সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

প্রসঙ্গ ঔরঙ্গজেব জিজিয়া কর

Tapas Das আমাদের ইংরেজ প্রভুরা যেখানে যতটা বিকৃত করার প্রয়োজন মনে করেছিলেন ততটাই করেছিলেন। তারা যতটা বিকৃত করেছিলেন ততটাই আমরা বিকৃত বা ভুল জেনেছিলাম। আর বিকৃত টুকু তো অবশ্যই ভুল। যেমন ধরুন, আপনি জিজিয়া করের কথা বলেছেন। একটু আগে কোন একজনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। সেটাই এবার শুনে নিন। কতটা কিভাবে বিকৃত করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী নীতিকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য বিভাজনের নীতি প্রয়োগ করার জন্য কীভাবে কতটুকু বিকৃত করেছেন। হিন্দুদের জিজিয়া কর দিতে হয়েছে। ওরঙ্গজেব নতুন করে চালু করেছেন। এ কথা মিথ্যা কেউ কি আপনাকে বলেছে? কেউ বলেননি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে বিকৃতিটা কোথায়? সেটাই আপনাকে কেউ জানায় নি। ১) আপনাকে জানানো হয়নি, হিন্দুদের যেমন জিজিয়া কর দিতে হতো, তেমনি মুসলিমদের যাকাত দিতে হতো। এটা জানালে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভাজন করা যেত না। অনতিবিলম্বেই আরেকটা সিপাহী বিদ্রোহের সুচনা হত। যেখানে হিন্দু মুসলমানের মিলিত শক্তি ব্রিটিশদের প্রায় পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করে ফেলেছিলো। শিখসহ কয়েকটি রেজিমেন্ট বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় সাময়িকভাবে তা আটকে গেছিল। ২) আপনি দেশে

মধ্যযুগের ইসলামিক শাসকদের দয়া-দাক্ষিণ্যে হিন্দুরা টিকে ছিল এ কথা কেউ বলে না

Pritam Roy মধ্যযুগের ইসলামিক শাসকদের দয়া-দাক্ষিণ্যে হিন্দুরা টিকে ছিল এ কথা কেউ বলে না। এই প্রথম আপনার মুখ দিয়ে শুনলাম। ১) মধ্যযুগের ইসলামিক শাসকরা মানবিক মূল্যবোধ, সাম্যবাদী মনোভাব নিয়েই এদেশে এসেছিলেন। এই মনোভাবের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের মানুষের বিভেদ নয় পারস্পরিক সহমর্মিতা ই মানুষের আসল ধর্ম। এই মতের বিশ্বাসই তাদেরকে মানবিক করে তুলেছিল। অমানবিক কোনো সিদ্ধান্ত তাঁরা নেন নি। এটাই টিকে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ। ২) ভারতবর্ষের অধিকাংশ সামন্ত প্রভুরা হিন্দু ছিলেন। কেন ছিলেন? কারণ মুসলিম শাসকদের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবনা আগাগোড়াই কার্যকর ছিল। তাই রাজ্য জয় করার পরও হিন্দু প্রশাসক নিয়োগ করেছিলেন। যে সমস্ত হিন্দু প্রশাসন তাদের বশ্যতা স্বীকার করেনি, তাদের সরিয়ে বিশ্বস্ত লোককে প্রশাসক নিয়োগ করার প্রচুর উদাহরণ আছে। সুতরাং আপনার যুক্তি যথাযথ নয়। ৩) মারাঠা থেকে শুরু করে সারা ভারত জুড়ে হিন্দু শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল তা অস্বীকার করার চেষ্টা করাটা খুবই হাস্যকর। ভারতের হিন্দু শাসকরাই তার প্রতিবেশী শাসককে আবার কখনো কখনো নিজের রাজ্যের প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করার জন্য মুসলিম

বঙ্কিমচন্দ্রের ভারতীয় জনজাতিকে আর্য ও অনার্য ---এভাবে ভাগ করা কীভাবে এবং কতটা সংগত?

Ranjankanti Bhattacharjee ইতিহাস বলছে সারা পৃথিবীর মানুষই এখন মিশ্র জনগোষ্ঠীর। আর এই মিশ্রণ হঠাৎ নয়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই ঘটে চলেছে। এবং এখনো তা অব্যাহত। এই ব্যাখ্যা আসলে নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা। মানব জাতির বিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় এই নৃতাত্তিক ব্যাখ্যা প্রযোজ্য। আমাদের মনে রাখতে হবে, নৃতত্ত্ব আর রাষ্ট্র তত্ত্ব এক জিনিস নয় । রাজনীতিকরা রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য যেমন নৃতত্ত্বকে কখনো কখনো কাজে লাগিয়েছেন, তেমনি একে উপেক্ষা করার নজিরও কম নেই। পৃথিবীজুড়ে রাজনৈতিক স্বার্থে নৃতত্ত্বকে উপেক্ষা করার প্রবণতাই বেশি। তাই বঙ্কিমচন্দ্র যে ব্যাখ্যা করেছেন সেই ব্যাখ্যার মূল ভিত্তি হচ্ছে রাজনৈতিক। তাই রাষ্ট্রতত্ত্বের নিরিখে এর বিচার করতে হবে, নৃতাত্ত্বিক নিরিখে নয়। আসলে যারা নিজেদের আর্য বলে দাবি করে, তারা নিজেরাও নিখুঁত আর্য নয়। বর্তমান পৃথিবীতে কোথাও নেই। কিন্তু কিছু মানুষ নিজেদের আর্য বলে পরিচয় দিয়ে পৃথিবীর ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। এই চেষ্টা হিটলার যেমন করেছিলেন, ভারতের ক্ষেত্রেও গুপ্ত যুগের পর থেকে তার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে তারা সংখ্যায় কম, কিন্তু ক্ষমতায়

সাম্প্রদায়িকতা : প্রসঙ্গ বাংলাদেশ।

পুরো উপমহাদেশ জুড়ে ধর্মীয় সংকীর্ণতা বাড়ছে। খুবই আশঙ্কার কথা। দেশটাই তো ভাগ হলো সাম্প্রদায়িকতার জন্য । সুতরাং এটা নতুন কিছু নয়। মাঝে নিয়ন্ত্রিত ছিল। এখন আবার বাড়ছে। এটা শুধু বাংলাদেশ না, সমগ্র উপমহাদেশ জুড়েই এই ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর পুরো কলকাঠি নাড়ছে এই সমস্ত এলাকার ধর্মীয় মৌলবাদীরা। তুমি জানলে অবাক হবে যে এই কলকাঠি নাড়া মাথা যারা, তাদের মধ্যে গোপনে যোগসাজস (হিন্দু+মুসলিম মৌলবাদীর মধ্যে) আছে। দুই সম্প্রদায়ের মৌলবাদীরাই যোগসাজশ করেই এই কাজ চলছে। রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলই প্রধান উদ্দেশ্য। কীভাবে নেবে জানিনা। কয়েকটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ১) ভালো লাগছে এটা জেনে যে, ওদেশের দেশের সরকার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। একটা কলেজের নাম একজন হিন্দুর নামে করার লড়াই। ২) আর এখানে হচ্ছে উল্টো। পশ্চিমবঙ্গের কথা বলছি না। এখানকার মানুষ এখনো অনেক বেশি অসাম্প্রদায়িক। তবে দিন দিন হারটা(%) কমছে। ৩) সমগ্র দেশের নিরিখে দেখলে খুবই ভয়ংকর। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উপর তার প্রভাব পড়বেই। এখানে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির হচ্ছে, স্টেশনের নাম পাল্টাচ্ছে, স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে যাচ্ছ
জানিনা নূরদা ঠিক কী বলেছেন। কারো যদি মনে হয় যে, রবীন্দ্রনাথ নজরুলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সঞ্চয়িতা লিখেছেন, তিনি তো সে কথা বলতেই পারেন। এটাই তো স্বাভাবিক। আবার কারো যদি মনে উল্টো কথা, তিনিও যুক্তি এবং তথ্য দিয়ে সেটা খন্ডন করতে পারেন। সেটাও তেমনি স্বাভাবিক।  এরমধ্যে গৌতম বাবু রবীন্দ্রবিদ্বেষ কোথায় খুঁজে পেলেন? সাম্প্রদায়িকতাই বা এর সঙ্গে কীভাবে সঙ্গে সম্পর্কিত হলো? গৌতম বাবুর যুক্তিগুলো বেশ হাস্যকর মনে হল। ১) গৌতম বাবুর মনে আছে নূর সাহেব শঙ্খ ঘোষের প্রতি বিষোদগার করে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। মনে হওয়ার উপর ভিত্তি করে কেউ কারো বিশ্বাস ভাঙতে পারে? আপনার মনে হওয়াটা যে ভুল নয়, তার গ্যারান্টি কোথায়? ২) আমার মনে হয় আপনার অপেক্ষা করা উচিত ছিল। নুরদা লেখার পর আপনি যুক্তি ও তথ্য দিয়ে তাঁর সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদ করতে পারতেন? এটাই তো প্রকৃত পথ। তা না করে উনি ওঁনার মনে হয়েছে বলে একজনের বিরুদ্ধে এমন কথা ছেপে প্রকাশ করতে পারেন? জানিনা। আমি কোন যুক্তি খুঁজে পেলাম না। ২) নূরদা যখন বলেছিলেন আপনি লিখবেন না, আপনি বলছেন তখন আপনি কথা দেননি। বেশ মেনে নেওয়া গেল। কিন্তু

সংখ্যালঘুদের কর্তব্য

সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক দলগুলির তাঁবেদারি বন্ধ করে মেধার উন্মেষ, অনুসন্ধান এবং বিকাশে মনোযোগ দেয়া উচিৎ। একমাত্র তবেই সংখ্যালঘুর অধিকার সুরক্ষিত হওয়া সম্ভব।

দেশপ্রেম ও মানুষ হত্যা

 দেশের মানুষকে বাদ দিয়ে দেশ প্রেম হয় না। তাই সাধারণ মানুষ মেরে যারা দেশপ্রেমের প্রমাণ দেন, তারা হয় উন্মাদ, না হলে শয়তান।

ধর্ষণ ও আমাদের অবস্থান

Biru Barman ধর্ষণ ধর্ষণই। সেটা এই রাজ্যে না ও রাজ্যে এটা বিচার করার মধ্যে রাজনীতি থাকে, মানবিকতা থাকে না। আপনি কি করে বুঝলেন এ রাজ্যের ধর্ষণের কেউ বিরোধিতা করেন না? এ রাজ্যের ধর্ষণের বিরোধিতা করবেন। খুব ভালো কথা। নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলো সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তুললে তার বিরোধিতা করেন কী করে? আপনারাও তো উচিত প্রতিবাদে সামিল হওয়া। তবেই তো প্রমাণ হবে যে আপনি রাজনীতি করছেন না ধর্ষণ নিয়ে। একটা অপরাধের প্রেক্ষিতে আরেকটা অপরাধকে সামনে এনে বিরোধিতা করলে সেটা অপরাধ ঢেকে দেয়ার চেষ্টারই সামিল হয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক শাসকের ভালকে ভাল, আর মন্দকে মন্দ বলার সাহস থাকতে হয়। তবেই আপনি প্রকৃত নাগরিক হতে পারবেন। পক্ষপাতিত্ব করা আমাদের কাজ নয়, এটা আমাদের মনে রাখা উচিত। রাজনীতির জন্য রাজনীতি রাজনীতিকরা করেন। সাধারণ মানুষও যদি তাই করে তাহলে রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এটা আমরা ভুলে যেতে বসেছি। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের এটা একটা বড় রোগ, যা মহামারির আকার নিয়েছে। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অন্যায়কে অন্যায় বলে সাহস তৈরি করুন। আপনার জন্য একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। Biru Barm

সাম্প্রদায়িকতা ও বঙ্কিমচন্দ্র

Goutam Ray আমি কীভাবে বঙ্কিমচন্দ্রকে অপমান করলাম, যদি একটু বুঝিয়ে বলেন কৃতজ্ঞ থাকব। যদি Shubhra Kanti Bhattacharyya  এর মতামতের সঙ্গে সহমত পোষণ করাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তবে কিছু কথা বলার থাকে। আসলে ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে যতটুকু পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছি তাতে বঙ্কিমচন্দ্রকে বুঝতে আমার ভুল হওয়ার কথা নয়। আসলে উপনিবেশিক শাসনকালে পাশ্চাত্য শিক্ষার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে একদিকে যেমন ইউরোপীয় যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ, আইনের শাসন ইত্যাদি ধারণাগুলো প্রবেশ করেছিল, তেমনি ইউরোপীয়দের বিশেষ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্যায় ভাবে বাংলার রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করা এবং তাকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্য হিন্দু মুসলিমের মধ্যে ফাটল ধরানোর যে অপচেষ্টা তারা করেছিল তারও প্রভাব তাদের মধ্যে প্রবেশ করেছিল। রাজনৈতিক ক্ষমতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এই চক্রান্তের সঙ্গে বাংলাদেশের বণিক সম্প্রদায়ের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী (জগৎ শেঠ, রাজা রাজবল্লভ প্রমূখ)  সাম্প্রদায়িক  চেতনার জন্ম দিয়েছিল তা মিলেমিশে এক ভয়ঙ্কর জাতিবিদ্বেষী চেতনার জন্ম হয়। শুধু বঙ্কিমচন্দ্র নয়, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থ

ধর্ষণ ও রাজ্য রাজনীতি

Biru Barman ধর্ষণ ধর্ষণই। সেটা এই রাজ্যে না ও রাজ্যে এটা বিচার করার মধ্যে রাজনীতি থাকে, মানবিকতা থাকে না। আপনি কি করে বুঝলেন এ রাজ্যের ধর্ষণের কেউ বিরোধিতা করেন না? এ রাজ্যের ধর্ষণের বিরোধিতা করবেন। খুব ভালো কথা। নিশ্চয়ই করবেন। কিন্তু অন্য রাজ্যগুলো সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তুললে তার বিরোধিতা করেন কি করে? আপনারাও তো উচিত প্রতিবাদে সামিল হওয়া। তবেই তো প্রমাণ হবে যে আপনি রাজনীতি করছেন না ধর্ষণ নিয়ে। একটা অপরাধের প্রেক্ষিতে আরেকটা অপরাধকে সামনে এনে বিরোধিতা করলে সেটা অপরাধ ঢেকে দেয়ার চেষ্টারই সামিল হয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক শাসকের ভালকে ভাল আর মন্দকে মন্দ বলার সাহস থাকতে হয়। তবেই আপনি প্রকৃত নাগরিক হতে পারবেন। পক্ষপাতিত্ব করা আমাদের কাজ নয় এটা আমাদের মনে রাখা উচিত। রাজনীতির জন্য রাজনীতি রাজনীতিকরা করেন। সাধারণ মানুষও যদি তাই করে তাহলে রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এটা আমরা ভুলে যেতে বসেছি। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের এটা একটা বড় রোগ, যা মহামারির আকার নিয়েছে। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। অন্যায়কে অন্যায় বলে সাহস তৈরি করুন। আপনার জন্য একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে