সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ধর্মচর্চার লক্ষ্য কী?

 ধর্মচর্চার লক্ষ্য কী? What is the goal of religion? ধর্মচর্চার মূল লক্ষ্য হল আত্মশুদ্ধি। এবং ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে পারলৌকক জীবনের শাস্তি এড়ানো ও সুখি জীবন প্রাপ্তি। যে জীবনের কাছে লৌকিক জীবন অতি তুচ্ছ। লৌকিক জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য একজন ধার্মিকের কাছে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা ও তাঁর বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এই জীবন কার?  তা একজন ব্যাক্তির একান্তই নিজস্ব। এর জন্য কী করণীয়? আধ্যাত্মবাদী দর্শন অনুসারে তা হল, একান্তে, নিভৃত-নির্জনে আধ্যাত্ম সাধনা বা ঈশ্বর সাধনা করা। এই ধরণের সাধনাই ধর্ম সাধনা। এই ধরনের সাধনা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ থাকে। কোন ব্যক্তি যে ধর্মে বিশ্বাসী হন, সেই ধর্মের মূল গ্রন্থেই আছে তার জীবন-বিধান। সেই বিধি বিধান মেনে জীবন যাপন করাই হল একজন ধার্মিকের একমাত্র কাজ। আধুনিক যুগে এই সাধনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না। এর জন্য কোন ধর্মগুরুর স্মরণ নেওয়া বা তার অনুসারী হওয়ারও কোন প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রনেতার পৃষ্ঠপোষকতারও তার প্রয়োজন পড়ে না। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠলেই ধর্ম দর্শনকে বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। ধর্মগ্র

উপাধি ও পদবির পার্থক্য

 উপাধি ও পদবীর পার্থক্য  Difference between surname and title সাথি, বুঝলাম, আপনি উপাধি ও পদবির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বোধহয় গুলিয়ে ফেলেছেন। উপাধি একটি সম্মানসূচক পদক, যা অন্যের দ্বারা, বিশেষ করে শাসকের দ্বারা শাসকের কর্মচারী বা অধস্থনরা পেয়ে থাকেন, বিশেষ কোনো কাজে কৃতিত্বের কারণে বা স্বীকৃতি হিসেবে। উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেলে, তার মৃত্যুর সাথে সাথে উপাধিটাও বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, সেটা তার ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতিতে দেওয়া হয়। ব্যক্তি মারা গেলে সেই উপাধি বংশপরম্পরায় পরবর্তী জেনারেশন পায় না। কিন্তু পদবি এ ধরনের কোন পদক বা উপাধি নয়, পদবি বংশের পরিচয়বাহী একটি শব্দ যা ‘লাস্ট নেম’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ পদবি নামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা বংশপরম্পরায় উত্তরসূরীদের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে। এটা কোন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ কোন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সম্মান সূচক শব্দ বা শব্দবন্ধ নয়। এটা মানুষ বংশপরম্পরায় পেয়ে থাকেন।  আর মনে রাখুন, ‘শাহ’ এ ধরনের কোন উপাধি নয়। ‘শাহ’ শব্দের অর্থ রাজা বা বাদশা। এটা প্রধান শাসক (যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী) নিজের শক্তিমত্তা ও পদমর্যাদ

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কবজ কী এবং কেন?

সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা কবজ কী এবং কেন? যারা সংখ্যালঘু বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা বিদ্বেষ ছড়ানোয় সংখ্যালঘুদের কোন লাভ নেই। কারণ, যারা সংখ্যায় লঘু হয়, তাদের দেওয়া পাল্টা বিদ্বেষ ভাষণ, যৌক্তিক কারণেই কোন কাজে আসে না। উল্টে ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কেননা, এতে সংখ্যাগুরুর বিদ্বেষ ভাষণকারী অংশের হাতে যেটা এতদিন ছিল অজুহাত, তা ন্যায্যতা পেতে শুরু করে। অর্থাৎ সংখ্যালঘুর বিদ্বেষ ভাষণকে সামনে এনে তারা তাদের অজুহাতকে ন্যায্যতা দেয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।  তাছাড়া, লড়াই যখন অসম সংখ্যার মধ্যে হয়, তখন পেশী শক্তি বা বিদ্বেষ ভাষণ কখনই ইতিবাচক ফলাফল এনে দিতে পারে না। এক্ষেত্রে শিক্ষাই হল একমাত্র হাতিয়ার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যেমন শ্রমিকের শ্রমশক্তির (স্বল্পতার) বিকল্প হয়, তেমনভাবেই আধুনিক শিক্ষাই একমাত্র সংখ্যালঘুর শক্তি-স্বল্পতার বিকল্প উৎস হতে পারে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিদ্বেষ নয়, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লেখা

 বিদ্বেষ নয়, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লেখা Goutam Roy লিখেছেন :  Ali Hossain শাহ পদবি হলেই সে পার্শি হয় ? পার্শি নাদির শা গুজরাত জয করেন। তাঁর অধিনস্ত বহু হিন্দু বানিয়া , জমিদার শাহ পদবি বা খেতাব পান। তেমনিই অমিত শা। আপনি তাকে পার্সি আর্ষ বলছেন কোন ইতিহাস পড়ে ! আপনি যদি হিন্দু জাতি ব্যবস্থা নিয়ে লিখতে চান তবে হিন্দু জাতি ব্যবস্থা পড়ুন। মিছে ধরনা থেকে লিখছেন কেন ? বিজেপি আজ ক্ষমতায় আছে কাল থাকবে না। হিন্দু মুসলমান আমরা এক দেশে বাস করবো। সরল ধর্ম বিশ্বাসী মানুষকে বিদ্বষী করে তুলবেন না। এবার তাড়িয়ে দিলে আমরা যাবো কোথায় ? আমার উত্তর বা মতামত :  ◾আধুনিক সমাজে যে কেউ শাহ পদবী গ্রহণ করতে পারে। কোর্টে এফিডেফিট করে নিলেই হল। কিন্তু মধ্যযুগ বা তারও আগে শাহ শব্দটি তারাই ব্যবহার করতেন, যারা দেশের শাসক, রাজা বা সম্রাট। কোন রাজকর্মচারীকে বা বণিক সম্প্রদায়কে এই উপাধি দেওয়ার প্রচলন ছিল বলে আমার জানা নেই। যুক্তি বুদ্ধি বলে, কোন শাসক কোন বণিককে এমন সম্মান বা পদবী দিতে পারেন না, যা একজন রাজা বা সম্রাটের অর্থাৎ শাসকের পদমর্যাদার সমতুল্য হয়ে ওঠে। সুতরাং আপনার যুক্তি এখানে বড়ই দুর্বল। দ্বিতীয়ত, না, শাহ প

দশ চক্রে ভগবান ভূত।

একদল অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে যদি আপনি পড়েন এবং আপনি যদি তাদের থেকে শিক্ষাদীক্ষার সৌজন্যে জীবন সম্পর্কে একটু বেশি জানা বোঝার পর্যায়ে পড়েন, তাহলে পরিস্থিতি আপনাকে উল্টোপরিচয়ে পরিচিত করে তুলবে। অর্থাৎ আপনি হয়ে যাবেন অশিক্ষিত পর্যায়ভুক্ত এবং অন্যেরা শিক্ষিত ও জ্ঞানী। অর্থাৎ ‘দশ চক্রে ভগবান ভূত’ যারে বলে।

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্মের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা

ধর্মের দুর্বলতা বা সীমাবদ্ধতা মনুষ্য সমাজকে সবচেয়ে বেশি বিভাজিত করেছে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। প্রতিটি ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে মানব কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য। যখনই তা সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তখনই তার দখল নিয়েছে ক্ষমতালিপ্সু একদল মানুষ। জন্ম দিয়েছে ধর্মের প্রাতিষ্ঠানিক রূপের। ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার বাসনায় ধর্মকেই তারা হাতিয়ার করেছে। ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজিত করার কৌশলটাই সেই হাতিয়ার। ফলে মানুষ দলে দলে ভাগ হয়ে গেছেন নানা রঙের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের ছত্র-ছায়ায়। ধর্মের দুর্বলতা এখানেই যে সে নিজেকে ক্ষমতালিপ্সু মানুষদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি। তাই কোন প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম নয়, মানুষের প্রকৃত ধর্ম হওয়া উচিত মানবধর্ম। যার মূলকথা হলো মানব কল্যাণ ও মানব প্রেম। ধর্ম যদি মানতেই হয় মানব ধর্মকে মানুন, মানুষের কল্যাণই যেখানে একমাত্র লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য। ধর্মের দুর্বলতা দূর করার উপায় কী?

প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক

প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক Human relationship with nature প্রকৃতিকে জানা জরুরী। প্রকৃতি নিজেকে পরিচালিত করে কিছু নির্দিষ্ট ও অলংঘনীয় নিয়ম মেনে। প্রকৃতির এই নিয়মকে জানা, তাই আরও জরুরি। মানুষের জন্য তার এই নিয়ম জানা, বোঝা ও তাকে প্রয়োগ করার (ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগানোর) সক্ষমতাই হলো শিক্ষা। এই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে তাকে জয় করা মানুষের জন্য আরও জরুরী। জয় করার পর ভালোবেসে তাকে বরণ করাই মানুষের কর্তব্য। তাকে শক্ত হাতে বেঁধে ফেলা কিংবা ত্রুটি চেপে ধরে তাকে বশ করা বা ডিঙিয়ে যাওয়া মানুষের জন্য অন্যায়। ডিঙিয়ে গেলেই প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। তা সামলানো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে হাত করে মুনাফাখোর কর্পোরেট খুঁজি সেটাই করে চলেছে বিশ্বজুড়ে। বিস্তারিত করুন এখানে ক্লিক করে ১৮/৪/২০২৩

প্রকৃত ধর্ম কী এবং কেন?

প্রকৃত ধর্ম কী এবং কেন?  যে ধর্ম ধনী ও দরিদ্রের অবস্থাকে মান্যতা দেয়, এবং দরিদ্রকে ধনীরদের দান করার পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে ধন-বৈষম্যকে ন্যায্যতা দেয়, সে ধর্ম ধর্মই নয়। কারণ, প্রকৃত ধর্ম মানুষের মধ্যে ধনবৈষম্যকে মান্যতা দিতে শেখায় না।  পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব ও তার ক্রমবিবর্তনের প্রথম পর্বে মানুষ সঙ্ঘবদ্ধভাবে পশু শিকার ও খাদ্যশস্য সংগ্রহের মাধ্যমে জীবন ধারণ করত। এই জীবন ব্যবস্থা মূল বৈশিষ্ট্য হল সমবন্টনের মাধ্যমে একটি সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যা ‘আদিম সাম্যবাদ’ নামে পরিচিত। সময়ের সাথে সাথে মানব সভ্যতায় আসে নানা পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের ভিত্তিভূমি হল মানুষের চিন্তাশক্তির বিবর্তন। মানুষ তার বিবর্তিত চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে আবিষ্কার করে ফেলে কৃষিকাজ। কৃষির আবিষ্কারের পর মানুষের মধ্যে দেখা দেয় সম্পদ সঞ্চয়ের প্রবণতা। জন্ম নেয় ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা। ফলে সমবন্টন ব্যবস্থার ধারণা পাল্টে যেতে থাকে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাড়াতে গিয়ে শুরু হয় এক ব্যক্তির সম্পদের উপর অপর ব্যক্তির কর্তৃত্ব স্থাপনের তাগিদ। বিবর্তিত চিন্তাশক্তির কল্যাণে, বুদ্ধি ও পেশী শক্

পুরুষতন্ত্রের বিকল্প নারীবাদ নয়

পুরুষতন্ত্র আধুনিক সমাজের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এর বিকল্প কী? নারীবাদ? মোটেই নয়। যে কারণে পুরুষতন্ত্র সমালোচিত হয়, নারীবাদ সেই কারণেই সমালোচিত হতে বাধ্য। কারণ পুরুষতন্ত্র যেমন নারীর অধিকারকে খর্ব করে, তেমনি নারীবাদকে প্রশ্রয় দিলে পুরুষের অধিকারও খর্ব হতে বাধ্য। তাহলে উপায়?  পুরুষতন্ত্রের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং যুক্তিযুক্ত বিকল্প নারীবাদ নয়, মানবতাবাদ। কারণ এখানে নারী বা পুরুষকে নারী-পুরুষের-গন্ডি পেরিয়ে মানবিক চেতনায় ও চেহারায় দেখতে শেখায়।

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে