সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বামপন্থী কারা?

বামপন্থী তো তারাই, যাদের কথায়, যাদের ব্যবহারে, বিতর্কের সময়ে শব্দচয়নে যুক্তি থাকে, তথ্য থাকে, আর থাকে অহংকারহীন বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ। যা দেখে অথবা শুনে একজন অবামপন্থী মানুষও মুগ্ধ হয়ে যায়। বামপন্থাকে ভালবেসে ফেলে। 

আপনারা যারা বিতর্ক করছেন, আমার মনে হচ্ছে না, তারা বামপন্থার জন্য, বামপন্থীদের দ্বারা বামপন্থার কথা উচ্চারণ করছেন। প্রায় অধিকাংশের কথার মধ্যেই নিজের মধ্যে বামপন্থী মানসিকতা থাকার জন্য অহংকার বোধ ঝরে পড়ছে। কে কত বড় বামপন্থী তা প্রমান করা, আর প্রমাণ চাওয়ার অহংকার আছড়ে পড়ছে।

মার্জনা করবেন,  এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বামপন্থী মানুষদের জন্য বড়ই বেমানান। এই বিতর্ক বামপন্থার স্বাস্থ্যহানি ছাড়া আর কোন কাজে আসবে না।

আমার মনে হয় এবার আপনাদের থামা উচিত। এত সুন্দর একটা পোস্টকে কেন্দ্র করে যে উচ্চমানের আলোচনা এবং তা যে মার্জিত ভাষায় হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না বলেই আমার ধারণা।

বামপন্থীদের বক্তব্য, বক্তব্য প্রকাশের ভঙ্গি এবং তার দৃষ্টিকোণ যদি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে আলাদা না হয়, তাহলে কীভাবে সাধারণ মানুষ আমাদেরকে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে এবং তাদের কর্মীদের থেকে আলাদা করবে? আর আলাদা যদি না-ই করতে পারে, তবে আমার-আপনার পক্ষে কেন তারা আসবেন?

আমি-আপনি যখন একটা ওপেন প্লাটফর্ম-এ কথা বলছি, তখন তা দেখে যদি মনে হয় যে একদল মানুষ পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে, রাজনৈতিক কোনো এক রাষ্ট্রদর্শনকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার জন্য, তখন তা বড়ই হাস্যকর এবং একইসঙ্গে বেদনাদায়ক হয়ে ওঠে। যারা পড়ছেন আপনাদের কথা, তারা কীভাবে আপনাদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন? যারা কথা বলছেন তারা প্রত্যেকেই দাবি করছেন নিজেরা বামপন্থী অর্থাৎ আলোচনা চলছে ভাইয়ে ভাইয়ে। অথচ আলোচনার ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে দুই প্রভাবশালী মাতব্বরের মধ্যে কে কত বড় তা বুঝতে এবং বোঝাতে লড়াই চলছে।

একজন বামপন্থী মানুষ হিসেবে এভাবে আলোচনা না করার জন্য অনুরোধ রাখছি। সেইসঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আমার কথাগুলোকে 'জ্ঞান দেয়া'র চেষ্টা বলে ভাববেন না। সমব্যথী এবং সহযাত্রী হিসেবে আমার মতটুকু শুধু আপনাদের সামনে রাখলাম।

প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন