সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নভঙ্গ করলো কারা?

স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নভঙ্গ করলো কারা? মেধা যখন অহংকার, উন্নাসিকতা আর ঔদ্ধত্যের জন্ম দেয়, তখন তা অমানবিক ও সৈরাচারী রূপ ধারণ করে। যাদবপুরে মেধা বিপথগামী হচ্ছে। মেধার ওপর যুক্তিবোধ, বিজ্ঞানমনস্কতা ও মানবিকতার পালিশ না পড়লে মেধায় জং পড়ে। ফলে সমাজের ওপর মেধার বিষক্রিয়া শুরু হয়। সাধারণ মানুষ সেই বিষক্রিয়ার শিকারও হয়। স্বপ্নদীপ সেই জংপড়া মেধার বিষক্রিয়ার শিকার। ধণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ধন-বৈষম্য ও তার দোসর বর্ণ-বৈষম্য মানুষকে অসামাজিক করে তোলে। অসম্ভব ব্যক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতার জন্ম হয় এই বৈষম্যের কারণে; যা নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে আপন করে ভাবার বা বিশ্বাস করার মানবিক মূল্যবোধগুলোর বিকাশের পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। ফলে মানবিক মূল্যবোধ নামের এই মূল্যবান মানবীয় গুণের বিকাশ ঘটে না মানুষের মধ্যে। মানুষ ধীরে ধীরে স্বৈরাচারী অমানুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করে। মেধার অহংকার এই অমানুষকে ভয়ংকর হিংস্র পশুতে পরিণত করে। ফলে স্বপ্নদ্বীপদের মত পিছিয়ে পড়া মেধাবীদের স্বপ্ন নির্দয়ভাবে ধর্ষিত হয়। একা বিচার ব্যবস্থার পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ধন-বৈষম্য না কাটলে এ রোগ নির্মূল হওয়ার নয়। মানু

শিক্ষা নিয়ে কর্পোরেট পুঁজির দুর্নীতি ও তার বৈধতা

কর্পোরেট পুঁজির (সংস্থার) দুর্নীতি ও তার বৈধতা কীভাবে? Corruption of corporate capital and its legitimacy ভর্তির যোগ্যতা অর্জন ছাড়াই টাকার বিনিময়ে যদি ‘শিক্ষা’ কেনা যায়, তবে টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনলে দোষ হয় কীভাবে? কর্পোরেট সংস্থা টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এদের কারণেই অযোগ্য অথচ পয়সাওয়ালা ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পাচ্ছে। তারপর ভালো মার্কস নিয়ে পাস সার্টিফিকেট পেয়ে যাচ্ছে। বলা ভালো এই মার্কশিট দেখিয়েই সে চাকরি নিয়ে নিতে পাচ্ছে। এটা কি অর্থ দিয়ে চাকরি কেনা নয়? এর বিরুদ্ধে কথা ওঠে না কেন? এটা যদি দোষের না হয়, টাকার বিনিময়ে চাকরি নিলে কোন মুখে গেলো গেলো করে উঠি। তার মানে কি এই নয় যে, কর্পোরেট সংস্থা তাদের প্রতিষ্ঠানে অর্থ নিয়ে অযোগ্য লোককে চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে তা বৈধ হয় যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ সরকারি স্কুল কলেজ থেকে মধ্যম মানের রেজাল্ট করে মেধা তালিকায় না এঁটে উঠতে পেরে কিছু টাকা দিয়ে চাকরি নিলে সেটা দোষের হয়ে যাচ্ছে! কিন্তু কোন যুক্তিতে? দুটোই তো সমান অনৈতিক কাজ। কর্পোরেট মিডিয়া করলে বৈধ আর সাধারণ মানুষ করলে সেটা দুর্নীতি হয়ে গেল! কর্পোরেট ম

ভারত কি সত্যিই গনতান্ত্রিক দেশ?

ভারত কি সত্যিই গনতান্ত্রিক দেশ? Is India a true democratic country? গণতন্ত্র নামক রাজনৈতিক দর্শনের জন্ম হয়েছে মানুষের মৃত্যুকে এড়িয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের উপায় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে বলে আমরা দাবি করি, সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ বলে গর্ব করি। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে দেখছি মানুষের মৃত্যু ছাড়া (কখনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কখনও অধিকার আদায়ের নামে খুনোখুনি) গণতন্ত্র কায়েম হয় না। তাহলে আমরা শিক্ষিত দাবি করি কোন যুক্তিতে? গণতান্ত্রিক দেশ বলেই বা গর্ব করি কোন মুখে? সবচেয়ে লজ্জাজনক (এবং বিপদ্জনক বটে) বিষয় হচ্ছে সরকার ও প্রশাসন দাঁড়িয়ে থেকে এটা হতে দিচ্ছে ( মনিপুর, হরিয়ানা সাম্প্রতিকতম উদাহরণ) এবং নাগরিক সমাজের বৃহত্তম অংশ যাঁরা নিজেদের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ বলে দাবি করেন, তাঁরা বিষয়টিকে চুপচাপ দেখে যাচ্ছেন; যা অতীতে কখনও দেখা যায়নি। নিজের ঘরে আগুন না লাগা অবধি কি আমাদের হুশ হবে না? প্রতিবেশীরা জ্বলছে, পুড়ছে দেখেও এমন নিরিকার আছি কীভাবে?

গর্ব ও অহংকারের মধ্যে পার্থক্য

গর্ব ও অহংকারের মধ্যে পার্থক্য কী? Difference between pride and arrogance সাফল্য ও সামর্থ্য মানুষকে গর্বিত করে, অহংকারীও করে। গর্বিত করলে আপনি শিক্ষিত আর অহংকারী করলে আপনি শিক্ষাল্পতায় ভোগা, লেখাপড়া জানা একজন তোতা পাখি মাত্র। ‘গর্ব’ আর ‘অহংকারে’র মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমরা অধিকাংশ সময় এটা গুলিয়ে ফেলি। কখনও জেনে বুঝে, কখনও বা না জেনেই। জেনে বুঝে করার সংখ্যা কম। কারণ, জানলে সাধারণত কেউ ভূল করে না। অর্থাৎ না জেনে ভুল করার সংখ্যা বেশি। এদেরকে শিক্ষাল্পতায় ভোগা মানুষ বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা পার্থক্যটা আছে এটা জেনে বুঝেও ভুল করে, তাদের অশিক্ষিত বলে। এখন আমি কী তা আমাকেই নির্ধারণ করতে হবে। ‘গর্ব’ কিম্বা ‘অহংকার’ আমরা বিভিন্ন কারণে করে থাকি। তা কখনও অর্থের অধিকারী হওয়ার কারণে, কখনও উচ্চশিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করার কারণে কিম্বা কখনও কোনো বিশেষ বিষয়ে সামর্থ্য বা সাফল্য অর্জন করার কারণে। যে-কারণেই আমার মধ্যে এই বোধ জন্মাক না কেন, বিষয় বুঝে তার প্রয়োগ যদি ঠিকঠাক ভাবে করতে না পারি, তবে নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করতে পারি না। মনে রাখতে হবে, সাফল্য ও সামর্থ্য মানুষকে গর্বিত করে, অহংকারীও করে

অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থার সংকট

অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থার সংকট আপনি যদি দাবি করেন, আপনি একজন আধুনিক মানুষ, তবে তা শুধু মুখে বললেই হবে না। আপনাকে আধুনিকতার কিছু ধারণাকে নিজ চিন্তায় ধারণ করতে হবে এবং তাকে মেনে চলার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। আধুনিকতার এই ধারণার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন, যুক্তিবাদী হওয়া, বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া, মানবতাবাদী ও সাম্যবাদী হওয়া। এবং এই ধারণাগুলোর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র, সমাজ কিংবা ধর্ম দর্শন ও অর্থ ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখা। সেই সঙ্গে এই ব্যবস্থাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের দায়বদ্ধতাকে স্বীকার করা। শুধু স্বীকার নয়, এই দর্শনকে মানব সমাজের কল্যাণে প্রয়োগ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া। কারণ, এগুলোর সমর্থক হওয়া ও তাকে সুরক্ষা দেওয়ার অঙ্গীকারের মধ্যেই নিহিত রয়েছে ব্যক্তি মানুষের স্বাধীনতা তথা মানব মুক্তির মূল মন্ত্র। তাই মানব মুক্তির আর এক নাম হল আধুনিকতা।  প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, আধুনিকতার সঙ্গে নগ্নতা কিম্বা স্বেচ্ছাচারিতার কোন সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক আছে কেবলমাত্র মানব কল্যাণের। তাই, যা মানুষের কল্যাণ করে, তা-ই আধুনিকতা। এখন প্রশ্ন হল এই মানব মুক্তির সামনে সবচেয

পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী?

 পারিবারিক শান্তির চাবিকাঠি কী? What is the key to family peace পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি হল, পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের পরস্পর পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস রাখা ও বিশ্বস্ত থাকা। এই বিশ্বাস কারো অন্তরে তখনই জন্মায়, যখন অন্যজন তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। এই পারস্পরিক বিশ্বাসই জন্ম দেয় শর্তহীন ভালোবাসার, যা পারিবারিক শান্তির মূল চাবিকাঠি।

ঈশ্বরের কি মৃত্যু আছে?

ঈশ্বরের কি মৃত্যু আছে? Does God have death? মানুষ যেদিন যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে উঠবে, সেদিন ঈশ্বর নামক অলৌকিক স্বত্বার মৃত্যু ঘটবে। কেননা, ১) ঈশ্বরের অস্তিত্ব নির্ভর করে মানুষের বিশ্বাসের ওপর। আর ২) যুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায় না। 

সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব

প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব। Rights and Responsibilities of Adult Children. সন্তানের যদি অধিকার থাকে, সে বাবা-মায়ের পরামর্শ শুনবে না; কারণ, সে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিক্ষিত হয়েছে (১৮ ক্রস করেছে), তবে তার দায়িত্ব হল এমন গ্যারান্টি তৈরি করা, যে সে জেনে বুঝে এমন কোন ভুল করবে না, যার দ্বারা তার ও তার পরিবারের কোন প্রকার ক্ষতির সম্মখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের যদি অধিকার থাকে, সে বাবা-মায়ের পরামর্শ শুনবে না, কারণ, সে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিক্ষিত হয়েছে (১৮ ক্রস করেছে), তবে তার দায়িত্ব হল এমন গ্যারান্টি তৈরি করা, যে সে জেনে শুনে এমন কোন ভুল করবে না, যার দ্বারা তার ও তার পরিবার কোন প্রকার ক্ষতির সম্মখীন হতে পারে। কেননা সে দাবি করছে, সে বড় (প্রাপ্তবয়স্ক) হয়েছে এবং শিক্ষিত হয়ে উঠেছে। এবং বড় হয়ে যাওয়া ও শিক্ষিত মানুষ মাত্রই জানে, অধিকার ও দায়িত্ব পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। একটাকে অস্বীকার করলে অন্যটা পাওয়া যায় না। একই কথা বাবা মায়ের জন্যও সমান ভাবে প্রযোজ্য। কারণ, তিনিও একজন পিতা-মাতার সন্তান। সন্তানের অধিকার ও দায়িত্ব। ------xx-----

মানুষের ধর্ম কী?

মানুষের ধর্ম কী? What is the religion of man? আপনি যদি যেচে কারও উপকার করেন, আপনাকে সবাই ধান্ধাবাজ ভাববে। অথচ যেচে উপকার করাই মানুষের ধর্ম। মানুষের জন্য যেচে উপকার করার মানসিকতা না থাকলে মানুষের সঙ্গে অন্য প্রাণীর কোন পার্থক্য থাকে না। বিপদে পড়লে সব প্রাণীই শুধুমাত্র নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অন্যের পাশে এসে দাঁড়ানোর কোন তাগিদ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। একজন মানুষ যদি সেই নীতিই গ্রহণ করে, তবে তাকে অন্য প্রাণীর সঙ্গে আলাদা করব কীভাবে? চিন্তা করার ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতার ক্ষেত্রে মানুষ এগিয়ে আছে - এটা নিশ্চয় একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। এই চিন্তার ফসল হচ্ছে সমাজবব্ধ হওয়ার ইচ্ছা।  সমাজবব্ধ হওয়ার কারণেই মানুষ তার জীবনের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে পেরেছে। এখান থেকেই মানুষ একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর প্রেরণা পেয়েছে। এই ধরনের ভাবনার উৎস ভূমি হচ্ছে ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থা। এবং এই ব্যবস্থার বাহক হচ্ছে ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। ধনতান্ত্রিক অর্থ ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থা মানুষকে এক একজন পাষন্ডে পরিণত করে দিচ্ছে। এই অর্থ ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থা যত গেঁড়ে বসবে, মানুষের এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট

সত্য উপলব্ধির উপায়

 জগৎ ও জীবন সম্পর্কে সত্য উপলব্ধির উপায় Ways to Realize Truth জগৎ এবং জীবনের প্রকৃত সত্য (রহস্য) জানার একমাত্র হাতিয়ার হল প্রখর যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবতাবাদী চিন্তা চেতনার অধিকারী হওয়া। কেবলমাত্র অলৌকিক শক্তির ওপর বিশ্বাসে ভর করে তা অর্জন সম্ভব নয়।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে