মানব সভ্যতা কী?
‘মানব সভ্যতা’ হল একটি জীবন ব্যবস্থা, যা মানুষের দ্বারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এই জীবন ব্যবস্থায় মোটামুটি পাঁচটি অংশ দ্বারা গঠিত। এরা হল সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ধর্ম। কারণ, এই পাঁচটি অংশ (ব্যবস্থা) মানুষের জীবনকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে।
মানব সভ্যতা বলতে মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এমন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যেখানে মানুষের জীবন উন্নত, সংগঠিত এবং নিয়মতান্ত্রিক হয়। এটি মানুষের জ্ঞান, শিক্ষা, নৈতিকতা এবং সংস্কৃতির বিকাশের ফল।
সহজভাবে বলতে গেলে, যখন মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে শুরু করে এবং তাদের জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা, নিয়মকানুন, কৃষি, ভাষা, লিখন পদ্ধতি, শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলো বিকশিত হতে থাকে, তখন তাকে সভ্যতা বলা হয়।
মানব সভ্যতার কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
* সংগঠিত সমাজ ব্যবস্থা: মানুষ ছোট ছোট গোষ্ঠী থেকে বড় সমাজে বসবাস শুরু করে, যেখানে আইন, শাসনব্যবস্থা এবং বিভিন্ন সামাজিক কাঠামো গড়ে ওঠে।
* কৃষি ও স্থায়ী বসতি: কৃষির আবিষ্কার মানুষকে যাযাবর জীবন ছেড়ে এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করতে সাহায্য করে, যা খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণে বিপ্লব আনে।
* শহর ও নগর কেন্দ্র: স্থায়ী বসতি থেকেই ধীরে ধীরে ছোট ছোট গ্রাম থেকে বড় শহর ও নগর গড়ে ওঠে, যেখানে বিভিন্ন পেশার মানুষ একসাথে বসবাস করে।
* ভাষা ও লিখন পদ্ধতি: মনের ভাব প্রকাশ এবং জ্ঞান সংরক্ষণের জন্য ভাষা ও লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবন সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
* শিল্পকলা ও সংস্কৃতি: মানুষের সৃজনশীলতা প্রকাশ পায় শিল্পকলা, সঙ্গীত, সাহিত্য, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বিভিন্ন রীতিনীতির মাধ্যমে, যা প্রতিটি সভ্যতার নিজস্ব পরিচয় তৈরি করে।
* বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: নতুন নতুন যন্ত্রপাতির আবিষ্কার, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি মানব জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করে তোলে।
* অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: বাণিজ্য, মুদ্রার ব্যবহার এবং উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি মানুষের অর্থনৈতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করে।
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, মেসোপটেমীয় সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, মায়া সভ্যতা ইত্যাদি মানব সভ্যতার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত। সময়ের সাথে সাথে মানব সভ্যতা বিবর্তিত হয়েছে এবং আজও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কার ও চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে।
----------xx--------
সহজভাবে বলতে গেলে, যখন মানুষ দলবদ্ধভাবে বসবাস করতে শুরু করে এবং তাদের জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা, নিয়মকানুন, কৃষি, ভাষা, লিখন পদ্ধতি, শিল্পকলা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো বিষয়গুলো বিকশিত হতে থাকে, তখন তাকে সভ্যতা বলা হয়।
মানব সভ্যতার কিছু মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
* সংগঠিত সমাজ ব্যবস্থা: মানুষ ছোট ছোট গোষ্ঠী থেকে বড় সমাজে বসবাস শুরু করে, যেখানে আইন, শাসনব্যবস্থা এবং বিভিন্ন সামাজিক কাঠামো গড়ে ওঠে।
* কৃষি ও স্থায়ী বসতি: কৃষির আবিষ্কার মানুষকে যাযাবর জীবন ছেড়ে এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করতে সাহায্য করে, যা খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণে বিপ্লব আনে।
* শহর ও নগর কেন্দ্র: স্থায়ী বসতি থেকেই ধীরে ধীরে ছোট ছোট গ্রাম থেকে বড় শহর ও নগর গড়ে ওঠে, যেখানে বিভিন্ন পেশার মানুষ একসাথে বসবাস করে।
* ভাষা ও লিখন পদ্ধতি: মনের ভাব প্রকাশ এবং জ্ঞান সংরক্ষণের জন্য ভাষা ও লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবন সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
* শিল্পকলা ও সংস্কৃতি: মানুষের সৃজনশীলতা প্রকাশ পায় শিল্পকলা, সঙ্গীত, সাহিত্য, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বিভিন্ন রীতিনীতির মাধ্যমে, যা প্রতিটি সভ্যতার নিজস্ব পরিচয় তৈরি করে।
* বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: নতুন নতুন যন্ত্রপাতির আবিষ্কার, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি মানব জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করে তোলে।
* অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: বাণিজ্য, মুদ্রার ব্যবহার এবং উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নতি মানুষের অর্থনৈতিক জীবনকে সমৃদ্ধ করে।
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, মেসোপটেমীয় সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, মায়া সভ্যতা ইত্যাদি মানব সভ্যতার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত। সময়ের সাথে সাথে মানব সভ্যতা বিবর্তিত হয়েছে এবং আজও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কার ও চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে।
----------xx--------
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন