এই ভদ্রলোক হিন্দু ব্রাহ্মণ এবং মুসলিম হুজুরদের সম্পর্কে বেশি লিখছেন। একটু মাথামোটা গোছের আছেন। এদের নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। আনফ্রেন্ড করলেই যে ইনি ভালো হয়ে যাবেন তারও কোনো মানে নেই। বরং ফ্রেড হিসাবে থাকলে আমাদের কথাগুলো অন্তত এনার কাছে পৌঁছবে এবং যারা ওনার ফ্রেন্ড লিস্টে আছে তাদের কাছেও। এদের সঙ্গে অনেক সাধারণ মানুষ আছেন যারা আদতে ভালো, যাদের মাখা খাছে আইটি সেল। এই ধরণের মানুষের কাছে আমাদের পৌঁছাতে হবে, আমাদের কথা নিয়ে। ইনিই হবেন আমাদের মাধ্যম। ওনাকে আনফ্রেন্ড করলে এদের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত ভালো মানুষরা আছেন তাদের কাছে আমাদের কথাগুলো আর পৌঁছবে না। ওই ভালো মানুষগুলো ক্রমশ আমাদের থেকে দূরে সরে যাবে। অনেক মানুষ আছেন যারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানে না। তাদের কাছে আমাদের পৌঁছাতে হবে। আমাদের কথা এনার কাছেও পৌঁছতে হবে। যে পোস্ট উনি করেছেন তার কতটা সত্য কিংবা কতটা মিথ্যা তা উনি জানেন না। তাই এদের কাছে পৌঁছাতে পারলে এবং সত্য তুলে ধরতে পারলে এদের সঙ্গে থাকা অনেক মানুষ বুঝতে পারবেন হিন্দুত্ববাদীরা যা তাদের বোঝাচ্ছে তা ভুল। আমাদের কাছ থেকে তারা বোঝার সুযোগ পাবে। বুঝতে পারবে। সুতরাং আনফ্রেন্ড ক
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ