সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রসঙ্গ মুসলিম ভোট বিভাজন ও বিজেপির উত্থান - ২

MD Mazharul Islam আমার লেখা পড়ে আপনি কোথায়  কীভাবে বুঝলেন, যে আসাদুদ্দিনকে কেস দেয়া দরকার এমন কথা আমি বলেছি? আপনার চিন্তাভাবনার দুর্বলতা আছে! তাই এসব আলপটকা ভাবছেন। আপনাকে সবিনয়ে বলছি, কথার মানে আগে ভালো করে বুঝতে শিখুন। গভীরে গিয়ে ভাবার অভ্যাস করুন। তারপর মন্তব্য করুন।

আমি যে পাঁচটা প্রশ্ন করেছি তার উত্তর একটা একটা করে দিন তো? সেটা করতে পারলেন না বলে আমি লেখক কিনা প্রশ্ন তুললেন? হ্যাঁ তুলতে তো আপনি পারেনই। আপনি কাকে লেখক হিসাবে মানবে, অথবা মানবেন না, সেটা সম্পূর্ণ আপনারই ব্যক্তিগত ইচ্ছা। আমি কি আপনার কাছে দাবি করেছি যে, আমি একজন লেখক, আপনি মেনে নিন?

কেউ নিজেই নিজেকে লেখক দাবি করলেই তিনি লেখক হয়ে যান না। এটা না বোঝার মত নির্বোধ আমি নই। কোন লেখক কোনদিন নিজেকে লেখক বলে দাবি করেন না। দেখেছেন কোনদিন কাউকে দাবি করতে? রবীন্দ্রনাথ নজরুল থেকে শুরু করে পৃথিবীর নামি-অনামি যত লেখক আছেন তারা কখনো নিজেকে লেখক বলে দাবি করেছেন? দেখেছেন এমন কোন লেখা, যেখানে তিনি নিজেই সেই দাবি তুলেছেন? তাহলে আমি কীভাবে করব  সে দাবি? আমিও করিনা। মানুষ যখন কাউকে লেখক বলে মেনে নেন, তখনই তিনি লেখক। এই বোধবুদ্ধিটুকু আপনার না থাকতে পারে, আমার আছে। এটা নিয়ে বেশি ভাববেন না।

আনন্য যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তারের কারণটা ব্যাখ্যা করুন আগে। প্রশ্নটা আগেই আপনাকে করেছিলাম এবং বলেছিলাম তাহলেই আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে যাবেন। তাদেরকে যে কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেগুলো স্রেফ অজুহাত। সেই অজুহাত আসাদউদ্দিন এর ক্ষেত্রে কাজে লাগেনা। যারা লাগায় না তাদের সম্পর্কেই আমার কথাটা বলা। কেন লাগায় না, তার উত্তর আসাদউদ্দিন এর রাজনীতির মধ্যেই আছে। যাদের বোঝার ক্ষমতা আছে বা ইচ্ছা আছে, তারা সবাই বুঝতে পারছেন। আপনার এই দুটোর কোন একটার অভাব থাকলে আপনি কখনই তা বুঝতে পারবেন না।

একটা স্বীকৃতি দলের সুপ্রিমো হলেই কি তার দাস হয়ে যেতে হবে নাকি? তার ভুল ত্রুটি ধরা যাবেনা? তাহলে তো বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম - এদের ভুলত্রুটিরও সমালোচনা করা যাবে না। আপনি তাহলে টিএমসির সমালোচনা করছেন কেন? কোন অধিকারে করছেন?

আশা করি প্রশ্ন ধরে ধরে উত্তর গুলো তৈরি করে দেবেন। অকারণে রেগে গিয়ে ভুলভাল বলবেন না। তাতে নিজের দুর্বলতারই প্রকাশ পাবে। আশা করি এই চেতনা আপনার আছে যে, কোন বক্তব্য উপস্থাপন করতে গেলে তিনটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সেগুলো হলো ১) যুক্তি, ২) তথ্য এবং ৩) তথ্যগুলোকে যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে আসার জন্য 'একটি বিজ্ঞানমনস্ক সংস্কারমুক্ত মনের অধিকারী হওয়া'।

যাই হোক, ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। এবং অনুগ্রহ করে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবার এবং বলার অভ্যাস করুন।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন