Subrata Kumar Biswas বিভাজন যাদের মজ্জাগত, এবং শোষনের হাতিয়ার, তারা ভারতের মানুষকে হাজার ভাগে বিভক্ত করবেন সেটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি সেই দলের হন তবে আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি আপনার দলে নই। আমি সমাজের মানুষকে দুইভাগে বিভক্ত হতে দেখেছি। সুবিধাভোগী আর সুবিধা বঞ্চিত। বুঝবার সুবিধার জন্য তাই তাদেরকে উচ্চবর্গ আর নিম্নবর্গ বলেছি। আপনি নিজেকে ‘সম্যক ধারণার’ অধিকারী বলে দাবি করছেন, অথচ উচ্চবর্গ এবং নিম্নবর্গ শব্দ দুটিকে উচ্চবর্ণ ও নিম্নবর্ণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন। বুঝদার মানুষ হিসেবে আপনার বোঝা উচিত ছিল বর্গ আর বর্ণের পার্থক্যের কথা। হিন্দু সমাজ সম্পর্কে আমার কি ধারণা আছে তা প্রকাশ করার জন্য এই নিবন্ধ আমি লিখিনি। সুতরাং তা আপনি এখান থেকে পাবেন না। আমার লেখার উদ্দেশ্য যেটা, সেটা প্রকাশ করার জন্য যেটুকু বলা দরকার সেটুকুই বলেছি। আপনি যদি সেটা ধরতে না পারেন, তার দায় বোধহয় আপনারই। আমার নয়। বুঝতে না পারলে জিজ্ঞাসা করতে পারতেন। তখন ব্যাখ্যার দায় খানিকটা আমার ওপর পড়ত বটে। কিন্তু আপনি তো সে পথে হাঁটেননি। নিজেকে পন্ডিত আর আমাকে মূর্খ ভেবেছেন। ভাবতেই পারেন। ভাবুন। কে আটকাবে আপনাকে? তবে আমি নিজেক
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ