Moti Lal Deb Nath মার্জনা চাওয়ার কিছু নেই। আপনি আপনার মতামত বলবেন - এটা আপনার অধিকার। তবে আমার পোস্টটি আর একবার মন দিয়ে পড়ে দেখুন। দেখবেন সেখানে আমার কথার সঙ্গে আপনার কথার তেমন কোনো পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র ভাষার এবং বাক্য গঠনের ধরনের পার্থক্য রয়েছে। আর মুখোশ খুলে দেয়ার কথা বলছেন? সম্ভবত এখানকার শাসকদলের কথা বলছেন। আমি তাদের মুখোশ খোলার কথাও বলেছি। কিন্তু সতর্ক থাকতে বলেছি মুখোশ খুলতে গিয়ে অপরাধী এবং অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছেন যারা, তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রতিবাদের ভার ও ধার যেন ভোতা হয়ে না যায়। সারাবছর চুপ করে থাকলে, আর যখন অন্য রাজ্যে বা অন্য কোনোখানে একই রকমের জঘন্যতম ঘটনা (ধর্ষণ, হত্যা এবং লুকিয়ে ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দেয়া) ঘটলে এবং মানুষ তার প্রতিবাদ করলে, তখন পিছনের কোন ঘটনাকে টেনে এনে বর্তমান ঘটনাকে তুলনা করতে গেলে মুখোশ খোলার ইচ্ছা ও সার্থকতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে যাবে। অর্থাৎ মুখোশ খোলার জন্য উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। সারাবছর পড়ে আছে, বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। আমি-আপনি প্রতিবাদ করছি না, মিছিল করছি না। এক কলম লিখছি না। অথচ যখনই আরেকটা অপরাধ ঘটছে এবং মানুষ প্রতিব
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ