সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধর্ষণ এবং প্রতিবাদ-এর ধরন

Sk Nasrat Ali  প্রথমেই আপনার মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

তারপর কিছু কথা বিনিময়.........

আপনার একটু বোঝার ভুল হচ্ছে বোধ হয়।

১) সংঘটিত দল হিসেবে কোন রাজনৈতিক দলকে ছাড় দেয়া হয়নি আমার মতামত এর মধ্যে। উল্টে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা বলা হয়েছে।


২) ভারতবর্ষের যে প্রান্তেই ধর্ষণ সংঘটিত হোক না কেন, যারাই এর সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে, আন্দোলন হবে, এটাই স্বাভাবিক। এর বিরুদ্ধে তো কোনো কথা আমি তো বলিনি!

কিন্তু সারাবছর চুপ করে থাকব, আর যখন অন্য একটা অন্যায় সংঘটিত হবে, তখন সেটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য পিছনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনাকে তুলে আনবো - সেটা এক ধরনের রাজনৈতিক চালাকি। আর এই চালাকির পরিণতির কথাই পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩) রাজনৈতিক দল বা রাজনীতি নিরপেক্ষ থাকার কথাই বা কোথায় বলা হলো? যা বলা হয়েছে তার মূল কথা সাধারণ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে রাজনৈতিক দলগুলোর উপর। সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক দলকে নিয়ন্ত্রণ করবেন? না রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে নিয়ে করবে? পরোক্ষে এই প্রশ্নই তোলা হয়েছে এখানে।

৪) রাজনৈতিক দল যদি জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে যেতে বাধ্য। ভারতের বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে এটা জলের মত পরিস্কার হয়ে যায়। গণতন্ত্রের মূল কথাই হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণই নিয়ন্ত্রণ করবে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে তার ভুলগুলো ধরিয়ে দেবে। কোন রাজনৈতিক দলের দল দাসে পরিণত হলে 'জনগণের ক্ষমতা' বলে আর কিছু থাকেনা। আর সেটা না থাকলে উল্টে গণতন্ত্রটাই 'সোনার পাথরবাটি' হয়ে যায়। আমার অন্তত তাই মনে হয়।

৫) সাধারণ মানুষ দল নিরপেক্ষ থাকবে, একথাই বা আমি কোথায় বললাম? সাধারণ মানুষ ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকবে। যে দল এটাকে মান্যতা দেবে জনগন তার পক্ষে থাকবে। সুতরাং দল নিরপেক্ষ মানুষ থাকার তো কোনো প্রশ্নই নেই? আমি তা বলিও নি।

 ৬)জনগন কখনও কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবে না। অন্যায় বা অপরাধের ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক দল তার সঙ্গে যুক্ত সেটা জনগণ দেখবে না। (তা দেখবে সেই দলের নেতা কর্মীরা। যদিও সেখানেও বিতর্ক ও প্রতিবাদের জায়গা থেকে এবং থাকা উচিত।) জনগণ দেখবে কোন দল জনগণের স্বার্থ রক্ষা করছে। জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা দিচ্ছে। যে দিতে ব্যর্থ হবে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে এটাই জনগণের দায়িত্ব।

যাই হোক, ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর অবশ্যই সাবধানে থাকুন।


Moti Lal Deb Nath মার্জনা চাওয়ার কিছু নেই। আপনি আপনার মতামত বলবেন - এটা আপনার অধিকার।

তবে আমার পোস্টটি আর একবার মন দিয়ে পড়ে দেখুন। দেখবেন সেখানে আমার কথার সঙ্গে আপনার কথার তেমন কোনো পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র ভাষার এবং বাক্য গঠনের ধরনের পার্থক্য রয়েছে।

আর মুখোশ খুলে দেয়ার কথা বলছেন? সম্ভবত এখানকার শাসকদলের কথা বলছেন। আমি তাদের মুখোশ খোলার কথাও বলেছি। কিন্তু সতর্ক থাকতে বলেছি মুখোশ খুলতে গিয়ে অপরাধী এবং অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছেন যারা, তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা প্রতিবাদের ভার ও ধার যেন ভোতা হয়ে না যায়।

সারাবছর চুপ করে থাকলে, আর যখন অন্য রাজ্যে বা অন্য কোনোখানে একই রকমের জঘন্যতম ঘটনা (ধর্ষণ, হত্যা এবং লুকিয়ে ধর্ষিতার দেহ জ্বালিয়ে দেয়া) ঘটলে এবং মানুষ তার প্রতিবাদ করলে, তখন পিছনের কোন ঘটনাকে টেনে এনে বর্তমান ঘটনাকে তুলনা করতে গেলে মুখোশ খোলার ইচ্ছা সার্থকতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে যাবে। অর্থাৎ মুখোশ খোলার জন্য উপযুক্ত সময়ে নির্বাচন করতে হবে। সারাবছর পড়ে আছে, বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। আমি-আপনি প্রতিবাদ করছি না, মিছিল করছি না। এক কলম লিখছি না। অথচ যখনই আরেকটা অপরাধ ঘটছে এবং মানুষ প্রতিবাদ করছে তখনই মুখোশ খোলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে? এই পথ সঠিক নয় বলেই আমার ধারণা। এমন কাজ করলে অপরাধী (ধর্ষণকারীকে) এবং অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করছে যারা (প্রশাসনকে), তাদের সুবিধা করে দেয়া হয়। এটাই আমার বক্তব্যের মূল কথা। 

আমার বিবেচনায় ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা এবং গভীর রাতে গোপনে ধর্ষিতার লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ যারাই করবে, তাদের সঙ্গে আমার কন্ঠও গর্জে উঠবে। সেখানে কোন দল এবং তার রাজ্যে একই ধরনের ঘটনা ঘটার দৃষ্টান্ত থাকা সত্ত্বেও আমি তাদেরকে সঙ্গে নেব। অপরাধ মোকাবেলায় তারাও এখানে একটি শক্তি। এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে এই শক্তিকে ব্যবহার করা কখনোই অনৈতিক বলে বিবেচিত হতে পারে না।

আবার তাদের (এ রাজ্যের শাসক দলের) বিরুদ্ধে যখন একই অভিযোগ উঠবে তখনও আমি একই অবস্থান নেব। অর্থাৎ অন্য দলের প্রতিবাদকে কোন অজুহাতে প্রশ্নচিহ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবো না। তাদেরকেও সঙ্গে নিতে হবে। বিষয়টা যখন ধর্ষণ এবং হত্যা, তারপর তাকে ধামাচাপা দিতে প্রশাসন নির্লজ্জভাবে কাজ করবে তখন এই নীতি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য।

অন্য কোনো রাজনৈতিক ঘটনার ক্ষেত্রে এই ধরনের নীতি গ্রহণ করা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু মনীষা বাল্মীকির ক্ষেত্রে যা ঘটেছে সেক্ষেত্রে এ বিতর্ক অসঙ্গত।

মনে রাখতে হবে, ঘটনা শুধুমাত্র ধর্ষণ ও হত্যা নয়, সঙ্গে রয়েছে বর্ণবাদের মত একটি নোংরা এবং সাম্প্রদায়িক মানসিকতার অমানবিক ধ্যান ধারণাকে প্রশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা।

এক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্র স্বার্থের খাতিরে অন্যায়ের না করে চুপ করে থাকাকে নয়, অন্য ঘটনাকে সামনে এনে বর্তমান ঘটনাকে লঘু করে দেওয়ার চেষ্টার বিষয়টিকে।

আশা করি আমার মতামত স্পষ্ট করতে পেরেছি।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন