Bhabani Sankar Chatterjee ছবিতে যে মানুষগুলোকে দেখছেন 'এতটা অবস্থাপন্ন' বলে যা বোঝাতে চাইছেন তা তো আমার মনে হচ্ছে না। আমার মনে হয় আপনি কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের মধ্যে যে পার্থক্য সেটা গুলিয়ে ফেলেছেন। এখানকার কৃষিশ্রমিকদের সঙ্গে পাঞ্জাবের কৃষকদের এক ফ্রেমে রেখে দেখতে চাইছেন। তাই মিলছে না। তবে বাংলাসহ দেশের অন্যান্য কৃষকদের থেকে ওঁরা একটু সম্পন্ন। সেটা ওখানকার কৃষিব্যবস্থ্যার বিশেষ পরিকাঠামো ও সরকারের কিছু নীতির কারণে। সেটাই তুলে দিতে চাইছে সরকার। এটাই সমস্যার মূল। আর সারাদেশে সবুজ বিপ্লব করা যায় নি সেটা পরবর্তী সরকারের ব্যর্থতা। সেজন্যই তো তাদের সরিয়ে বর্তমান সরকারকে জনগন ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তাই তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরে আজকের বিলের ক্ষতিকারক দিকগুলোকে কি আড়াল করার চেষ্টা করা উচিত? মনে হয় না। উৎস দেখতে এখানে ক্লিক করুন
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ