নূরদা ও গৌতম বাবুর মধ্যে বিতর্ক
জানিনা, নূরদা ঠিক কী বলেছেন। কারো যদি মনে হয় যে, রবীন্দ্রনাথ নজরুলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সঞ্চয়িতা লিখেছেন, তিনি তো সে কথা বলতেই পারেন। এটাই তো স্বাভাবিক। আবার কারো যদি মনে উল্টো কথা, তিনিও যুক্তি এবং তথ্য দিয়ে সেটা খন্ডন করতে পারেন। সেটাও তেমনি স্বাভাবিক।
এরমধ্যে গৌতম বাবু রবীন্দ্রবিদ্বেষ কোথায় খুঁজে পেলেন? সাম্প্রদায়িকতাই বা এর সঙ্গে কীভাবে সঙ্গে সম্পর্কিত হলো?
গৌতম বাবুর যুক্তিগুলো বেশ হাস্যকর মনে হল।
১) গৌতম বাবুর মনে হয়েছে নূর সাহেব শঙ্খ ঘোষের প্রতি বিষোদগার করে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। মনে হওয়ার উপর ভিত্তি করে কেউ কারও বিশ্বাস ভাঙতে পারে? আপনার মনে হওয়াটা যে ভুল নয়, তার গ্যারান্টি কোথায়?
২) আমার মনে হয় আপনার অপেক্ষা করা উচিত ছিল। নুরদা লেখার পর আপনি যুক্তি ও তথ্য দিয়ে তাঁর সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ করতে পারতেন? এটাই তো প্রকৃত পথ। তা না করে উনি ওঁনার মনে হয়েছে বলে একজনের বিরুদ্ধে এমন কথা ছেপে প্রকাশ করতে পারেন? জানিনা। আমি কোন যুক্তি খুঁজে পেলাম না।
২) নূরদা যখন বলেছিলেন আপনি লিখবেন না, আপনি বলছেন তখন আপনি কথা দেননি। বেশ মেনে নেওয়া গেল। কিন্তু তাঁকে কি একথা বলেছিলেন, যে না, আমি কিন্তু লিখব? আপনি সেটাও তো বলেন নি। আপনি যদি সে কথা না বলে চুপ করে থাকেন তাহলে কি এই মানে দাঁড়ায় না যে, আপনি এক ধরনের সম্মতি জানাচ্ছেন। আপনাকে বিশ্বাস করেই তো কথাটা তিনি বলেছিলেন। সম্পর্কের টানেই তো বলেছিলেন। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে নিশ্চয়ই ছিল বিশ্বাস? সে বিশ্বাসটা আপনি চুপিচুপি ভাঙলেন কি করে? আপনি তো বলে দিতেই পারতে যে, না আমি এ কথা রাখতে পারব না। আমি কিন্তু তোমাকে কথা দিচ্ছি না।
৩) রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। কথাটা আমার খুব পছন্দের। তাই আমার একাউন্টে প্রোফাইল পিকচারের নিচে কথাটা কে আমি আমার মতো করে লিখেছি। লিখেছি, 'মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ কিন্তু অন্ধ বিশ্বাস করা মহাপাপ।' ঘটনাটা নজরে আসার পরপরই কেন জানিনা এই কথাটাই বার বার মনে আসছে নূরদা।
যাইহোক, নূরদাকে ধন্যবাদ এই কারণে, যে তিনি তার অভিযোগটাকে বিনীতভাবে এবং অবশ্যই সংযতভাবে প্রকাশ করেছেন। যেটা গৌতম বাবুর মন্তব্যে বড্ড বেমানান ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। কথোপকথনের সময় উঠে আসা কোন ভাবনাকে নিজের মনের রঙে রাঙিয়ে নিয়ে কাউকে এভাবে সাম্প্রদায়িক বলে দেয়াটাকে যুক্তিসংগত বলে মনে হয় না। আমার কাছে বেশ হাস্যকর লাগছে, গৌতম বাবুর অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার যে চিত্র আমাদের মধ্যে ছিল তা বোধ হয় খানিকটা প্রশ্নচিহ্নের মধ্যে পড়লো, যেটা কখনোই আমরা কামনা করি না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন