সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিদ্বেষ নয়, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লেখা

 বিদ্বেষ নয়, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লেখা

Goutam Roy লিখেছেন : 

Ali Hossain শাহ পদবি হলেই সে পার্শি হয় ? পার্শি নাদির শা গুজরাত জয করেন। তাঁর অধিনস্ত বহু হিন্দু বানিয়া , জমিদার শাহ পদবি বা খেতাব পান। তেমনিই অমিত শা। আপনি তাকে পার্সি আর্ষ বলছেন কোন ইতিহাস পড়ে ! আপনি যদি হিন্দু জাতি ব্যবস্থা নিয়ে লিখতে চান তবে হিন্দু জাতি ব্যবস্থা পড়ুন। মিছে ধরনা থেকে লিখছেন কেন ? বিজেপি আজ ক্ষমতায় আছে কাল থাকবে না। হিন্দু মুসলমান আমরা এক দেশে বাস করবো। সরল ধর্ম বিশ্বাসী মানুষকে বিদ্বষী করে তুলবেন না। এবার তাড়িয়ে দিলে আমরা যাবো কোথায় ?

আমার উত্তর বা মতামত : 

◾আধুনিক সমাজে যে কেউ শাহ পদবী গ্রহণ করতে পারে। কোর্টে এফিডেফিট করে নিলেই হল। কিন্তু মধ্যযুগ বা তারও আগে শাহ শব্দটি তারাই ব্যবহার করতেন, যারা দেশের শাসক, রাজা বা সম্রাট। কোন রাজকর্মচারীকে বা বণিক সম্প্রদায়কে এই উপাধি দেওয়ার প্রচলন ছিল বলে আমার জানা নেই। যুক্তি বুদ্ধি বলে, কোন শাসক কোন বণিককে এমন সম্মান বা পদবী দিতে পারেন না, যা একজন রাজা বা সম্রাটের অর্থাৎ শাসকের পদমর্যাদার সমতুল্য হয়ে ওঠে।

সুতরাং আপনার যুক্তি এখানে বড়ই দুর্বল।

দ্বিতীয়ত, না, শাহ পদবী হলেই যে তিনি পার্শি হবেন, তা নাও হতে পারে; যদি তা আধুনিক কালে এফিডেফিট করে নেওয়া কোন ব্যক্তির পদবী হয় অথবা কোন কালে শঠতার আশ্রয় নিয়ে পদবী পাল্টে ফেলা হয়। তবে, নামের সঙ্গে যে পদবী থাকে তা বংশ পরিচয়ের সাক্ষ্য বহন করে। আর পদবী যে ভাষা গোষ্ঠীর হয়, তার পূর্বপুরুষদের পরিচয় জানতে সেদিকেই দৃষ্টি দিতে বলে। আপনার কাছে এমন কোন তথ্য কি আছে, যে অমিত শাহের পূর্বপুরুষরা এদেশীয় ছিলেন এবং তারা নিম্নবর্ণের ছিলেন? এদেশীয় হতে গেলে যে নৃতাত্ত্বিক গঠন এবং নাম পদবী থাকার কথা তা অমিত শাহদের নেই।

প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমি এখানে কোন একজন ব্যক্তি অমিত শাহকে প্রধান উপজীব্য করে আমার বক্তব্য উপস্থাপিত করিনি। তিনি একজন উচ্চবর্ণের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন, আমার লেখায়। আমি বারবার উল্লেখ করেছি ‘অমিত শাহরা’ এবং ‘তার পূর্বপুরুষরা’ - এই ধরনের শব্দবন্ধ। এরা উচ্চবর্ণের মানুষ, ব্রাহ্মণ্য ধর্মের অনুসারী - এটাই আমার বক্তব্যের মুলদিক। আর প্রকৃত উচ্চবর্ণের মানুষ যারা, তারা সবাই বিদেশি বংশোদ্ভূত, এদেশের আদিম অধিবাসী নয়। এই বক্তব্যটা আমার লেখার মধ্যেই পরিষ্কার করা আছে।

তৃতীয়তা, আপনার কাছে যা মিছা, আমার কাছে সেটাই সত্য। কেন সত্য তার ব্যাখ্যা দিয়েছি লেখার মধ্যে। প্রয়োজনে আর কয়েকবার পড়ুন, নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন। তাছাড়া হিন্দু জাতি ব্যবস্থা সম্পর্কে না পড়ে তো এ লেখা লেখা যায় না। সুতরাং নিশ্চয়ই পড়েছি। আপনার সঙ্গে আমার পার্থক্য হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গিগত। আপনি যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হিন্দু জাতিসত্তাকে দেখেন, আমি সেই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখি না। তাই আপনার কাছে যা মিছা, আমার কাছে সেটাই সত্য। বিচার করার দায়িত্ব সাধারণ মানুষের, যারা আপনার এবং আমার লেখা পড়ছেন। আমি বললেই সত্য মিথ্যা বা মিথ্যা সত্য হয়ে যাবে না। আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। সুতরাং চিন্তার কিছু নেই। মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।

চতুর্থতা, আমার লেখার ভিতরে কোন জায়গায় বিদ্বেষ নেই। বরং বিদ্বেষের বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তি ও তথ্য দিয়ে বহুত্ববাদী ভারতবর্ষের স্বপক্ষে বক্তব্য তুলে আনা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি দিয়ে সেটার গুরুত্ব তুলে ধরেছি। রয়েছে কিছু সত্য, যা রাজনীতির কারবারিরা ভুলিয়ে দিতে চাইছেন। 

হিন্দু মুসলমানসহ সবাই আমরা একসাথে বাস করব - এর বিপক্ষে তো আমি কিছু বলিনি বরং সেটা করতে গেলে কি করতে হবে সেটাই তো বলার চেষ্টা করেছি। জানিনা আপনি এর মধ্যে বিদ্বেষ কোথায় পেলেন। আর ধর্ম তো এ লেখার বিষয়ই নয়, এবং হিন্দু তো কোন ধর্মই নয়।

পঞ্চমত, আপনি বৃথাই ভয় পাচ্ছেন। ভয় তো নিম্নবর্ণের মানুষ, যারা সনাতন ধর্মের ছাত্র ছায়ায় নেই বা থাকতে চাইছেন না। বারবার তারাই তো হুমকির মুখে পড়ছে। তাই না?

যাইহোক, ভালো থাকুন। ধর্ম বা গোষ্ঠীর নয়, মানুষের পাশে থাকুন। কারণ, একজন মানুষ আগে মানুষ। তারপর তার ধর্ম বা জাত পরিচয়। শুভকামনা রইল।

-----------xx---------

Goutam Roy লিখেছেন : 

Ali Hossain ব্রিটিশরা রায় বাহাদুর উপাধি দিতেন তাঁদের চোখে বহু বিশিষ্ট মানুষকে। রায় বা রয় ভিক্টরিয়ান আমলের ব্রিটিশ ল্যান্ডলর্ডদের উপাধি। যে ভারতীয়কে তা দেওয়া হল তিনি কি ব্রিটিশ হয়ে গেলেন ? তেমনি যে মুসলিম শাসক তুর্কি তিনি তুর্কি জমিদার খান ই খানান উপাধি থেকে তাঁর বহু উচ্চপদস্থ হিন্দু বৌদ্ধ কর্মচারিকে খান বা খাঁ উপাধি দিয়েছেন। তিনি কি তাতে তুর্কি মুসলমান হয়ে গেলেন ? তেমনি গুজরাটের শাসক পার্শি নাদির শাহের আমলে বহু হিন্দুকে শাহ উপাধি দেওয়া হয়। যেমন অমিত শাহদের পূর্বপুরুষকে। আপনি এদের পার্শি, আর্ষ এসব ভুলভাল বলছেন তাই লিখতে হল। প্রসঙ্গত ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব, কয়েক বছর আগে ঠিক এই কথাটিই অমিত শাহকে বলেন। সেটি আপনার চোখে পড়ে নি। আপনি কার্তিক লাহিড়ীর পদবির ইতিহাস (মনীষা) বইটি পড়ে নিন।

আমার উত্তর বা মতামত :  

◾◾ সাথি, বুঝলাম, আপনি উপাধি ও পদবির মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা বোধহয় গুলিয়ে ফেলেছেন। উপাধি একটি সম্মানসূচক পদক, যা অন্যের দ্বারা, বিশেষ করে শাসকের দ্বারা শাসকের কর্মচারী বা অধস্থনরা পেয়ে থাকেন, বিশেষ কোনো কাজে কৃতিত্বের কারণে বা স্বীকৃতি হিসেবে। উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি মারা গেলে, তার মৃত্যুর সাথে সাথে উপাধিটাও বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ, সেটা তার ব্যক্তিগত কৃতিত্বের স্বীকৃতিতে দেওয়া হয়। ব্যক্তি মারা গেলে সেই উপাধি বংশপরম্পরায় পরবর্তী জেনারেশন পায় না।

কিন্তু পদবি এ ধরনের কোন পদক বা উপাধি নয়, পদবি বংশের পরিচয়বাহী একটি শব্দ যা ‘লাস্ট নেম’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ পদবি নামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা বংশপরম্পরায় উত্তরসূরীদের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকে। এটা কোন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ কোন কর্তৃপক্ষের দেওয়া সম্মান সূচক শব্দ বা শব্দবন্ধ নয়। এটা মানুষ বংশপরম্পরায় পেয়ে থাকেন। 

আর মনে রাখুন, ‘শাহ’ এ ধরনের কোন উপাধি নয়। ‘শাহ’ শব্দের অর্থ রাজা বা বাদশা। এটা প্রধান শাসক (যিনি সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী) নিজের শক্তিমত্তা ও পদমর্যাদা জাহির করার উদ্দেশ্যে নিজেই গ্রহণ করেন বা করে থাকেন। এবং তা বংশ পরম্পরায় উত্তরসূরীদের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, ধর্ম পাল্টালে নাম হয় তো পাল্টে যায় কিন্তু পদবি পাল্টায় না।

পদবি প্রাপ্তির সঙ্গে মানুষের পেশার সম্পর্ক আছে। তবে সব পদবি পেশার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। বিস্তারিত বলা প্রাসঙ্গিক নয় বলে সেদিকে গেলাম না।

সবশেষে বলি, ইতিহাস বলছে নাদির শাহ কোনদিনই গুজরাট আক্রমন করেননি। তাই তিনি গুজরাটের শাসক ছিলেন না। কারণ, পারস্য সম্রাট নাদির শাহ ভারতে আক্রমণকারী হিসেবে এদেশের দিল্লি এলাকায় ঢুকেছিলেন মুঘল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্দেশ্যে। পরম্পরায় তিনি সেখানে লুটপাট চালান এবং প্রচুর ধন-সম্পদ নিয়ে দিল্লি থেকেই দেশে ফিরে যান। তার বিস্তারিত ইতিহাস এখানে প্রাসঙ্গিক নয় বলে তা এড়িয়ে গেলাম।

👁️‍🗨️ প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন 

মন্তব্যসমূহ

আলী হোসেনের বহুল-পঠিত উক্তিগুলো পড়ুন

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয়

ধর্মের নামে রাজনীতিই প্রমাণ করে আমরা মধ্যযুগীয় ভারতবর্ষে এখনও যে ধর্মের নামে রাজনীতি হয় বা হচ্ছে, তাতেই প্রমাণ হয় আমরা আধুনিক নয়, চিন্তায়-চেতনায় এখনো মধ্যযুগে বাস করি। কারণ, আধুনিক যুগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে। কোন জাতি, নিজেকে আধুনিক বলে দাবি করতে চাইলে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাদের মধ্যে থাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো হল ধর্ম-মুক্ত রাজনীতি। পৃথিবীর যেখানে যেখানে রাজনীতি ধর্মমুক্ত হয়েছে, সেখানে সেখানে রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি অনেক কমে গেছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যা আধুনিকতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি সম্পর্কিত থাকলে কি ভয়ংকর রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বোঝা যায়, কীভাবে নিরবিচ্ছিন্ন অস্থিরতা ও রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রতিহিংসার দাপটে একটা জাতি শতধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। মূলত এ কারণেই, অসংখ্য ছোট ছোট, বলা ভালো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়েছে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য। ফলে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর নয়া সাম্রাজ্যবাদী নাগপাশ

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না।

ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা যায় না। কারণ দুটোরই ভিত্তি হচ্ছে যুক্তিবিমুখ বিশ্বাস। তাই, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা হয়তো যায়। কিন্তু ধর্ম দিয়ে ধর্মান্ধতা দূর করা কখনই যায় না। একথা ভুলতে বসেছেন যাঁরা, তাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এতে প্রগতিশীলতা গতিলাভ করে না বরং গতি হারায়। --------x------- Di Ansar Ali হ্যা, পরিস্থিতি অনুযায়ী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু মাথায় রাখতে হয়, তাতে আমার সত্যিই কোনো লাভ হচ্ছে কিনা। এবং তার অদূর ও সুদূরপ্রসারী ফলাফল প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করাটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে হয়। কারণ, তাতে পরের যাত্রা হয়তো ভঙ্গ হয়, কিন্তু নিজের শরীরে ভয়ঙ্কর ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার দখলদারি বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হয়, এই হিসাবটা ঠিকঠাক না করতে পারলে পরিস্থিতি অনুকূলে আসার পরিবর্তে প্রতিকূলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এক্ষেত্রে 'দশচক্রে ভগবান ভুত হওয়ার' বিষয়টিও মাথায় রাখার প্রয়োজন খুব বেশি বলেই আমি মনে করি। যারা প্রগতিশীল নয়, বলে এতদিন বলে আসছি তারা যদি হঠাৎ করে প্রগতিশীল হয়ে ওঠে তবে,

বিজেপি ও আরএসএস কি আলাদা?

বিজেপি ও আরএসএস-এর রসায়ন সম্পর্কে সম্যক অবহিত আছেন, এমন মানুষদের সবাই জানেন বিজেপির সঙ্গে আরএসএস-এর গভীর সম্পর্কের কথা। এবং তাঁরা এটাও জানেন যে, আরএসএস দ্বারা বিজেপি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। তাই এই দুই সংগঠনকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এরা আলাদা নয়। বরং এরা একে অপরের পরিপূরক। বিস্তারিত দেখুন এখানে ক্লিক করে

সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল

মানুষ আসলে কী? সব মানুষই আসলে এক-একজন পাগল। কেউ কাজ পাগল, কেউ ফাঁকিবাজিতে পাগল। কেউ গান পাগল, তো কেউ জ্ঞান পাগল। কেউ বা আবার পান পাগল। কিছু না কিছু নিয়ে আমরা প্রত্যেকে পাগলের মত ছুটে বেড়াচ্ছি। থামবো কবে? প্রসঙ্গ জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে ধর্মশিক্ষার প্রচলন ও তার পরিণতি

দেশের বড় বড় বিজ্ঞান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেভাবে বেদ ও পুরাণসহ ধর্মশাস্ত্র পড়ানোর ধুম লেগেছে তাতে ভারতবর্ষ খুব তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত অশিক্ষার কানাগলিতে ঢুকে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে,বলা ভালো যেতে বাধ্য হবে। শিবপুর আই আই ই এস টি তে যেভাবে বেদ ও পুরাণ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তাতে এই আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে গোলওয়ালকরের ছবি ও বই রেখে যেভাবে বিচ্ছিন্নতা ও সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মতাদর্শকে হাইলাইট করা হচ্ছে তাতে ভারতের ভবিষ্যত দুর্দশার রূপটি স্পস্ট হয়ে উঠছে। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন ফেসবুকে দেখুন এখানে ক্লিক করে