সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গর্ব ও অহংকারের মধ্যে পার্থক্য

গর্ব ও অহংকারের মধ্যে পার্থক্য কী?

Difference between pride and arrogance

সাফল্য ও সামর্থ্য মানুষকে গর্বিত করে, অহংকারীও করে। গর্বিত করলে আপনি শিক্ষিত আর অহংকারী করলে আপনি শিক্ষাল্পতায় ভোগা, লেখাপড়া জানা একজন তোতা পাখি মাত্র।

‘গর্ব’ আর ‘অহংকারে’র মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আমরা অধিকাংশ সময় এটা গুলিয়ে ফেলি। কখনও জেনে বুঝে, কখনও বা না জেনেই। জেনে বুঝে করার সংখ্যা কম। কারণ, জানলে সাধারণত কেউ ভূল করে না। অর্থাৎ না জেনে ভুল করার সংখ্যা বেশি। এদেরকে শিক্ষাল্পতায় ভোগা মানুষ বলা যেতে পারে। কিন্তু যারা পার্থক্যটা আছে এটা জেনে বুঝেও ভুল করে, তাদের অশিক্ষিত বলে। এখন আমি কী তা আমাকেই নির্ধারণ করতে হবে।

‘গর্ব’ কিম্বা ‘অহংকার’ আমরা বিভিন্ন কারণে করে থাকি। তা কখনও অর্থের অধিকারী হওয়ার কারণে, কখনও উচ্চশিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন করার কারণে কিম্বা কখনও কোনো বিশেষ বিষয়ে সামর্থ্য বা সাফল্য অর্জন করার কারণে। যে-কারণেই আমার মধ্যে এই বোধ জন্মাক না কেন, বিষয় বুঝে তার প্রয়োগ যদি ঠিকঠাক ভাবে করতে না পারি, তবে নিজেকে শিক্ষিত বলে দাবি করতে পারি না। মনে রাখতে হবে, সাফল্য ও সামর্থ্য মানুষকে গর্বিত করে, অহংকারীও করে। গর্বিত করলে আপনি শিক্ষিত আর অহংকারী করলে আপনি শিক্ষাল্পতায় ভোগা, লেখাপড়া জানা একজন তোতা পাখি মাত্র। কারণ, গর্ব ইতিবাচক মনোভাব পোষণকারী শব্দ, কিন্তু অহংকার একটি নেতিবাচক এবং ব্যক্তিকেন্দ্রিক সাফল্যের বার্তাবাহক, যা ‘যৌথ প্রচেষ্টার ফসল’ - সাফল্যের এই আদর্শকে অস্বীকার করে।

শিক্ষা মানুষকে শৃংখল বা বেড়ী পরায় না, শৃঙ্খলা-পরায়ণ করে তোলে। এই শৃঙ্খলার অর্থ হল, নিয়ম মেনে চলা। প্রকৃতির নিয়ম হল বেসিক নিয়ম। তা অলঙ্ঘনীয়। এই নিয়মের ওপর ভিত্তি করে করে তৈরি হয় সমাজ বা রাষ্ট্রের নিয়ম। সেই নিয়মকে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং মেনে চলার কথা বলা হয়, জীবনযাপনকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করার জন্য। এই সব আইন লিপিবদ্ধ করতে গিয়ে জন্ম নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ, ভিন্ন ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করার জন্য। এই প্রেক্ষাপটে ‘গর্ব’ ও ‘অহংকার’ কথা দুটো-সহ সমগ্র শব্দ ভান্ডারের জন্ম। ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ও প্রসঙ্গে এদের প্রয়োগ নির্ধারিত আছে। আমাকে সেটা জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং তার প্রয়োগ শিখতে হবে। এটা যদি আমি না জানি, তবে এ বিষয়ে আমার অসম্পূর্ণতা থেকে যাবে। একজন সচেতন মানুষ হিসাবে আমাকে আজীবন এই অসম্পূর্ণতা কাটিয়ে নিজেকে শিক্ষার উচ্চতম পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যেতে হবে। এই প্রবণতা যার মধ্যে সদা জাগ্রত তারাই শিক্ষিত।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন