সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধর্ম ও যুক্তি বিজ্ঞান

সি এস নীহার আমার কথায় কি আপনার তাই মনে হল?

যে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার আগে সে বিষয়ে যথেষ্ট খোঁজখবর নিতে হয়। সেটা যদি আর নিজের শত্রু সম্পর্কে হয়, তাহলেও। এটাই আমার দৃষ্টিভঙ্গি।

যুক্তিবিজ্ঞান এটাই বলে। কাউকে সন্দেহের তালিকার বাইরে রাখতে নেই। আমার কথা নয়। মস্ত বড় দার্শনিকের কথা।

আর আমি এটাও জানি এবং মানি খবর আর তথ্য এক জিনিস নয়। খবরকে যুক্তি বুদ্ধি এবং তথ্য দিয়ে বিচার করার পর, তার সত্যাসত্য যাচাই করার পর তাকে তথ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তিবিজ্ঞান।

আর অন্ধত্ব আমার মধ্যে নেই কিনা। তাই যুক্তিবিজ্ঞান এর নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করি।


সি এস নীহার একদমই তাই। প্রাতিষ্ঠানিক এবং আনুষ্ঠানিক ধর্মকে আমি কোনরকম গুরুত্ব দেই না। মানুষের একটাই ধর্ম আছে তার নাম মানব ধর্ম। জগৎ আর জীবন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা আছে যার, সে এর ভাইরে ভাবতে পারে না।

আনুষ্ঠানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মটা যুগ যুগ ধরে ধান্দাবাজ লোকেদের অস্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। ইতিহাস আর আমার নিজস্ব উপলব্ধি তা-ই বলছে। বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এর বাড়বাড়ন্ত  নজরে পড়ছে।


Anirban Chowdhury আপনার ধারনা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট আছে। তবে একথা অস্বীকার করা যায় না যে, ইসলামিক স্টেট একটি ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। ভারতেও তারা সক্রিয় রয়েছে হয়তোবা। এ সম্পর্কে আমার কাছে তেমন কোনো অকাট্য প্রমাণ যদিও নেই।

তবে আমার মনে হয় মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে আপনাকে আরো একটু সতর্ক হতে হবে। ইসলাম ধর্ম যুক্তি বিজ্ঞান সম্মত কিনা এ বিষয়ে আমার মতামত না জেনে আপনি যে অভিযোগ করেছেন তার যুক্তিযুক্ত নয়। যদি বলেন অভিযোগ করিনি, তাহলে বলব আপনার শব্দচয়নে গন্ডগোল আছে। এ বিষয়ে নিশ্চয়ই সতর্ক হবেন। আমার প্রোফাইল ঘেঁটে দেখবেন যে সেখানে কখনই দাবি করা হয়নি ইসলাম ধর্ম যুক্তি বিজ্ঞান সম্মত। কারণ বিশ্বাস আর যুক্তিবিজ্ঞান পরস্পরবিরোধী। দুটোর অবস্থান দুই মেরুতে। আমার ফেসবুক বন্ধুদের প্রায় সকলেই এটা জানেন।

সবশেষে বলি, বিভেদের চেষ্টা পৃথিবীর সব ধর্ম সম্প্রদায়ের ধান্দাবাজ লোকেরা করে থাকে। কখনও কখনও রাষ্ট্রশক্তি, রাজনৈতিক দল এবং মিডিয়াগুলো তাদের তোল্লা দেয়। এক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান বলে ভাগ করার কোন যুক্তি দেখিনা। তাই আমি যখন মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কথা বলি তখন সবার কথাই একসঙ্গে বলি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য অধিকাংশ মানুষ সেটা করেন না। তিনি যে ধর্মের মানুষ সেটাকে উহ্য রাখেন আর বিপরীত ধর্মের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। এটাই হচ্ছে আমাদের সমস্যা। মানবজাতির একটা বড় অংশের সমস্যা। এখান থেকে সাধারণ মানুষ যেদিন বেরোতে পারবে, সেদিনই 'এ পৃথিবী আবার শান্ত হবে'।

যাই হোক ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন আর ধর্মের নয়, মানুষের সাথে থাকবেন।

উৎস জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ ...

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে, ...

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য

জীবনের প্রাথমিক লক্ষ্য সফল হলে, সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম তোমার বাবা-মা। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, তাঁরা চাইলেও আজীবন তোমার সঙ্গে থাকতে পারবেন না। সফল হলে সবাই তোমার আপন। ব্যর্থ হলে, কেউ তোমার নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম বাবা-মা। সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হওয়া জরুরী। ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রধান পরিচয় (মানুষ হিসাবে) নির্ণায়ক মাপকাঠি। তাই এই অর্থব্যবস্থায় সাফল্যই তোমার প্রাথমিক লক্ষ্য। এটা পূর্ণ হওয়ার পরই কেবল অন্যান্য লক্ষ্যে এগোনোর কথা ভাবা উচিৎ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, অন্য লক্ষ্য মানে মানুষে জন্য কিছু করা, সমাজের জন্য যতটা সম্ভব অবদান রাখা। একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ এই লক্ষ্যকে অস্বীকার করতে পারেন না। এখন প্রশ্ন হল, এই সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি কী? চাবিকাঠি হল শিক্ষা। উপযুক্ত শিক্ষাই একমাত্র তোমাকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। সুতরাং শিক্ষা অর্জনকে প্রাথমিক পর্যায়ে একমাত্র লক্ষ্য করতে হবে এবং শিক্ষা অর্জনের এই প্রচেষ্টাকে সাধনার পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। তবেই তুমি সফল হবে। সফল হলেই সবাই তোমার, সবই তোমার। ----------xx----------

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্ম শিক্ষার প্রভাব দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে