিং পার্টির ছাতার তলায় থাকার ইচ্ছার কারণেই বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূলের ছাতার তলায় এসেছে। একথাও আমি আগেই উল্লেখ করেছি। কিন্তু হিন্দু ভোট যা আগে বামফ্রন্টের ছিল তা বিজেপিতে চলে গেছে। এই চলে যাওয়ার পিছনে বামপন্থার কোন ভূমিকা নেই, কিন্তু বামপন্থীদের ঝি মেরে বউ শাসন করার নীতির কারণে বিজেপিতে গেছে। আমার বর্তমান পোস্টে এর সাথে আর একটা কারণের কথা উল্লেখ করেছি। সেটা হল বিজেপির অসত্য প্রচার সম্পর্কে বাম এবং ডানপন্থীদের নির্লিপ্ত থাকার কারণে বিজেপির অসত্য মানুষের কাছে সত্য বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে। আর তাই বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হতে পেরেছে। এটা না আটকাতে পারলে, অর্থাৎ বিজেপির মিথ্যাচারকে মানুষের সামনে তুলে না আনতে পারলে এটা বাড়বে।
আমার এই বিশ্লেষণের কারণে বিজেপির রাগ হতে পারে, কিন্তু সাধারন মানুষের রাগ হবে না। সুতরাং আমাকে বিজেপিতে চলে যাবার ভয় দেখিয়ে, এটাকে সত্য বলে চালানোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে চুপচাপ থাকতে বলাটা বেশ হাস্যকর। কারণ, আমি একটা ক্ষুদ্র মানুষ। সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছানোর মতো কোনো সংগঠন আমার নেই। তাই আমার কথায় রাগ করে কেউ বিজেপিতে যাবে না। কারণ সত্যটা বুঝতে পারলে কোন সাধারন মানুষ অসত্যকে অবলম্বন করে না। এটা করে স্বার্থান্বেষী তথাকথিত শিক্ষিত মানুষেরা। 😀😀😀
Goutam Ray বাম এবং মুসলিম বুদ্ধিজীবী হিন্দু ধর্মের বিরোধিতা করছে এমন কোনো দৃষ্টান্ত আমাকে একটু দিতে পারবেন? যদি পারেন তাহলে আমি নিশ্চয়ই সেটা মেনে নেব এবং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব।
আর আমি বিজেপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছি তাতো বিজেপি প্রকাশ্যেই করছে। তাই আমার উদাহরণ তুলে ধরার বোধহয় কোন প্রশ্ন নেই।
'জনগণনা করতে গেলে নাকি মাথা ভেঙে দেবে' একথা আমি এই প্রথম শুনলাম।
নিজের বাড়ির তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে একটা অনীহা কিছু অংশের ভারতীয় মধ্যেই আছে। একথা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু সেটা কোন বিশেষ সম্প্রদায় করেন যদি বলেন তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আরও একটা কারণে তথ্যের গরমিল থাকতে পারে, সেটা গণনা কর্মীদের ফাঁকিবাজির কারনে হয়। তারা বাড়ি বাড়ি না দিয়ে আন্দাজে নিজের বাড়িতে বসেই ফরম ফিলাপ করে দেন। যদিও তার সংখ্যা খুবই কম।
পরিসংখ্যানবিদদের মত হল এ ধরনের গোলমাল পৃথিবীর সব ক্ষেত্রেই থেকে থাকে। এ ধরনের ত্রুটি বাস্তব সত্যে পৌঁছানোর কাজে কোন হেরফের হয় না বললেই চলে।
Goutam Ray আমার জীবনের একমাত্র ব্রত এটাই। আমি আজীবন সেই সাধনায় করে চলেছি। যতদিন বাঁচবো সেটাই আমার প্রধান কাজ।
এর সঙ্গে আমার এটাও বিশ্বাস শুধু মিলনের গান গাইলে মিলন হবে না। মিলন হতে গেলে দরকার পরস্পরের উপর বিশ্বাস এবং আস্থা। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই বিশ্বাস এবং আস্থা কে ভেঙে খানখান করে দিচ্ছে। তাই কাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কথা বলা দরকার। আপনারা বললে আমার আর বলার দরকার পড়বে না। কেউ যে বলছে না এ দাবী আমি করছি না। অবশ্যই করছেন। করছেন বলেই উপরের ভিডিওটা আমরা পেলাম। আমি সেটাকে আরো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি মাত্র। ভারতের বহুত্ববাদ কে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে খুবই জরুরী। আসুন আমরা সবাই সেই কাজ করি।
আপনি গল্প লেখার কথা বলছিলেন। তাহলে পড়ুন এই গল্পটা
কেমন লাগলো নিশ্চয়ই জানাবেন। আশা রাখছি।
https://banglasahityachhotogolpa.blogspot.com/2012/05/blog-post_06.html?m=1
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন