সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইতিহাসের বিকৃতিএবং কিছু তথ্য

Goutam Ray এতদিন পর আপনার আসল চেহারা বেরোলো বোধ হয়! যে গল্পগুলো বললেন না, এগুলো প্রতিনিয়ত বিজেপির লোকেরা বলে। আপনিও তাই বলছেন। আতাহার আলী ছেড়ে দিন। বিপান চন্দ্র, হরবংশ মুখিয়া, রোমিলা থাপার, জয়া চ্যাটার্জীর নাম শুনেছেন? নিশ্চয়ই শুনেছেন। কারণ, আরএসএসের গল্পের বিরুদ্ধে এরাই তো বের করে এনেছেন আসল ইতিহাস।

যার মাথা বিক্রি হয়ে আছে, তাকে বোঝানোর সাধ্য আমার নেই। আপনি বিক্রি করেছেন কিনা জানিনা। তবে আপনাকে চুপিচুপি বলে রাখি, আতাহার আলী আমি পড়িনি। পড়ার ইচ্ছা আছে।

গল্প না বলে যুক্তি দিয়ে বলুন, তথ্য দিয়ে বলুন। মনে রাখবেন, সবাই মাথা বিক্রি করে রাখেনি। সিপিএম বলুন, কংগ্রেস বলুন, তৃণমূল-বিজেপি বলুন, কোন দলের কাছে মাথা বিক্রি করে নেই আমি। আপনার বক্তব্যের পুরোটাই এখন মনে হচ্ছে সাম্প্রদায়িক। ভেক ধরে আছেন। আগের দিন হুট করে আমাকে সাম্প্রদায়িক বলে দিলেন। মৌলবাদী বলে দিলেন। আজ আপনার বক্তব্য শুনে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, আসলে আপনিই সাম্প্রদায়িক।

আপনি কি প্রমাণ পেয়েছেন যে, আপনার লেখা কেউ ডিলিট করে নি, যে লেখার জন্য আপনি আমাকে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী বললেন? আসলে যার মাথার মধ্যে সাম্প্রদায়িক ভাবনা চিন্তা ঘুরঘুর করে 24 ঘন্টা, সে-ই এভাবে বলে বসে। মানুষের প্রতি এত অবিশ্বাস নিয়ে নিঃশ্বাস নেন কি করে? মানুষকে অবিশ্বাস করতে গেলে আমার কষ্ট হয়। অবিশ্বাসের কথা বলতে গেলে 14 বার ভাবতে হয় আমাকে। আর আপনি কেমন অবলীলায় বলে দিলেন আমাকে মৌলবাদী!! ধন্য আপনার চিন্তাভাবনা। 🙏🙏

700 বছর ধরে মুসলিমরা যদি সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে দেশ শাসন করতেন, আপনার মাথায় আজকে মোল্লাদের টুপি থাকতো।

ইসলামের জন্ম তো সৌদি আরবে। সারা মধ্যপ্রাচ্যে দেখেছেন কি হয়েছে? সেগুলো সব মুসলিম হয়ে গেছে। আর এখানে হলো না? কোন জাদুতে? আলাউদ্দিন খলজি আর আওরঙ্গজেব তো সারা ভারতবর্ষে দখল করে নিয়েছিলেন। তখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ ছিল? মধ্যপ্রাচ্যের নীতি নিলে ভারতবর্ষে একজনও হিন্দু থাকত না। আমরা যেমন মুসলমান হয়ে  উচ্চবর্ণের  হিন্দুদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করেছি, সেই ভাবে আপনিও এতদিন মুসলিম শাসকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মুসলমান হয়ে যেতেন।😀😀😀 আর এটা বোঝার জন্য কাবেরী ইতিহাসে পন্ডিত হওয়ারও প্রয়োজন হয়না। সাধারণ যুক্তিবুদ্ধি থাকলেই সেটা বোঝা যায়।

আমাদের কপাল ভালো, সেই সময় ইউরোপীয়রা ভারতবর্ষে ঢোকেনি। তারা যদি ঢুকতো, আমরা মুসলমান হয়ে, আর আপনি হিন্দু হয়ে এই যে এত তর্কাতর্কি করছি না নিজেদের মধ্যে, সে সুযোগও থাকত না।

ইউরোপীয় শাসকবর্গ উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ইত্যাদিতে স্থানীয় অধিবাসীদের চিহ্ন রাখেনি। এখানেও তাই হত।ভারতবর্ষে মুসলিমরা ছাড়া যদি সে সময় ইউরোপীয়রা আসতো কি অবস্থা হতো ভেবে দেখেছেন কখনো? অথবা 1757 সাল থেকে 1857 সাল পর্যন্ত এবং পরবর্তীকালে জাতীয় কংগ্রেস তৈরির আগে পর্যন্ত মুসলিম কমিউনিটির মানুষজন যদি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াই না করত, আপনার এই আজগুবি গল্প শোনানোর লোক পেতেন না। গল্প বলার জায়গায়ও থাকতেন না। এটা ইউরোপীয়দের আর একটা উপনিবেশ হয়ে যেত। সাম্প্রতিক একটা ঘটনা শুনুন। 1955 সালে ইউরোপীয় বংশদ্ভুতরা কানাডার ইনিউইট এস্কিমদের নুনাভিকের ইনুকজুয়াক শহর থেকে উৎখাত করে দিয়েছিল। বুঝতে পারছেন ওদের চরিত্র? মুসলিম শাসকদের পরিবর্তে ইউরোপীয়রা থাকলে কী হতে পারত।

তথাকথিত হিন্দু  অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা, এরা তো ইংরেজদের দালালী করে গেছে পুরো ব্রিটিশ পিরিয়ডে। তাই, রাজনীতি না করে একটু মাথা ঠান্ডা করে ভাবুন, তাহলেই আসল ইতিহাসটা আপনার সামনে আসবে। 

আপনি যেগুলো শোনালেন না, ওর থেকে 'ভালো ভালো' ইতিহাস আছে আমার কাছে। আরএসএস এর লেখা ইতিহাস। ভাববেন না সেগুলো পড়িনি।

বঙ্কিমচন্দ্রের মতো মানুষের লেখা উদ্ধৃত করলেও যারা বিশ্বাস করে না, তাদের মধ্যে থেকে কি বেরোবে তা জানতে কারও বাকী থাকে? 

 আপনি যে সময়ের কথা বলছেন, আপনি বোধ হয় ভুলে গেছেন, সেটা মধ্যযুগ। সেটা আধুনিক গণতন্ত্রের যুগ নয়। আজকে ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচিত হয়। অর্থাৎ দেশ জয় হয়। আর তখন অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ জয় হতো। সেটাই সে যুগের বৈশিষ্ট্য। তাই দেশ জয়ের পর জয়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য হিন্দুরা মন্দির তৈরি করত, আর মুসলমানেরা মসজিদ তৈরি করত। আর এ কারণেই ভারতজুড়ে এত মন্দির মসজিদ। জয়ের প্রতীক প্রতীক হিসাবে মন্দির ভেঙে মসজিদ এবং মন্দির মসজিদ ভেঙে মন্দির প্রথাও তখন চালু ছিল। সেই বিষয়টা আধুনিক যুগে এনে আপনি মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করাকে সমর্থন করছেন আবার দাবি করছেন আপনি সাম্প্রদায়িক নয় সাম্প্রদায়িক আমি। আপনি হিন্দুত্ব থেকে বেরিয়ে এসেছেন আর আমি মুসলমানিত্ব থেকে বেরোতে পারিনি?

শুনে রাখুন,  আমি আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ। সেখানে ধর্ম আর রাজনীতি আলাদা। শিক্ষার আলখাল্লা এ মুরে ধর্মীয় মৌলবাদকে আড়াল করার চেষ্টা করি না। ভারতের মন্দির ভেঙে মসজিদ করার নিন্দা করি, আবার আফগানিস্তানের যখন বৌদ্ধ মূর্তি গুলো ভেঙে ফেলা হয় তখনও তার প্রতিবাদ করি। প্রতিবাদ করি আধুনিক যুগের দৃষ্টিভঙ্গিটা সামনে রেখে। আর আপনি কি করলেন বাতিল মসজিদ ভাঙ্গা কে সমর্থন করে মন্দির করাকে সমর্থন করলেন। কি সুন্দর বেরিয়ে এলেন হিন্দুত্ব থেকে!!

এই মন্দির মসজিদ গুলো স্বাভাবিক কারণেই রাজা রাজাদের নিয়ন্ত্রণে থাকতো। সেখান থেকেই রাজার বিরুদ্ধে রাজার সশস্ত্র লড়াইয়ের পরিকল্পনা এবং রসদ তৈরি করা হতো। এই মন্দির মসজিদ গুলোতে থাকতো ভক্তদের দেয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ। পরাজিত রাজারা এই মন্দির গুলো কে সামনে রেখে রাজ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাতো। তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিরিখে এগুলো অবৈধ ছিল না। তাই যে সমস্ত মন্দিরগুলোর বা মসজিদগুলকে সামনে রেখে পরাজিত রাধা রাজারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেন তাদের জব্দ করার ক্ষেত্রে জয়ী শাসকরা এই সমস্ত মসজিদ-মন্দির গুলোকে আক্রমণ করে ধনরত্ন গুলো করায়ত্ত করে নিত। প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে দেয়ার এটা একটা কৌশল। আজ যেমন ভারত চীনকে অর্থনৈতিকভাবে দমিয়ে দেয়ার জন্য চীনা বিভিন্ন প্রকল্প কে বাতিল করেছেন এবং বিভিন্ন অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছেন, প্রায় সেই রকমই একটা পদক্ষেপ।

ওরঙ্গজেব-এর বিরুদ্ধে যে যে মন্দিরকে কেন্দ্র করে এই ধরনের ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছিল সেগুলো যেমন তিনি ভেঙেছিলেন, তেমনি আবার ষড়যন্ত্রকারী মসজিদগুলোও ভেঙেছিলেন। আসলে একজন শাসকের কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতাটাই আসল। মন্দির মসজিদ একটা বাহানা মাত্র।

আপনি মন্দির ভাঙ্গা টা দেখতে পেয়েছেন? কিন্তু কেন ভেঙেছে বা কোন সময় ভেঙেছেন। কেনই বা তিনি মসজিদগুলো ভেঙে ছিলেন? সেটাকে চেপে গেলেন। কিন্তু কেন চেপে গেলেন? আর যদি চেপে যান তাহলে আপনি কি করে ধর্মনিরপেক্ষ হলেন? অসাম্প্রদায়িক হলেন? একটা রাজনৈতিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক চেহারা দিলেন কেন?

মধ্যযুগীয় রাজনীতিকে আপনি কিভাবে আধুনিক যুগের সঙ্গে তুলনা করলেন? মধ্যযুগের হিন্দুরাও মন্দির ভেঙেছেন। প্রাচীন যুগেও ভেঙেছেন? প্রাচীন যুগে বৌদ্ধ স্তুপগুলোকে ভেঙে ফেলা হয়েছিল? অর্থাৎ প্রাচীন এবং মধ্যযুগে এগুলো ছিল রাজনীতির অঙ্গ। আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে কীভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা সমর্থন করলেন? তার মানে আপনি কি বলতে চাইছেন এখন মধ্যযুগ চলছে বা প্রাচীন যুগে আছেন আপনি? যদি তা-ই থাকেন তাহলে আপনি ঠিকই বলেছেন? 

আপনি এত বই পড়েছেন অথচ এগগুলো আপনি দেখেননি যে, রাজনীতির কারণে যে মন্দিরগুলো তিনি ভেঙে ছিলেন, মসজিদগুলো ভেঙে ছিলেন, সেগুলো তিনি পুনরায় তৈরি করে দিয়েছিলেন? আপনার কি সাম্প্রদায়িক মানসিকতার প্রয়োগ রেখে ঢেকে প্রকাশ করার জন্য যেটুকু বলা যায়, সেটুকু বললেন, বাকিটুকু চেপে গেলেন?

আপনি জিজিয়া কর সংক্রান্ত যা বললেন তা বড্ড হাস্যকর? সবাইকে জোর করে ধর্মান্তরিত করলে নাকি জিজিয়া কর দেয়ার লোক থাকত না। আপনার যুক্তি দেখে হাততালি দিতে ইচ্ছা করছে।😀😀

জিজিয়া কার সম্পর্কে আরএসএস যেটুকু বলে আপনি সেটুকুই বললেন বাকিটুকু আর বললেন না।

১) জিজিয়া কর একটা রাষ্ট্রীয় কর। হিন্দু সম্প্রদায় কে দেয়া হতো। আর যাকাত ছিল তেমনি একটা রাষ্ট্রীয় কর যা মুসলমানদের দিতে হতো। আপনি রাষ্ট্রে বাস করবেন আপনার জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে আর আপনি করবেন না? এখন আপনি করবেন না? আজ আধুনিক যুগ বলে করের কোন হিন্দু-মুসলমান নেই। কিন্তু তখন ছিল। মুসলমানদের যাকাতের কথা থেকে চেপে গেলেন কেন? আমাকে সাম্প্রদায়িক বলতে অসুবিধা হবে তাই?

২) আপনি এত কিছু জানেন অথচ এটা জানেন না ঔরঙ্গজেব সমস্ত হিন্দুর কাছ থেকে জিজিয়া কর আদায় করতেন না। 

জিজিয়া কর আদায় করা হতো না তাদের কাছ থেকে যারা, I) যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতেন II) ব্রাহ্মণদের কাছ থেকে III) বিধবাদের কাছ থেকে IV) প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে।

জিজিয়া সম্পর্কে আরও পড়ুন

৩) ব্রাহ্মণদের নিষ্কর জমি দান করার যে দলিলটা আবিষ্কার হয়েছে তা দিয়ে কি প্রমাণ হয়? তিনি হিন্দু বিদ্বেষী ছিলেন? সেটা চেপে গেলেন কেন?

৪) ঔরঙ্গজেবের সময় সবচেয়ে বড় বড় মনসবদার হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিল কেন? এবং তাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি ছিল কেন? এগুলো আপনার চোখ এড়িয়ে গেল কি করে? হিন্দুবিদ্বেষী হলে এগুলো কীভাবে সম্ভব?

৫) হিন্দুরা জিজিয়া কর দেবেন। তাই তাদেরকে হিন্দু করে রাখলেন? হিন্দু করে নেয়ায় যদি তার মূল উদ্দেশ্য থাকত তাহলে তিনি এ কাজ করবেন কেন? তাদেরকে হিন্দু-মুসলিম করে নেবেন।তারপর  তারা মুসলমান হয়ে গেলে তাদের কাছ থেকে যাকাত নেবেন। তাতে কর করপ্রদানকারীর সংখ্যা কমে কী করে? উল্টা তো আল্লাহর কাছ থেকে  তারা আশীর্বাদ পাওয়ার কথা। 😀😀

৬) বামপন্থীরা এবং সঙ্গে আমি আরএসএসের হিন্দুত্ববাদী ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে বলে তথ্য প্রমাণ দিয়ে আমরা সমন্বয়ি ভারতের ছবি আঁকার চেষ্টা করি। আপনি তার বিরুদ্ধে গিয়ে আরএসএস এর মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আবার আপনি দাবি করছেন যে, আমরা মুসলমানরা মুসলমানের বাইরে বেরোতে পারি না? আপনি আরএসএসের চিন্তা-চেতনাকে সমর্থন করে আপনি কিভাবে হিন্দুত্বের বাইরে বেরোলেন তা আমাকে একটু বুঝাবেন?

যাক অনেক কথা হলো। আপনি বললেন আমি পড়লাম আমি বললাম আপনি শুনুন। সঙ্গে অন্যেরাও জানুক। আপনি চালিয়ে যান আপনার কথা। আর আমি আমারটা। আর যার কথা যুক্তি-বুদ্ধি-তথ্য-এর নিরিখে বিচার করে গ্রহণযোগ্য মনে হবে, তার কথাই মানুষ নেবে।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন