সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রসঙ্গ মুসলিম ভোট বিভাজন ও বিজেপির উত্থান

MD Mazharul Islam  আপনার যুক্তিগুলো বেশ পলকা এবং হাস্যকর। তবে আপনার কাছে অবশ্যই সেগুলো যুক্তি! মহাজোট হওয়ার বিষয়টা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। হলে সেটা খুবই ভালো হবে।

১) কিন্তু আপনি কোন যুক্তিতে বলছেন, এই মহাজোট শুধুমাত্র টিএমসির চাওয়ার উপরেই নির্ভর করছে? টিএমসি চাইলেই কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা মহাজোটে অংশ নেবে? গ্যারান্টিটা কোথায় পেলেন? কে দিলেন আপনাকে? বিহারের সিপিআইএমএলের সম্পাদকের মহাজোটের প্রস্তাব ইতিমধ্যেই সিপিএম খারিজ করেছেন, সেটা শুনেছেন?

২) বাম-কংগ্রেস ভোট কাটবে মানে? এরা কি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন এসে হাজির হয়েছে? স্বাধীনতার পর থেকে তারা এখানকার জাতীয় রাজনৈতিক দল। তাদের তো  নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক রয়েছেই কমবেশি। এতদিন তো তারা ভোট পেয়ে এসেছেন। এদেরকে আপনি ভোট কাটুয়া বলছেন কি করে? Congress-tmc বামফ্রন্ট এবং বিজেপি কেউ এ রাজ্যে নতুন নয়। এদের উপস্থিতিতেই বিজেপি দীর্ঘদিন এখানে পরাজিত হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে কিছু সিট বিজেপি পেয়েছে ঠিক। কিন্তু তাতে ক্ষমতা দখল করার মত পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছে কি? তা যদি না পেরে থাকে, আজ কোন জাদুতে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে?

৩) যারা এ রাজ্যের রাজনীতিতে ছিল না কোনদিন, তারা যদি উপস্থিত হয় এবং ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে তিনটি  অবিজেপি  দলের  মুসলিম ভোট সরিয়ে নেয়, সেটাকেই ভোট কাটা বলে। এটুকু বুঝতে যদি আপনার অসুবিধা হয় তাহলে সমস্যাটা আপনার। সময় থাকতে  বোঝার চেষ্টা করুন।

৪) তিনটে অবিজেপি দল  আসলে দুটো  গোষ্ঠীতে বিভক্ত হবে। টিএমসি আলাদা ছিল,  হয়তো আলাদা থাকবে। বাম-কংগ্রেস এক জায়গায় আসবে। যদি এটাই হয়,  তাহলে ভোট হওয়ার কথা তিনটে  গোষ্ঠীর মধ্যে। অর্থাৎ সমস্ত ভোট ভাগ হবে  তিন ভাগে। স্বাধীনতার পর থেকে  এভাবেই ভোট হয়ে আসছে। এবং এভাবে ভোট হবার  মধ্যেই  বিজেপি ক্ষমতার  বাইরে থেকেছে। বলা ভালো থাকতে বাধ্য হয়েছে। 

৫) এবার যদি আসাদ উদ্দিন ওয়াইসি  এবং আব্বাস সিদ্দিকী মিলে  আরও দুটি নতুন  গ্রুপ  ময়দানের নামায়  তবে ভোট  প্রধানত তিন নয়,  পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। বিজেপি এটা ভালোই জানে,  পশ্চিমবঙ্গে এই ভোট বিভাজন  না হলে, তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বাংলার মুসলিম সমাজ  বিজেপির এই  চক্রান্তে  শামিল না হলে, কখনোই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আপনি এটা বুঝতে না পারেন, কিন্তু বিজেপি সেটা ভালোই বোঝে। আপনি লিখে নিন। চোখের সামনে উদাহরণ মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, সর্বশেষ বিহার।

এরপরও চোখ না খুললে, সেটা আমার বোঝানোর অক্ষমতা হতে পারে, কিন্তু আপনার ভুল ভাবনাকে লুকোতে পারবেন না।

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে