পুরো উপমহাদেশ জুড়ে ধর্মীয় সংকীর্ণতা বাড়ছে। খুবই আশঙ্কার কথা। দেশটাই তো ভাগ হলো সাম্প্রদায়িকতার জন্য । সুতরাং এটা নতুন কিছু নয়।
মাঝে নিয়ন্ত্রিত ছিল। এখন আবার বাড়ছে। এটা শুধু বাংলাদেশ না, সমগ্র উপমহাদেশ জুড়েই এই ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর পুরো কলকাঠি নাড়ছে এই সমস্ত এলাকার ধর্মীয় মৌলবাদীরা। তুমি জানলে অবাক হবে যে এই কলকাঠি নাড়া মাথা যারা, তাদের মধ্যে গোপনে যোগসাজস (হিন্দু+মুসলিম মৌলবাদীর মধ্যে) আছে। দুই সম্প্রদায়ের মৌলবাদীরাই যোগসাজশ করেই এই কাজ চলছে। রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলই প্রধান উদ্দেশ্য।
কীভাবে নেবে জানিনা। কয়েকটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
১) ভালো লাগছে এটা জেনে যে, ওদেশের দেশের সরকার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। একটা কলেজের নাম একজন হিন্দুর নামে করার লড়াই।
২) আর এখানে হচ্ছে উল্টো। পশ্চিমবঙ্গের কথা বলছি না। এখানকার মানুষ এখনো অনেক বেশি অসাম্প্রদায়িক। তবে দিন দিন হারটা(%) কমছে।
৩) সমগ্র দেশের নিরিখে দেখলে খুবই ভয়ংকর। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উপর তার প্রভাব পড়বেই। এখানে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির হচ্ছে, স্টেশনের নাম পাল্টাচ্ছে, স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে যাচ্ছে, গ্রাম-শহরের নাম পাল্টে যাচ্ছে। মিডিয়াগুলো প্রতিদিন নিয়ম করে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এর খারাপ প্রতিক্রিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোতে পড়ছে। এখানে তার কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না। কোন প্রতিবাদী হচ্ছে না। কেবলমাত্র বামপন্থীরাই একটু আধটু বলার চেষ্টা করছে। তারাও ভয় পাচ্ছে একঘরে হয়ে যাওয়ার। তাই অনেকেই না দেখার ভান করছে। এগুলির সুযোগ নিচ্ছে প্রতিবেশী দেশের মৌলবাদীরা।
সুতরাং আমরা যারা অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার মানুষ তাদের আরও বেশি সচেতন ভাবে এইসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে হবে। সাবধান থাকতে হবে যেন আমার বক্তব্য একপেশে না হয়ে যায়। এক দিক থেকে দেখলে এবং এক দিক থেকে বললে অন্যদিকে মানুষদের মধ্যে অবিশ্বাস জন্মায় এবং সেই অবিশ্বাসই জন্ম দেয় সাম্প্রদায়িকতার। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে মুখ খুলতে হবে। এবং সেটা মানুষের সামনে আনতে হবে। এই অপকর্ম আটকানোর এ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন