সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ক্ষুদ্র বলা মানেই ছোট করা বোঝায় না : পর্ব - ২

শেখ আবুল কালাম আজাদ অহেতুক বিতর্ক উচিত নয়। ঠিকই বলেছেন। কিন্তু বিতর্ক বিষয়টা খুবই জরুরী একটা বিষয়। কারণ, বিতর্ক মানুষকে সমৃদ্ধ করে, চেতনার মান বাড়িয়ে দেয়।

আপনার সঙ্গে আমার যে বিতর্ক, সেটা যদি  অহেতুক হয়, তবে তার দায় কিন্তু আমার না। কারণ, সেটার আপনিই সূচনা করেছেন। আশাকরি মানবেন।

আপনার মতে 'ছোট' শব্দটি এখানে জুতসই হত। হয়তো হতো। সেটা আপনার মত। আপনার মতকে অসম্মান করার স্পর্ধা আমার নেই। এই শব্দ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমারও কোন দ্বিধা থাকার কথা নয়। কারণ, আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে ছোট (অসম্মান) করা। আমার ব্যবহার করা 'ক্ষুদ্র' শব্দটি আপনাকে কষ্ট দিয়ে দিয়েছে জেনে ব্যাখ্যা দেওয়াটা আমার জরুরী ছিল। এটা আমার দায়িত্ব বা বক্তব্যও বটে। তাই দিয়েছি।

কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন কি?

১) 'ক্ষুদ্র' শব্দের জায়গায় 'ছোট' শব্দটা ব্যবহার করলে আপনি হয়তো খুশি হতেন কিন্তু অন্য কেউ যে অখুশি হতেন না তার গ্যারান্টি কোথায়?

২) ক্ষুদ্র এবং ছোট - দুটো আলাদা শব্দ। কোনটা কোথায় ব্যবহার হবে সেটা নির্ভর করে বক্তব্য প্রকাশের মোটিভের ওপর এবং বিষয়ের-এর প্রেক্ষাপট-এর উপর (আমি তার ব্যাখ্যা আগেই দিয়েছি।) আমি এখানে আয়তন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে শব্দটি ব্যবহার করেছি। এই দুটো দিক থেকে বিচার করলে দেখবেন ভারতের থেকে প্রতিবেশীদের অবস্থান ছোট নয়, ক্ষুদ্রই। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। ধরুণ, কারো আয়তন 100 বর্গফুট, আর কারও 90। এ দুটোর ক্ষেত্রে তুলনার জন্য ছোট শব্দটাই প্রযোজ্য। ক্ষুদ্র শব্দটা এখানে যায় না। অন্যদিকে কারও আয়তন যদি হয় 90 এর জায়গায় 10 বর্গফুট। তখন 100 সঙ্গে তুলনা করলে 10 অবশ্যই ক্ষুদ্র, ছোট নয়। এক্ষেত্রেও যদি ছোট শব্দটা ব্যবহার করা হয়, তবে অভিধানে ক্ষুদ্র এবং ছোট শব্দ দুটির আলাদা অবস্থান অর্থহীন হয়ে পড়ে।

এই যে আলোচনাটা করলাম, এটা তাত্ত্বিক আলোচনা হল। এই আলোচনা সাধারণ মানুষের কাছে মূল্যহীন। এক্ষেত্রে আপনার ব্যবহার করা শব্দটিই আমি ব্যবহার করতে পারি এবং বলতে পারি 'অহেতুক'। সাধারণ মানুষের কাছে এগুলো সত্যিই অহেতুক। এত গভীরে গিয়ে ভাবার অবকাশ সাধারণ মানুষের থাকে না। আর আমি যেহেতু সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যেই আমার পোস্টটা করেছিলাম, তাই এত গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণের প্রয়োজন বোধ করিনি। ছোট্ট করে একটা সম্ভাব্য সত্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম মাত্র।

তাই অহেতুক হলেও আলোচনা টা আরেকবার করতে হলো আপনার শব্দগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখে।

আশাকরি বিতর্কটা আর অহেতুক থাকলো না। হেতু যুক্ত বিতর্কে পরিণত হল। কি বলেন?😀

ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন। অবশ্যই বন্ধু হয়ে সঙ্গে থাকুন। ♥️♥️

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন