সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ড. কালাম, ধান্দাবাজি বীর পূজায় বিশ্বাস করতেন না

Bhabani Sankar Chatterjee এটা কবিতা। বলা ভালো ছড়া। অবশ্যই রাজনৈতিক ছড়া।

ভুল বুঝেছেন। ব্যক্তি আক্রমণ করা আমার কাজ না। সিস্টেম এর দুর্বলতা ও অসঙ্গতি তুলে ধরাই এর মূল উদ্দেশ্য।

পুরানো কাসুন্দি ঘাটা এ পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। এটা সমকালীন ছড়া। সময়কে ধরাই এর উদ্দেশ্য। এখানে কাসুন্দি ঘাটার সুযোগ নেই বললেই চলে।

পুরানো কাসুন্দি ঘাঁটতে হলে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখতে হবে। চাইলে নিশ্চয় ইতিহাস বিষয়ক পোস্ট যখন করবো তখন হবে। তৈরি থাকুন। আমি অপেক্ষায় থাকলাম।

আর আজ শুধু ড. কালামের জন্মদিন নয়। অসংখ্য ভারতীয় সন্তান এই দিনে জন্মেছেন। যাঁদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাঁরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং করে গেছেন। অসংখ্য মানুষ যাঁরা কৃষক, ক্ষেত মজুর, শ্রমিক এবং অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। দেশের সেবা করে যাচ্ছেন। সেবা করে গেছেন। ভুলে যাবেন না তাঁদের অনেকেরও আজ জন্মদিন।

ড. কালামকে ভালো করে পড়লে জানবেন তিনি নিজেকে এঁদেরই একজন বলে ভাবতেন। কারণ, তিনি জানতেন, একজন বিজ্ঞানীর চেয়ে দেশমাতার সেবায় একজন কৃষক বা শ্রমিকের অবদান কোনও অংশে কম নয়।

আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাঁর কথা গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করি কিন্তু তাঁর দর্শনকে অনুসরণ করি না। এটা আমাদের এক ধরণের ধান্দাবাজি বীর-পূজা।

এই ধরণের বীরপূজার তিনি বিরুদ্ধে ছিলেন বলেই আমি জানি। আমিও সেভাবেই ভাবি।

চিন্তা করবেন না। মতপার্থক্য হলেই বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে যায় এ বিশ্বাস আমার মধ্যে নেই। আপনি যতদিন চাইবেন ততদিনই আমার বন্ধু তালিকায় থাকতে পারবেন। আপনি ছেড়ে না গেলেই হল।

তবে অবশ্যই সৌজন্য, শালীনতা, বজায় রাখার দায় ও দায়িত্ব দুজনকেই মেনে চলতে হবে। যুক্তি, তথ্য,  বুদ্ধিবিচারের বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুক্তিবাদী পথ ধরেই আলোচনায় নামতে হবে।

তাই ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন এবং অবশ্যই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে থাকুন।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন