সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভারত আমার বাবা, বাংলা আমার মা

ভারত আমার বাবা, বাংলা আমার মা ভারত আমার বাবা এবং বাংলা আমার মায়ের মত। আমি কাউকে অস্বীকার করতে পারি না। মাকে মুছে ফেলে বাবাকে নিয়ে নাচানাচি করতে পারি না। যারা একদেশ একজাতির নাম করে এককেন্দ্রিক শাসনের কথা বলছেন, তারা জীবনের এই দ্বৈত সত্তাকে অস্বীকার করছেন। এতে একটা পরিবারের বন্ধন যেমন আলগা হয়ে ভঙ্গুর হয়ে যাজায়,তেমনি এই এককেন্দ্রিক শাসনের ভাবনা দেশের জাতীয়তাবাদকে নড়বড় করে দেবে।

দোষ খোঁজার দোষ

পরের দোষ খুঁজছেন, খুঁজুন। এটা আপনার একটা অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব। তবে তার আগে নিজের দোষ খুঁজুন। কারণ, পরের দোষ খোঁজার চেয়ে নিজের দোষ খোঁজার প্রয়োজন বেশি। কেননা, নিজের দোষ, অন্যকে দোষ করতে উৎসাহিত অথবা প্ররোচিত করে; যার দায় আপনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। এবং তা পরোক্ষে নিজেরই ক্ষতি ডেকে আনে। তাছাড়া, এটা না করতে পারলে অন্যের দোষ খোঁজার অধিকারও জন্মায় না।

কি পড়ব, কেন পড়ব

জানার জন্য ইতিহাস আর বিজ্ঞান পড়তে হয়। আর জানা বিষয়কে বোঝার জন্য বা বোঝার ক্ষমতা অর্জনের জন্য ইতিহাস, দর্শন ও যুক্তি বিজ্ঞান পড়তে হয়।

মনুষ্যত্বের আদর্শ ও তার উৎস

বিন কাসিম,  জগৎ ও জীবন থেকে শিক্ষা নিলেই আদর্শের সন্ধান পাওয়া যায়। সততা আর ভালোবাসার মধ্যেই সেই আদর্শ নিহিত আছে। অনুসন্ধিৎসু মন আর যুক্তিবাদী চিন্তাশক্তি থাকলেই সেই আদর্শের সন্ধান মানুষ নিজে নিজে, নিজের মধ্যেই খুঁজে পাবে। তাই মানুষ নিজেই নিজের আদর্শ। কারণ, মানুষের মধ্যেই নিহিত রয়েছে মনুষ্যত্বের ও সততার আদর্শ। এটা তার জন্মগত। খেয়াল করলে দেখবেন, একজন শিশু, যার মধ্যে জগতের ধান্দাবাজ ও অসৎ মানুষের প্রভাব পড়েনি, সে যা দেখে সেটাই বলে দেয় এবং অন্যের দুঃখ কষ্টে কাতর হয়। অর্থাৎ সেটা (সততা ও ভালোবাসার আদর্শ) জাগানো ও তার অনুশীলন করার জন্য চাই সততা ও ভালোবাসায় মোড়া একটা মন, যেটা শিশু বয়সে মানুষের মধ্যে সাধারণভাবেই থাকে, জন্মসূত্রেই পায়। সেটার চর্চা যে করে মনুষ্যত্বের আদর্শ তার মধ্যে নিজে নিজেই জন্ম নেয়। এবং জীবনে সে অনুসরণও করে। এর জন্য আস্তিকতা বা নাস্তিকতার চর্চার প্রয়োজন হয় না। আমি আপনার ক্ষতি করলে আপনিও আমার ক্ষতির চেষ্টা করতে পারেন এটা বোঝার জন্য অন্য কিছুই লাগে না, একটা যুক্তিবাদী চেতনা বা মন ছাড়া। আর এটার উদাহরণ জগৎ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তাই এটা পাওয়ার জন্য আস্তিক বা নাস্

প্রকৃত মানুষ হতে পারলে আস্তিক বা নাস্তিক হওয়ার প্রয়োজন হয় না

প্রকৃত মানুষ হতে পারলে, কাউকে আস্তিক বা নাস্তিক, কিছুই হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাই সব কিছুর আগে, মানুষ হওয়াটা খুব জরুরি। প্রথম প্রকাশ :  YourQuote  (৭ই জুন ২০২১) দ্বিতীয় প্রকাশ :  ফেইসবুক

বিজ্ঞান চেতনায় পিছিয়ে যাচ্ছি

আমরা বিজ্ঞান চেতনায় পিছিয়ে যাচ্ছি। এগিয়ে যাচ্ছি ঠিক এর উল্টো দিকে। ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার ধর্মীয় ভাবাবেগ কিংবা আবেগ প্রাধান্য পাচ্ছে চিন্তায় চেতনায়। বিজ্ঞানের অগ্রগতি হিসাবে আমরা যা দেখছি, আদতে তা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। মৌলিক প্রযুক্তি আবিষ্কার এর ক্ষেত্রেও আমরা পিছিয়ে। কারণ, ধর্মীয় বিশ্বাস আবেগ সংস্কার ও কুসংস্কার এর জালে আমাদের চেতনা আচ্ছন্ন হয়ে আছে।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা  গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান উদ্দ্যেশ্যই হল রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু বন্ধ করা। মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণা। সেটা যদি বারবার ফিরে আসে হয়, তবে তো মানতেই হবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞ এবং অযোগ্য। আর নিজ দলের কর্মীর দ্বারা নিজ দলের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তো সেই দলের নেতৃত্বের সাংগঠনিক অযোগ্যতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। সংগঠনের মধ্যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি সম্পর্কে অজ্ঞতা রয়েছে ভয়ংকরভাবে, এটাও স্পষ্ট। এটা বন্ধ করার ক্ষেত্রে অনীহা কিম্বা অযোগ্যতা তাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকার দাবিকে মান্যতা দেয় না। তাই বগটুই-এর দায় তারা এড়াতে পারে না।

গরিব ও মধ্যবিত্তের প্রধান লক্ষ্য কী হওয়া দরকার?

গরিব ও মধ্যবিত্তের প্রধান লক্ষ্য - আলী হোসেন ঃ কোন রাজনৈতিক দলের দলদাস হওয়া নয়, আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ হয়ে ওঠাটাই আমাদের জন্য একান্ত জরুরী এবং এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত । না হলে রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনীতি নামক দাবার বোড়ে হয়ে জীবন দিতে হবে। এর থেকে মুক্তি নেই।  আর কবে বুঝবো আমরা?

পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক কী?

পৃথিবীর সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক   লিখছেন আলী হোসেন। পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরর্থক বিতর্ক হল ঈশ্বর-কেন্দ্রিক বিতর্ক। কারণ, ঈশ্বর আছেন অথবা নেই এই দুইয়ের কোনটারই প্রমাণ নেই। অদুর ভবিষ্যতে যে তাদের প্রমাণ পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনাও নেই। তাই অহেতুক এই বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া পন্ডশ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়। লক্ষ কোটি বছর ধরে মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে লড়াই করেছে এবং এখনও করে চলেছে। নিট ফল শুন্য। ঈশ্বর থাকলে আছেন। না থাকলে নেই। যে যেভাবে ভাবতে চান, ভাবুন। সেই ভাবনা থাক নিজের মধ্যে। নিজের ভাবনাকে অন্যের ওপর চাপাতে গেলেই তৈরি হয় সঙ্কট। নিজের ভাবনার বিষয় যদি হয় মানুষের মঙ্গল সাধন, আর যদি ঈশ্বর থাকেন, তিনি এতেই বেশি খুশি হবেন। কারণ, নিজের সৃষ্টিকে কেউ ভালবাসলে, তার মঙ্গলকামনায় কাজ করলে সৃষ্টিকর্তা খুশি না হয়ে পারেন না। কারণ, যদি তিনি তা না হন, তবে তিনি দাতা, দয়ালু ইত্যাদি বলে নিজেকে দাবি করতে পারবেন না। অন্যদিকে, যিনি ভাবছেন নেই, তিনিও যদি মানুষের ভালোর জন্য জীবন উৎসর্গ করেন অথবা অন্যের ক্ষতি না করেন, তবে তিনিও কোন অন্যায় করছেন না। অন্যদিকে, ঈশ্বরকে স্বীকার না করেও তিনি যে কাজ করছেন, তা যে ঈশ্বরে বিশ্বাসী মানুষ

সাফল্যের মূল চাবিকাঠি কী?

সাফল্যের মূল চাবিকাঠি কী? - লিখছেন আলী হসেন। বিদ্যা ও বুদ্ধির সমন্বয়েই গড়ে ওঠে সাফল্যের ইমারত। অর্থাৎ  সাফল্যের মুল চাবিকাঠি হল বিদ্যা ও বুদ্ধির সমন্বয় ঘটানো। তাই সাফল্য লাভ করতে হলে শুধু বিদ্যার্জন করলেই হবে না, বুদ্ধির গোঁড়ায় শানও দিতে হবে।  সেটা কীভাবে সম্ভব? বুদ্ধির গোঁড়ায় শান দিতে দরকার একটি যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞানমনস্ক মন বা চিন্তন ক্ষমতা যা সবসময় স্বাধীন ও সক্রিয় থাকে।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে