সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্মের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা

ধর্মের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা মনুষ্য সমাজকে সবচেয়ে বেশি বিভাজিত করেছে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। প্রতিটি ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে মানব কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য। যখনই তা সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তখনই তার দখল নিয়েছে ক্ষমতালিপ্সু একদল মানুষ। জন্ম দিয়েছে ধর্মের প্রাতিষ্ঠানিক রূপের। ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার বাসনায় ধর্মকেই তারা হাতিয়ার করেছে। ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজিত করার কৌশলটাই সেই হাতিয়ার। ফলে মানুষ দলে দলে ভাগ হয়ে গেছেন নানা রঙের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের ছত্র-ছায়ায়। ধর্মের দুর্বলতা এখানেই যে সে নিজেকে ক্ষমতালিপ্সু মানুষদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। তাই কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম নয়, মানুষের প্রকৃত ধর্ম হওয়া উচিত মানবধর্ম। যার মূলকথা হলো মানব কল্যাণ ও মানব প্রেম। ধর্ম যদি মানতেই হয় মানব ধর্মকে মানুন, মানুষের কল্যাণই যেখানে একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। ধর্মের দুর্বলতা দূর করার উপায় কী?

প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক

প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক Human relationship with nature প্রকৃতিকে জানা জরুরী। প্রকৃতি নিজেকে পরিচালিত করে কিছু নির্দিষ্ট ও অলংঘনীয় নিয়ম মেনে। প্রকৃতির এই নিয়মকে জানা, তাই আরও জরুরি। মানুষের জন্য তার এই নিয়ম জানা, বোঝা ও তাকে প্রয়োগ করার (ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগানোর) সক্ষমতাই হলো শিক্ষা। এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে তাকে জয় করা মানুষের জন্য আরও জরুরী। জয় করার পর ভালোবেসে তাকে বরণ করাই মানুষের কর্তব্য। তাকে শক্ত হাতে বেঁধে ফেলা কিংবা ত্রুটি চেপে ধরে তাকে বশ করা বা ডিঙিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য অন্যায়। ডিঙিয়ে গেলেই প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। তা সামলানো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে হাত করে মুনাফাখোর কর্পোরেট খুঁজি সেটাই করে চলেছে বিশ্বজুড়ে। বিস্তারিত করুন এখানে ক্লিক করে ১৮/৪/২০২৩

প্রকৃত ধর্ম কী এবং কেন?

প্রকৃত ধর্ম কী এবং কেন?  যে ধর্ম ধনী ও দরিদ্রের অবস্থাকে মান্যতা দেয়, এবং দরিদ্রকে ধনীরদের দান করার পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে ধন-বৈষম্যকে ন্যায্যতা দেয়, সে ধর্ম ধর্মই নয়। কারণ, প্রকৃত ধর্ম মানুষের মধ্যে ধনবৈষম্যকে মান্যতা দিতে শেখায় না।  পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ও তার ক্রমবিবর্তনের প্রথম পর্বে মানুষ সঙ্ঘবদ্ধভাবে পশু শিকার ও খাদ্যশস্য সংগ্রহের মাধ্যমে জীবন ধারণ করত। এই জীবন ব্যবস্থা মূল বৈশিষ্ট্য হল সমবন্টনের মাধ্যমে একটি সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যা ‘আদিম সাম্যবাদ’ নামে পরিচিত। সময়ের সাথে সাথে মানব সভ্যতায় আসে নানা পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের ভিত্তিভূমি হল মানুষের চিন্তাশক্তির বিবর্তন। মানুষ তার বিবর্তিত চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করে ফেলে কৃষিকাজ। কৃষির আবিষ্কারের পর মানুষের মধ্যে দেখা দেয় সম্পদ সঞ্চয়ের প্রবণতা। জন্ম নেয় ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা। ফলে সমবন্টন ব্যবস্থার ধারণা পাল্টে যেতে থাকে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাড়াতে গিয়ে শুরু হয় এক ব্যক্তির সম্পদের উপর অপর ব্যক্তির কর্তৃত্ব স্থাপনের তাগিদ। বিবর্তিত চিন্তাশক্তির কল্যাণে, বুদ্ধি ও পেশী শক্

পুরুষতন্ত্রের বিকল্প নারীবাদ নয়

পুরুষতন্ত্র আধুনিক সমাজের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এর বিকল্প কী? নারীবাদ? মোটেই নয়। যে কারণে পুরুষতন্ত্র সমালোচিত হয়, নারীবাদ সেই কারণেই সমালোচিত হতে বাধ্য। কারণ পুরুষতন্ত্র যেমন নারীর অধিকারকে খর্ব করে, তেমনি নারীবাদকে প্রশ্রয় দিলে পুরুষের অধিকারও খর্ব হতে বাধ্য। তাহলে উপায়?  পুরুষতন্ত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং যুক্তিযুক্ত বিকল্প নারীবাদ নয়, মানবতাবাদ। কারণ এখানে নারী বা পুরুষকে নারী-পুরুষের-গন্ডি পেরিয়ে মানবিক চেতনায় ও চেহারায় দেখতে শেখায়।

হিন্দু কারা? তারা কীভাবে হিন্দু হল?

হিন্দু কারা? তারা কীভাবে হিন্দু হল? অমিত শাহ। উনি হিন্দু হলেন কবে থেকে? তাঁর পদবী বলে দিচ্ছে উনি এদেশীয় নন। ইরানি বংশোদ্ভুত। কারণ, ইতিহাস বলছে পারস্যের রাজারা ‘শাহ’ উপাধি গ্রহণ করতেন। এবং শাহ শব্দটি পার্শি বা ফার্সি। লালকৃষ্ণ আদবানি। আদবানি শব্দটিও এদেশীয় নয়। আরবি শব্দ আদবান থেকে উদ্ভূত। সুতরাং তাঁর উপাধিও বলছে, তিনিও এদেশীয় নন। আসলে এরা (উচ্চবর্ণের মানুষ) কেউই এদেশীয় নয়। এরা নিজেদের আর্য বলে দাবি করতেন এবং গর্ববোধ করতেন। সিন্ধু সভ্যতা পরবর্তীকালে তারা পারস্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে এদেশে অভিবাসিত হয়েছেন। আর মধ্যযুগে এদেশের আদিম অধিবাসীদের পারস্যের কিছু পর্যটক ঐতিহাসিক হিন্দু বলে তাচ্ছিল্য করেছেন। কারণ, অনার্য সভ্যতা (আদি ভারতীয় সভ্যতা) আর্যদের কাছে নিম্নস্তরের বলে বিবেচিত হতো আদিকাল থেকেই। সুতরাং তাদেরই ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হিন্দু হল এদেশের আদিম অধিবাসী যারা, তারা। মনে রাখা দরকার, এই আদিম অধিবাসীরা কিন্তু নিজেদের কোনদিন হিন্দু বলে ভাবতো না, বিশ্বাসও করত না। মূল ধারায় যারা রয়ে গেছে এখনও, তারাও তা ভাবেন না। এটা তাদের চাপিয়ে দেয়া পরিচয়। ইরানিরা (অমিত শাহের পূর্বপুরুষ) এ দেশের আদি

পাঠ্য পুস্তক থেকে মুঘল ইতিহাস মুছে ফেলা ও কিছু প্রশ্ন

পাঠ্য ইতিহাস থেকে মুঘল ইতিহাস মুছে ফেলা ও কিছু প্রশ্ন  পাঠ্য ইতিহাস থেকে মুঘল ইতিহাস মুছে ফেলার ব্যবস্থা করা হল। বেশ, মুসলিমদের কথা ছেড়ে দিন। ভাবুন তো, এতে -- ১) যারা নিজেদের (মানুষ ভাবার চেয়ে) হিন্দু ভেবে গর্ববোধ করেন, তাদের কী কী লাভ হবে? ২) সমস্ত গরীব ও মধ্যবিত্ত হিন্দু পরিবার (যারা জনসংখ্যার সিংহভাগ এবং অশিক্ষার অন্ধকার, অভাব, বেকারত্ব, অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার যাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে), তাদেরই বা কোন কোন সমস্যার সমাধান হবে? পরিষ্কার হলো না? সহজ করে বলি - এতে কি ১) সব হিন্দু সাম্প্রদায়ের মানুষ শিক্ষিত হয়ে যাবে? ২) সবার চাকরি নিশ্চিত হয়ে যাবে? ৩) কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের আর অভাব থাকবে না, মানে কেউ আর গরীব থাকবে না? ৩) সবাই সুচিকিৎসা পাবে, মানে কেউ আর বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না? ৪) কোন হিন্দু আর অপুষ্টিতে ভুগবে না? ৫) কোন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আর ভূমিহীন থাকবে না? যদি এতে এর কোন একটার সমাধানও হয়, তবে আমি চাই শুধু মুঘল নয়, সুলতানী যুগের ইতিহাসও মুছে ফেলুন। মধ্যযুগের ইতিহাসে যত মুসলিম শাসক আছেন তাদের সমস্ত স্মৃতি কর্মকাণ্ডের ইতিহাস মুছে ফেলুন। গুটিকতক মুসলিম শাস

ধর্ম কী?

ধর্ম কী What is religion? মানুষের ধর্ম হলো মানুষের ভালো করা। ভালোর জন্য কাজ করা। মানুষের জন্য এর বাইরে কোন ধর্ম নেই। আমরা সাধারণ মানুষ যাকে ধর্ম বলি তা কি সত্যিই ধর্ম?এর সোজাসুজি উত্তর, না। হিন্দু, ইসলাম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন .... এগুলো তাহলে কী? এগুলো আসলে এক একটা প্রতিষ্ঠান মাত্র। এদের কাজ মানুষের প্রকৃত ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলা। কেন মানুষ এই ধর্ম পালন করবে, না করলে কীভাবে তা মানুষের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে ইত্যাদির ব্যাখ্যা করা। অর্থাৎ মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যাবার কথা প্রচার করাই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ। এর বাইরে কিছুই নয়। আপনি যদি মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যান, আপনার দ্বারা যদি কোন মানুষের অকল্যাণ সংঘটিত না হয় তাহলে আপনি একজন প্রকৃত ধার্মিক। আর এটা করতে পারলে ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা আপনার জন্য আবশ্যিক নয়। আসলে যুগ যুগ ধরে ধর্ম সম্পর্কে আমাদের কিছু অযৌক্তিক এবং মনগড়া বিধে-বিধান তৈরি করে দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে সেই বিধানগুলো মেনে চলাই হচ্ছে ধর্ম। এই বিধি বিধান গুলো মেনে চললেই আপনার ধর্ম পালন করা হবে এবং ধর্ম পালন হলে পরম করুণাময় ঈশ্বর আপনার হাজারো অপরাধ ক্ষমা করে

সরকারি স্কুল হল সবুজ গাছের বন

সরকারি স্কুল হল সবুজ গাছের বন আপনার চারপাশের গাছ গুলোর রুগ্ন। কেউ কেউ মৃতপ্রায়। আপনি কি সেগুলোকে কেটে ফেলবেন? উত্তর হওয়া উচিৎ না। কারণ, এটা মোটেই সমস্যার সমাধান নয়। সমস্যার সমাধান করতে গেলে গাছগুলোর রোগ চিহ্নিত করা এবং তার চিকিৎসা করা জরুরী। যেগুলি বাঁচবে না, সেগুলো কেটে দিয়ে নতুন করে গাছ লাগাতে হবে। এই নতুন গাছ একদিকে যেমন ফল ও ফুল দেবে, তেমনি দেবে প্রাণদায়ী অক্সিজেন, দেবে আরামদায়ক জলবায়ু এবং সুশীতল ছায়া। একটা সরকারি স্কুল ঠিক একটা সবুজ পাতা ভরা গাছের মত। কোনো কারণে যদি সে রুগ্ন হয়ে পড়ে, তবে তাকে বন্ধ করে দেওয়া (মেরে ফেলা) মোটেই সঠিক কাজ নয়। যত্ন নিয়ে তার রুগ্ন হওয়ার কারণ খুঁজে বের করা এবং তার প্রতিকার করাই হলো সমস্যা সমাধানের একমাত্র ও সঠিক উপায়। প্রশ্ন হল, কেন একটা সরকারি স্কুল সবুজ গাছের বন? এর রুগ্নতার কারণ কী এবং কীভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন ।

জল নিয়ে জলঘোলা করা পানির মত সহজ নয়

জল নিয়ে জলঘোলা করা পানির মত সহজ নয় জল বা পানি নিয়ে যারা জলঘোলা করছেন তারা কি বাংলাকে ভালোবেসে করছেন? মনে হয় না। কারণ, খোঁজ নিলে দেখবেন, এরা কেউ নিজের সন্তানকে বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়াননি বা পড়ান না। ব্যবহারিক জীবনেও তারা বাংলার চেয়ে ইংরেজি বা হিন্দিতে কথা বলতে বা গান শুনতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য এবং গর্ববোধ করেন। খেয়াল করলে দেখবেন, বাংলা মিডিয়াম স্কুলগুলোতে যারা ভর্তি হয়, তারা অধিকাংশই গরীব ঘরের সন্তান। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তারাই বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কারণ, সন্তানকে বাংলা মিডিয়ামে পড়ানোর পাশাপাশি, বাংলা ভাষাকে এরাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকেন। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে বাংলাই তাদের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম। মজার কথা হলো, তারা জল না পানি - এ বিতর্কে জড়ায় না। তাদের কাছে জলও যা, পানিও তা-ই। এই শ্রেণির একজন মুসলিম হিন্দু বাড়িতে গিয়ে জল চাইতে যেমন দ্বিধা করেন না, তেমনি একজন হিন্দু কোন মুসলিম বাড়িতে গিয়ে পানি বলতে ইতস্তত করেন না। কারণ, তারা জানেন, যা জল তা-ই পানি। যত সমস্যা এসব বড় বড় ডিগ্রিধারী তথাকথিত শিক্ষিত মানুষদের। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে