ধর্মচর্চার লক্ষ্য কী? What is the goal of religion? ধর্মচর্চার মূল লক্ষ্য হল আত্মশুদ্ধি। এবং ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে পারলৌকক জীবনের শাস্তি এড়ানো ও সুখি জীবন প্রাপ্তি। যে জীবনের কাছে লৌকিক জীবন অতি তুচ্ছ। লৌকিক জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য একজন ধার্মিকের কাছে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা ও তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই জীবন কার? তা একজন ব্যাক্তির একান্তই নিজস্ব। এর জন্য কী করণীয়? আধ্যাত্মবাদী দর্শন অনুসারে তা হল, একান্তে, নিভৃত-নির্জনে আধ্যাত্ম সাধনা বা ঈশ্বর সাধনা করা। এই ধরণের সাধনাই ধর্ম সাধনা। এই ধরনের সাধনা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ থাকে। কোন ব্যক্তি যে ধর্মে বিশ্বাসী হন, সেই ধর্মের মূল গ্রন্থেই আছে তার জীবন-বিধান। সেই বিধি বিধান মেনে জীবন যাপন করাই হল একজন ধার্মিকের একমাত্র কাজ। আধুনিক যুগে এই সাধনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। এর জন্য কোন ধর্মগুরুর স্মরণ নেওয়া বা তার অনুসারী হওয়ারও কোন প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রনেতার পৃষ্ঠপোষকতারও তার প্রয়োজন পড়ে না। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠলেই ধর্ম দর্শনকে বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। ধর্মগ্র
ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ