সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সামাজ বিষয়ক লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী?

 পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী? What is the key to family peace পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি হল, পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ও বিশ্বস্ত থাকা। এই বিশ্বাস কারো অন্তরে তখনই জন্মায়, যখন অন্যজন তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। এই পারস্পরিক বিশ্বাসই জন্ম দেয় শর্তহীন ভালোবাসার, যা পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি।

পুরুষতন্ত্রের বিকল্প নারীবাদ নয়

পুরুষতন্ত্র আধুনিক সমাজের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এর বিকল্প কী? নারীবাদ? মোটেই নয়। যে কারণে পুরুষতন্ত্র সমালোচিত হয়, নারীবাদ সেই কারণেই সমালোচিত হতে বাধ্য। কারণ পুরুষতন্ত্র যেমন নারীর অধিকারকে খর্ব করে, তেমনি নারীবাদকে প্রশ্রয় দিলে পুরুষের অধিকারও খর্ব হতে বাধ্য। তাহলে উপায়?  পুরুষতন্ত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং যুক্তিযুক্ত বিকল্প নারীবাদ নয়, মানবতাবাদ। কারণ এখানে নারী বা পুরুষকে নারী-পুরুষের-গন্ডি পেরিয়ে মানবিক চেতনায় ও চেহারায় দেখতে শেখায়।

সংসার আসলে একটা নৌকা

সংসার আসলে একটা নৌকার মতো। এই নৌকার দাঁড় ও হাল যদি সমমনস্ক হয় অর্থাৎ একই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী নীতি ও পদ্ধতি অবলম্বন করে তবে সে সহজেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। আর দুজন যদি দুই লক্ষ্য নিয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে তবে তা বিলম্বিত হয় বা ব্যর্থ হয়। একটা সংসারে স্বামী ও স্ত্রী হল ওই দাঁড় এবং হালের মত। তাই এই দুইজন যদি একই লক্ষ্যে একই পদ্ধতিতে এগোতে চায় তবে সাফল্য অনেকটাই নিশ্চিত করা যায়। আর পরস্পরের মত ও পথ যদি পরস্পর বিপরীত মুখী হয় তবে তা সাফল্যের অন্তরায় তো হায়ই অনেক সময় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়।

মা

মা হচ্ছেন পৃথিবীর বেহেস্তি (স্বর্গ) বাগান। সন্তান হচ্ছে তার মালি। কিন্তু সেই মা যদি হন অবুঝ, তবে সন্তানের কাছে এই দুনিয়াই হয়ে ওঠে দোজখ যন্ত্রণার আঁধার কূপ। তবে  উপেক্ষা করার ক্ষমতা যারা রাখে, তারা নিরাপদ থাকে বটে, কিন্তু প্রিয় বেহেস্তি বাগানটা তার তছনছ হয়ে যায়, সবার অলক্ষ্যে। কিন্তু এই বাগানটা যে অক্ষত রাখার চেষ্টা করে, সেই হল প্রকৃত মানুষ, সত্যিকারের মালি।

প্রেম নয়, মোহ

যে প্রেম আপনকে পর করতে শেখায়,সে-প্রেম প্রেম নয়,মোহ। তাই প্রেম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিৎ নয়। দেখুন ফেসবুকে দেখুন YourQuote এ

কেউ কাউকে ভোলে না

জগতে কেউ কাউকে ভোলে না, শুধু প্রয়োজন ফুরালে এড়িয়ে চলে। এবং এড়িয়ে চলতে চলতে একসময় আড়ালে চলে যায়।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে